সুপ্রিয় পাঠক সালাম নিবেন। আশির দশকের মাঝামাঝি চুনতীতে ইলু ফ্যাশনের সূচনা হয়েছিলো। মূলত: ইলু ছিলেন একজন চোঙ্গা। এমনই চোঙ্গা যে, তখন আমরা তাকে চোঙ্গা সম্রাট হিসাবে বরণ করে নিয়েছিলাম... যারা চৌধুরী জহুরুল হকের চোঙ্গাগল্প পড়েন নি, জানেন না এর প্রস্তাবনা ও প্রচলনের ইতিহাস তাঁরা ভাবনায় পড়বেন, হয়তো বা কপাল কুঞ্চিৎ করে ঈষৎ হাস্যে মনে মনে প্রশ্নও করবেন- এ আবার কী? এবার আমি আপনাদেরকে চোঙ্গার কাহিনী শুনাবো। কিন্তু কথা দিতে হবে আমরা সবাই চোঙ্গা গল্প লেখবো এবং এ অধ্যায় শত চোঙ্গা গল্পে ভরে উঠবে। শীঘ্রই আসছি কিন্তু। ধন্যবাদ সবাইকে।
পরিচিতি: চৌধুরী জহুরুল হকের মায়ের বাড়ী চুনতী ডেপুটি বাড়ী। উনি এডভোকেট হেমায়েত উল্ল্যাহ খানের ভাগিনা, সেই সুবাদে লেখক আমার ফুফাতো ভাই। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রফেসর ছিলেন। লেখকের সহধর্মিনী নিলুফা জহুর এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। দু’জনই ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত হাসিখুশি প্রাণবন্ত মজার এবং রসের মানুষ ছিলেন। লেখক ছাত্র অবস্থাতেই চোঙ্গা গল্পের সূচনা করেছিলেন। ষাট দশকের শেষের দিকে চোঙ্গাগল্প অসাধারণ প্রিয়তা অর্জন করে- এই প্রিয়তা তুঙ্গে উঠে ঊনসত্তরের দিকে। এই সময়টাই- ছেষট্টি থেকে ঊনসত্তর- ছিল চোঙ্গা গল্পের স্বর্ণপ্রসূ সৃজনকাল। চোঙ্গাগল্পের প্রথম গ্রন্থটিতে প্রকাশিত হয়েছিল মাত্র চৌত্রিশটি গল্প। বর্তমান সংস্করণটিতে আছে দুশোখানা গল্প। ‘চোঙ্গাগল্প’ নামটি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অন্য যে দিকদর্শী ভাবনা লেখককে অসাধারণভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল তাঁর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক শব্দ ‘চুঁয়া’র (চোঙ্গার) বহুমুখী অর্থসৃজনী ক্ষমতা, বিশেষ করে ‘চুঁয়া (চোঙ্গা) ‘ফু দেঅনি চুঁয়া’ (ফু দেয়ার চোঁঙ্গা), চুঁয়াখেলা’ (চোঙ্গাখেলা), ‘ম্যাজিকের চুঁয়া’ (ম্যাজিকের চোঙ্গা) ও চোঙ্গা ফুঁকার অনুষঙ্গ। লেখকের কথা: ১. চোঙ্গার মধ্য থেকে উদ্দিষ্ট বস্তুকে দেখতে হলে এক চোখেই দেখতে হয় আর সে দেখাটা হয় তীক্ষ্ম লক্ষ্যমুখী এবং তাতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিশেষ বৈশিষ্যের রূপ-প্রকৃতি। ‘চোঙ্গাগল্প’ হবে সমাজের এ জাতীয় নানা অসংগতি-ভান-ভন্ডামি-মূঢ়তা আর স্ববিরোধিতার খন্ড বৈশিষ্ট্যের পর্যবেক্ষণ-প্রত্যক্ষণের শিল্পত রূপায়ণ। ২. চোঙ্গা ঝিমিয়ে পড়া আগুনকে তাতিয়ে তোলার জন্য ব্যবহৃত হয়। ভেবেছিলাম, চোঙ্গাগল্পের কাজ হবে, সাহিত্যের বেদনা-ভারাক্রান্ত স্যাঁতসেঁতে আবেগ ও ভাবপ্রবণ সমাজভাবনাকে আঘাতে আঘাতে চকিত রা, তাতিয়ে তোলা- চাঙ্গা করা। ৩. মাইকেল বহুল প্রচলনের আগে ‘চোঙ’ বা ‘চোঙ্গা’ ছিল বক্তব্যকে দূরে পৌছে দেবার বাহন। মনে করেছিলাম, চোঙ্গা গল্প হবে হাস্য-রঙ্গ-ব্যঙ্গ প্রবণ বক্তব্যবাহক কথাসাহিত্যের একটি নব আঙ্গিক। ৪. ‘চোঙ’ বা ‘চোঙ্গা’ কখনো কখনো ম্যাজিশিয়ানদের ম্যাজিকের বাহনও হয়। সেই ক্ষেত্রে ‘চোঙ’ বা ‘চোঙ্গা’ হয় রহস্যময় এক নাটকীয় চমকের আধার। অতএব, চোঙ্গাগল্প হবে কৌতূহল উদ্দীপক নাট্যকীয় চমক সৃজনের গল্প। ৫. টেডী অর্থে যা বোঝায় চোঙ্গা গল্প হবে অনেকটা সে ধরনের- টাইট টাইট মূলের উপর সামান্য মাত্র ভাষা এবং ভাব-ভাবনার প্রলেপ। চোঙ্গা যদি সংক্ষিপ্ততা কিংবা আকৃতিগত ক্ষুদ্রতার নামান্তর হয় তা কী বাংলা সাহিত্যে কিংবা বিশ্বসাহিত্যেও পূর্বে ছিল না! ছোট আকারের কিছু কিছু কাহিনীর কথা জানা যায়। কালিলা ওয়া দিমনা, জাতক-কাহিনী, ফ্রিজিয়া’র ঈশপের (খ্রী. পূ. ৬০০-৫০১) গল্প এসবই ক্ষুদ্রাকৃতি গল্পের নিদর্শন। ‘চোঙ্গা গল্প’ আকৃতিতে ক্ষুদ্র এবং প্রকৃতিতে হাস্যব্যঙ্গ প্রধান- “চোঙ্গা গল্পের বিষয়বস্তু হবে সাধারণত হালকা কৌতুকপ্রদ অথবা ব্যঙ্গাত্মক”। চোঙ্গা এবং ব্যঙ্গ উভয় শব্দে ‘ঙ্গ’- বদ্ধাক্ষরের উপস্থিতি নিতান্ত কাকতালীয় হলেও সম্ভবত এখনও পর্যন্ত বিশেষ ধরনের আঙ্গিক ও বিষয়ের সম্মিলনে সৃষ্ট এ-মাধ্যমটির উক্ত অভিধা নির্বিকল্পই থেকে গেছে। আবির্ভাবকালে এর নামকরণ সম্পর্কিত প্রর্তক স্মরণযোগ্য। কথাসাহিত্যিক মাহবুব-উল-আলম স্পষ্টভাবে তাঁর পক্ষপাত ব্যক্ত করেন, “আমার মনে হয়, এই নামটিই চালু হয়ে যাবে”। সাহিত্যিক আবুল ফজলের মন্তব্য থেকে পক্ষ-বিপক্ষতা ততটা স্পষ্ট হয় না কিন্তু চোঙ্গা গল্পের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে তারুণ্যের প্রতি প্রশ্রয়পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিই পরিস্ফুট। চৌধুরী জহুরুল হকের ১০টি চোঙ্গাগল্প : * রসবোধ * করমর্দনের পরপরেই আতিক সাহেবের সাদা ধবধবে হাতের কব্জির উপরের তিলটার দিকে ইঙ্গিত করে বললেন সালাম সাহেব: এটা তো আগে দেখি নি। এটা আবার এখানে কেন? : কীসের কথা বলছেন? আতিক সাহেবের কন্ঠে বিস্ময়। সহজ স্বাভাবিকভাবে হেসে বললেন সালাম সাহেব: আপনার হাতের কব্জিতে একটা সুন্দর তিল দেখছি। জানতে চাচ্ছি এটা এখানে কেন? আতিক সাহেব এবার বুঝলেন। হেসে বললেন: তাহলে কোথায় থাকবে? সালাম সাহেব হেসে বললেন: ভাবির মুখেই তো থাকার কথা। * শর্ত সাপেক্ষে * রাত্রে শোবার ঘরে শুয়ে শুয়ে খবরের কাগজ পড়ছিলেন ভদ্রলোক। স্ত্রী বললেন: এই শুনছো? তোমাকে তো একটা কথা বলা হয়নি। : কী কথা? : ছোটোখাটো একটা বিপ্লব ঘটে গেছে। : কোথায়? কখন? : খবর পেলাম আজই। তোমার বন্ধুর বোন শায়লা কাপড়-চোপড় আর যাবতীয় স্বর্ণ অলংকারসহ চট্টগ্রাম চলে এসেছে। ও আর ঢাকায় যাবে না। বলেছে, পড়াশোনা করবে এখানেই এবং কখনোই শ্বশুড় বাড়িতে ফিরবে না। স্বামী যদি চাকরি নিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে তো ভালো, না হয় তাকেও ত্যাগ করবে। : ওদের প্রতিক্রিয়া কী? : এই সব কথা শুনে ওর শাশুড়ি সাফ বলে দিয়েছেন, শায়লাকে কোন অবস্থাতেই আর ওদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে না। কেউ যদি ওকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায়- শায়লার শাশুড়ি আত্মহত্যা করবেন। : ভারি মুশকিল তো। শায়লা কী বলেছে? : বলেছে, ও নিজে থেকে যদি শ্বশুর বাড়ি যায় ওর শাশুড়ি সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করেন, তাহলে ও মত পরিবর্তন করতে পারে। : তার মানে? : ও আবার শ্বশুড় বাড়িতে ফিরে যাবে। * কাবুলিওয়ালা * শুরু আমার ছোট মেয়ের নাম মিনি। মিনি ভীষণ দুরন্ত। দু-দন্ড এক জায়গায় স্থির থাকতে পারে না। তার মা ধমকে কোনো কোনো সময় চুপ করে বসিয়ে রাখেন, কিন্তু আমি তা পারি না। আমার ভালো লাগে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে মিনি বেরিয়ে যায়, তারপর এ ঘর থেকে ও ঘর- এখান থেকে সেখান- এমনি করে সময় কাটায় আর একের ফাঁকে এক একটা মজার খবর দিয়ে যায়। আমি একটা গল্প লিখছিলাম। এমন সময় মিনির চিৎকার কানে এলো: কাবুলিওয়ালা, কাবুলিওয়ালা। মধ্যের কথা গল্পের নাম কাবুলিওয়ালা। উত্তম পুরুষে বলা- আর ‘মিনি’ ও আছে। ব্যাপারটা কী? দিনে-দুপুরে পুকুর চুরি? সাহস তো কম নয়? কিন্তু- কিন্তু সে কাবুলিওয়ালার লেখক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ আর এ কাবুলিওয়ালার লেখক চৌধুরী জহুরুল হক। ইতি হাঁ, কী বলছিলাম। মিনির চিৎকার কানে এলো: কাবুলিওয়ালা, কাবুলিওয়ালা। বুকটা ধড়াস করে উঠলো। কাগজ-কলম ফেলে লাফের পর লাফ দিয়ে বাবুর্চিখানায় গিয়ে ঢুকলাম। এক হাজার টাকা। আপনারা তো জানেন না, কাবুলিওয়ালা মিনির কাছে আসে নি- মিনির বাপের কাছে এসেছে। * একাল-সেকাল * প্রথম পর্ব “খোকন আমার, খোকন আমার, মুক্তো আমার হীরে” প্রথম সন্তানকে কোলে নিয়ে সুর করে কবিতা আবৃ্ত্তি করেছিলেন জরিনা বেগম। শেষ পর্ব : হারামজাদা, শুয়োরের বাচ্চা, তোরা আমায় জ্বালিয়ে মারলি। অষ্টম সন্তানকে হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে বললেন ভদ্র মহিলা। * সম্বোধন * প্রখ্যাত এক চিত্রকরের সঙ্গে খ্যাতিমান এক কথাশিল্পীর প্রথম পরিচয় ঘটে এক ক্লাবে। দু’জনই আমুদে আড্ডাবাজ। আলাপ জমে উঠল অল্প সময়ে। অর্ডার মতো পানীয় এল। এক পেগ খাওয়ার পর চিত্রকর কথাশিল্পীর পিঠ চাপড়ে বললেন: আমি কিন্তু আপনাকে তুমি বলব। দ্বিতীয় পেগ খাওয়ার পর চিত্রকর বললেন: তোমাকে আমি তুই বলব। : বলবেন। তৃতীয় পেগ খাওয়ার পর চিত্রকর বললেন: তোকে আমি শালা বলে ডাকব। কথাশিল্পী বললেন: শালা! * পেয়ারা * ভদ্রমহিলা আমাকে বললেন: ওই পেয়ারাটা পেড়ে দিতে পারেন? : পারি না। : দূর আপনি কোনো কাজের না। বললাম : একটা গল্প শুনবেন? : প্রতিশোধ স্পৃহা থাকলে বলার সুন্দর সুযোগ ছিল, ‘শুনবো না’। বলুন, আমি শুনবো এবং সানন্দে শুনবো। : অনেক দিন আগে এক ভদ্রমহিলা আমার বন্ধু এবং আমাকে বাগান থেকে কিছু বেলি ফুল আনতে বলেছিলেন। কে কার আগে এনে ভদ্রমহিলাকে খুশি করবো এই প্রতিযোগিতায় পড়ে আস্ত ফুলের গাছটাই আমি তুলে এনে রেখেছিলাম ভদ্রমহিলার সামনে। : অথচ আর্শ্চয! আজ আমাকে পেয়ারাটা পেড়ে দিচ্ছেন না! : দিতাম, যদি সেদিন থাকতো। সে বয়স! * পরীক্ষা * প্রেমিকা প্রেমিককে প্রশ্ন করলো: আচ্ছা তুমি কি আমায় সত্যি ভালোবাস? আমার কিন্তু বিশ্বেস হয় না। প্রেমিক বললো : ঠিক আছে তাহলে পরীক্ষা করো। : যদি বলি দোতলার ছাদ থেকে লাফ দিতে, পারবে? : পারবো না। কারণ তাহলে আমি পাশ করবো কিন্তু ফল ভোগ করতে পারবো না। : খুব ভালো কথা। ধরো প্রাইজবন্ডে বিশ হাজার টাকা পেলে তুমি, আমি দশ হাজার চেয়ে বসলাম। দেবে? : দেবো। : কিংবা ধরো, তোমার চাকরি হয়ে গেল। প্রথম পাওয়া মাইনে থেকে অর্ধেক আমি চেয়ে বসলাম। হাসি মুখে দিতে পারবে? : অবশ্যই। প্রেমিকা বললো: ধরো কোন সময় তোমার পাঞ্জাবির পকেটে মাত্র পাঁচশ টাকা আছে, তা থেকে তিনশ’ টাকা চাইলাম আমি। দিতে পারবে? জরুরি টাকাটায় নায়িকার চোখ পড়েছে দেখে নায়ক এবার বিব্রতবোধ করলো। মুর্হুতেই সামলে নিল সে: কেন পারবো না? একশোবার পারবো। তবে পরীক্ষার ডেটটা পিছিয়ে দিলে খুশি হতাম। * মুখে কথা নেই * ঘরে পর্দা দিতে হবে, দরজা-জানালা সব খালি, বললেন স্ত্রী। স্বামী চিন্তিত। মুখে কথা নেই। স্ত্রী বললেন: কী, কথা বলছো না যে? স্বামী বললেন: ঠিক আছে পর্দাই তাহলে কিনি। এ মাসে আর- : কী? স্ত্রী জিজ্ঞাসু। স্বামী বললেন: তোমার শাড়িটা আর কেনা হল না। স্ত্রী চিন্তিত। মুখে কথা নেই। * ধারাবাহিক স্বপ্ন * ভাবি বললেন, তিনি প্রতিদিন স্বপ্ন দেখেন। নতুন নতুন স্বপ্ন নয়- একটি স্বপ্ন। যার স্পষ্ট একটা শুরু আছে, ক্রমধারা আছে। অর্থাৎ স্বপ্ন দেখছেন তিনি ধারাবাহিক উপন্যাসের মতো, ক্রমশ। ভাবি আরো জানালেন, যেভাবে তিনি স্বপ্ন দেখছেন এবং যে সব দেখেছেন, তাকে সাজিয়ে-গুছিয়ে নিলে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ এর মতো বড়োসড়ো একটি উপন্যাস হয়ে যেতো। অবাক বিস্ময়ে প্রশ্ন করলাম: আজও স্বপ্ন দেখেছেন? : হ্যাঁ, গতকালও দেখেছি। আদৌ সংগতিহীন নয়। আগে যা দেখেছি, ঠিক তারপর থেকে- একটু থেমে বললেন উন- আমি যদি লেখক হতাম- বললাম: আচ্ছা, আপনি প্রথম থেকে সব বলতে পারবেন? : পারবো। একটা আকাঙ্খা জেগে উঠলো। বললাম: একটা কাজ করতে পারবেন ভাবি? : কী? : ভয় পাবেন না। তেমন কিছু নয়। এতোদিন যে সব স্বপ্ন দেখেছেন সেগুলো আমাকে একটার পর পর একটা বলবেন। আর প্রতিদিন সকালে বলবেন পূর্বরাত্রির স্বপ্নের কথা। আমি লিখে যাবো। যতোদিন আপনার স্বপ্ন দেখা শেষ না হয় আমি এখানে থাকবো। আমার মনে হয়, একটা অসাধারণ শিল্প সৃষ্টি হতে পারে- আপনি কি বলেন ভাবি? কী, চুপ করে রইলেন যে? আমি বেশিদিন থাকলে আপনাদের অসুবিধে হবে, তাই না? : না, না, কীসের অসুবিধে? তুমি থাকলে বরং আনন্দে দিন কাটবে আমাদের। সেই রাতটা ভয়ানক উত্তেজনায় কাটলো। সকালে ভাবির মুখোমুখি হতেই জিজ্ঞেস করলাম: স্বপ্ন দেখেছেন? : হ্যাঁ। : কী দেখলেন? : আজ একটা ভিন্ন রকম। : কী রকম? : দেখলাম, একটা কালো বোর্ডে সাদা অক্ষরে লেখা, ‘অনিবার্য কারণবশত অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্বপ্ন প্রদর্শন বন্ধ রইল’। * হাত না দেখে * এক অফিসে দুই মহিলা পাশাপাশি বসে কাজ করেন। একজন বাককৃপণ- প্রয়োজনীয় কথা ছাড়া মুখই খোলেন না, অন্যজন বাক বিলাসী- কাজ করতে করতে অকারণে এতো বেশি বক বক করেন যে, ভদ্রমহিলা কথা বন্ধ করলেই সবাই চোখ তুলে তাকান। নিত্যকার মতো সেদিনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছিল এবং বাইরে থেকে আসা এক হস্তরেখাবিদ সেটা লক্ষ করছিলেন। এক সময় তিনি তাঁর বন্ধুকে বললেন: ভদ্রমহিলা দেখছি বিরামহীন ভাবে কথা বলতে পারেন। : বিরামহীন ভাবে কাজও করতে পারেন। শুধু মুখ চলে না, সঙ্গে সঙ্গে কাজও চলে। : আর্শ্চয। : আর আর্শ্চয, প্রয়োজনে বিদ্যুৎ গতিতে হাতও চালাতে পারেন। : সেটা কী রকম? : জুডো-কারাত এবং বক্সিং-এও ভদ্রমহিলা পারদর্শী। : এক অঙ্গে এত রূপ! : আগামী মাসে ওর বিয়ে হবে। বর খুব বড়োলোকের ছেলে। তুমি ওর হাতটা দেখে বলবে, ওদের সংসার জীবন কেমন চলবে? : হাত না দেখেই বলতে পারি, এক তরফা ভাবে। : তার মানে? : ওর স্বামীর কপালে দুঃখ আছে।
চৌধুরী জহুরুল হকের ভাষায়: এক বিশেষ বয়স অবধি যেমন চোঙ্গা প্যান্টের টেডির দৌরত্ন্য তেমনি চোঙ্গা প্যান্টের আবেদনও এক বিশেষ মানস এবং বিষয়বস্তুর মধ্যে সীমিত থাকতে পারে। পূর্ব আলোচনাতেই বোঝা গেছে, চোঙ্গাগল্প খর্বাকৃতি গল্প। বস্তুত ছোট না হলে চোঙ্গাগল্প হবে না। সর্বনিম্ম ছোটত্বের সীমারেখা নির্ণয়ের জন্য চোঙ্গা প্যান্টের মুখের কথা ভাবুন। অথবা যদি হঠাৎ সৌভাগ্যক্রমে কোন চোঙ্গাকে দেখা যায় তবে একচোখে দেখে নিন। চোঙ্গা গল্পের বিষয়বস্তু হবে সাধারণ হালকা। কৌতুকপদ অথবা ব্যাঙ্গাত্মক। দাঁত মুখ খিঁচিয়ে চিন্তা করার মতো বিষয় নিয়ে চোঙ্গাগল্প না লিখলেই ভালো। কারণ এতে চোঙ্গাগল্পের স্বভাব ধর্ম নষ্ট হবার সম্ভাবনা আছে। আসুন সবাই চোঙ্গাগল্প লেখা শুরু করি। কবি আদনান সাকিব, লায়লা রুপা আপনাদের কাছে চোঙ্গা গল্প আশা করছি। : অত:পর অয্ত্ন অবহেলায় পড়ে থাকা চোঙ্গা লতা সব লকলকিয়ে উঠবে বাড়ন্ত মাচানে। মাচান নীলে সবুজের ছোঁয়ায় পরিবর্তনের মহাসভা হবে। সবাইকে ধন্যবাদ। * পর্ব সমাপ্ত *
দয়া করে পড়ুন প্রথম লাইন - তেমনি চোঙ্গা গল্পের আবেদনও এক বিশেষ মানস এবং বিষয়বস্তুর মধ্যে সীমিত থাকতে পারে। এর স্থলে - নিচে দেখুন তেমনি চোঙ্গা প্যান্টের আবেদনও এক বিশেষ মানস এবং বিষয়বস্তুর মধ্যে সীমিত থাকতে পারে। অত্যন্ত দুঃখিত।
আবেদন সংশোধনী : চোঙ্গাগল্প প্রত্যাশা করছি : ফরচুন ভাই যিনি আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন কলামিস্ট লেখক। যার প্রতিটি রচনা এক একটি দিগন্ত, অনবদ্য কাব্য কবিতা। ফরচুন ভাইয়ের সৌজন্যে আমার ১ম চোঙ্গাগল্প (খসড়া) : রাশেদ - রত্মা* এটাই কি তোমার শেষ কথা? রত্মা - তোমার কি মনে হয়, তোমার মতো একটা অপদার্থের সাথে আমি পালিয়ে গিয়ে ঘর বাঁধবো? রাশেদ - আমি অ-পদার্থ হলেও তোমাকে অনেক ভালবাসি' আর তোমাকে না পেলেও আজীবন ভালবেসে যাবো। রত্মা - তাই যদি সত্যি হয়' তবে তো তুমি লাকি। রাশেদ - কি বলছো তুমি আবোল-তাবোল? রত্মা - বিনা কষ্ট ব্যয়ে তুমি আমাকে ভালবাসতে পারবে এর চেয়ে মধুর আর কি হতে পারে? আমার কথা: এই বরং ভালো হলো, রাশেদ - রত্মা' ঘর বাঁধলে বরং দুইদিনেই তাদের প্রেম স্বপ্ন পানসে হয়ে যেতে পারতো। কারণ, সহ বসবাস খুবই বিপদজনক একটি অধ্যায়। ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম । চাচু, আপনার এই লেখাটা দেখার পর ঝড়ের বেগে চিন্তা করেছি সারাদিন। রীতিমত চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে। ভেবে চিনতে ঠিক করলাম , ইনশা'ল্লাহ যোগ দেবো । কিছু সময় লাগবে ।
22/11/2012 এক মহতী জনসভায় নেতা জনগণকে উদ্দেশ্য করে বললেন ঃ আপনারা কি চান? জনগণ সমস্বরে বললো ঃ শান্তি । নেতার মাথা নুয়ে পড়লো , করুণ স্বরে তিন বললেন ঃ এটা তো সম্ভব না । জনগণ জানতে চাইলো ঃ কেন? নেতা উত্তর দিলেন ঃ এটা করতে হলে দেশ থেকে হয় নেতাদেরকে চলে যেতে হবে , নতুবা জনগণকেই চলে যেতে হবে। ------------------------------------------------------------------------------------------------- কিছু করতে পারলাম,চাচু? সালাম।
এই গল্পটাতে একটা নেগেটিভ সেন্স আসে । প্রিথিবীতে মানুষের জীবনে শান্তির পথ যে কোন অবস্থায়ই খোলা থাকে । কাজেই নেতা আর জনগণ সবাই দেশে থাকলেও শান্তি সম্ভব । সদিচ্ছা প্রয়োজন ।সালাম আবার।
ধন্যবাদ রুপা আসলে তোমার উৎসাহই আমাকে চোঙ্গা গল্পের কথা স্মরণ করিয়েছে (এই গল্প কথা লেখাতে/বলাতে কোন পাঠক যদি কোনভাবে কোন কারণে মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন এই জন্য আমি আন্তরিকভাবে দূ:খিত হবো। প্রকৃতপক্ষে, চুনতীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্বতন্ত্র ফ্যাশনের সূচনা হয়েছে। আলাদা করে ফ্যাশগুলির কথা উল্লেখ নাই বা করলাম)। অন্যদিকে, আমাদের সমাজের বিভিন্ন অসংগতি, হিংসা, স্বার্থপরতা আর অপ্রেম আমাকে অন্য সবার মতই আহত করে। প্রতিবার। বারবার। আমি আশ্রয় চাই চোঙ্গাতে। অত:পর শুধু তাতিয়ে যাবো .........। চোঙ্গা প্যান্টের টেডি এখন হয়তো নেই। কারণ, চলতি সময়ে ফ্যাশনে’ পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু চোঙ্গা সার্ট (ব্লাউজ টাইপ) এবং ডিঙ্গি নৌকার মতো জুতোতে চোঙ্গা ভাবটা’ এখনো ফ্যাশনের তুঙ্গে আছে। বিচিত্র হেয়ার কাট (কাকের বাসার মতন হেয়ার ষ্টাইল), প্লাষ্টিকের ফল্স চশমা আর থুতুনিতে একমুঠো ছাগলা দাঁড়ি’ চোঙ্গার কি বিচিত্র পরিবর্তন। আগেকার চোঙ্গাকে একচোখে দেখার জন্য সাজেশান থাকলেও বর্তমানের চোঙ্গাকে দু’চোখে দেখেও পরাণ ভরে না। কি আজিব জীব! বর্তমানে আমাদের রুচির অকাল চলছে মননে বিকাশে সংস্কৃতিতে সর্বক্ষেত্রে। আসুন আমরা চোঙ্গা গল্পের উপকরণ না হয়ে সরস গল্পের নায়ক হই। তোমার চোঙ্গাটি চমৎকার হয়েছে। আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি কারণ, চোঙ্গায় তুমি এসেছো, এতে অন্য সবাই উৎসাহবোধ করবে। পাশাপাশি মিনতি করছি- তির্ষক চোঙ্গা’ কমপক্ষে দৈনিক একটি। তাতে অধ্যায়টি প্রাণে বেঁচে থাকবে। পাঠক আপনাদের সবাইকে চোঙ্গা চোঙ্গা শুভেচ্ছা। এক শাল লেপ শীত।
সালাম চাচু। আপনিতো সর্বনাশ করলেন। শাল -লেপের ভিতর বসে লিখব কিভাবে? (লিখে পাস করেছি জেনে খুব ভালো লা্ল।দোয়া করবেন যেন আপনার সম্মান রাখতে পারি।এই ধারায় আপনাকে ওস্তাদ না মানলে অকৃতজ্ঞতা হয়ে যাবে। ) আমিতো আপনার চোংগার পুরানা ভক্ত , নতুন করে আর বলছি না । আল্লাহ্ আপনাকে সদা সুস্থ রাখুক।
সালাম । এখন আমি যা লিখতে যাচ্ছি তা লিখতে আমার ইচ্ছে করছে না। কিন্তু বাধ্য হয়ে লিখলাম-। ------------------------------------------------------------------------------------------- ১ম দৃশ্য এলাকার লোকের বড় গর্বের অনুষ্ঠান -।ভক্তিভরে সবাই যোগ দিয়েছে ।বেশ ক'দিনের বিশাল ধর্মীয় আলাপ আলোচনার পর বিশাল জামা'ত । জামা'ত শেষে মৌলবি সাহেব মোনাজাত ধরলেন- আল্লাহ্র কাছে কেঁদে কেঁদে রাতটা সকাল করে ফেললেন - বিশাল জনতা তাঁর সাথে কাঁদলো - সারা এলাকায় মাহফিল শেষের শোকে আর পুণ্য অরজনের সুখে সয়লাব হয়ে গেলো।সবাই বললেন আমিন ।সারা দুনিয়া বললো 'আমিন'।পুত পবিত্র হয়ে সবাই ঘরে ফিরলেন ।ক্লান্ত শরীর বিছানায় এলিয়ে দিতে না দিতেই ঘুমিয়ে গেলেন ।ঘুম আর মৃত্যু - ! ২য় দৃশ্য ঘুম ভাঙলো ।বেলা শেষ । জোহর গিয়ে আস্র ও প্রায় শেষ ।ক্লান্তি কাটেনি পুরোপুরি ।পুণ্য অর্জনের কষ্ট ও কম না।হাত - পা নাড়ানো কষ্ট।এই অবস্থায় নামায কিভাবে পড়া যাবে? বোধ হয় না মাগ্রিবের নামাযটাও পড়া যাবে।বরং আস্তে আস্তে হেঁটে আসা যায় । (শেষ বিকালের মনোরম আলোয় ধীরে ধীরে বাজারের বন্ধু জমায়েতের টান বাড়তে লাগলো।) অনেকদিন পর অনেকে একত্র হয়েছে - বেশ উৎসব উৎসব ভাব এসেছে এলাকায় ।অনেক রাতে জমজমাট আড্ডার পর বাড়ি ফিরার পথে খালই মাঠটায় চোখ পড়তে বিচ্ছেদের বেদনায় টনটন করে উঠলো মনটা।কাল এই বছরের শেষ জামা'ত হয়ে গেছে !ঘরে ফিরে ক্লান্ত শরীর মনে বিছানা আর ঘুম ছাড়া কিছু ভালো লাগলো না। ঘুম আর মৃত্যু !
পটল চেরা চোখ ভুমিকা - পটল যতক্ষণ না তোলা হয় ততক্ষণ এর মধ্যে খারাপ কিছু নাই।বরং কখনো কখনো বেশ ভালো কিছু ো মিলে ।যেমন, যদি হয় পটল চেরা চোখ- ১. নতুন বউ শাড়ি গয়নায় রঙে রূপে ষ্টেজ আলো করে বসে আছে । মেয়ের বাবার টাকা ,বিউটি পার্লারের তিন ঘণ্টা আর কনেসহ কনের দুই বান্ধবীর আট ঘণ্টার প্রাণ পণ শ্রমের সুফল - ।কমিউনিটি সেন্টার ভরটি লোকজন নায়িকা- মূর্তি কনের রুপের ঝলকে ঝলসে যাবার ভয়ে তার দিকে তাকাতে পর্যন্ত পারছে না ।কনে একফোঁটা চোখের পানিও ফেলতে পারছে না ।মেকআপ নষ্ট হবার দুশ্চিন্তায় বেচারীর কান্না আসছেও না।কাবিন-নামায় লেখা বিরাট অংকের মোহরানার সুখ ও গুণ গুণ করছে মনের ভিতর - ক্ষণে ক্ষণে ক্যামেরার ফ্ল্যাশে ঝিলিক দিচ্ছে তার আইলাইনারে আঁকা দুই পটলচেরা চোখ (!) .................. আজ তার বিয়ে ! ২. বাজারের সেরা গরু সেরা দামে কেনা। এলাকা আলো হয়ে আছে তার রূপে আর মহিমায় ।কী মায়া তার পটল চেরা চোখে !ভিড় করে লোকে দেখছে - ক্ষণে ক্ষণে ক্যামেরা- কাল কোরবানি !
তাক বছর বছর বদলে যায় জীবন ।তাকের উপর একের পর এক দৃশ্য বদল হয়- ১ একটা চকলেটের বক্স ,শেষ হয়ে যাওয়া একটা লিপস্টিক, ছোট বড় কয়েকটা পুতুল- ২ কিছু পেন্সিল ,রঙ পেন্সিল , কয়েকটা খাতা, একটা বই । ৩ একটা বড় স্কুল্ব্যাগ , হোম ওয়ার্ক -ক্লাস ওয়ার্ক খাতার পাহাড় , কিছু বই, একটা টিফিন বক্স । ৪ স্কুলের সরঞ্জামের সাথে কিছু ছড়া আর গল্পের বই। ৫ স্কুলের সরঞ্জামের সাথে অনেক কবিতা আর গল্পের বই । ৬ কলেজের কয়েকটা বই ,একটা নোট খাতা । ৭ একটা সান গ্লাস ,ভার্সিটির জন্য একটা ডায়রি, একটা পার্স ,সাজগোজের কিছু সরঞ্জাম। ৮ একটা পার্স , একটা সেল ফোন । ৯ একটা চশমা , একটা সেল ফোন । ১০ একটা সেল ফোন। ১১ সুন্দর একটা ফ্রেমে ছবিগুলি এভাবে সাজানো - ফ্রক পরা- হামাগুড়ি দিচ্ছে, শিশু পারকে বাবা মায়ের সাথে , কলেজের পিকনিকে , ভার্সিটির ক্যাম্পাসে ,বিয়ে , ছেলে মেয়ের সাথে ,নাতির সাথে , বুড়ো-বুড়ি দু'জন, একা বারান্দায়। আরেকটা ছবি আছে -শেষর এই ছবিটা কেউ দেখতে পায়না , কেউ তুলে রাখেনি ।
ধন্যবাদ রুপা তোমার চোঙ্গা তির্যক, সুচালো, সুতীক্ষ্ম, অনুপম, নিখাদ, নিখুঁত। ছোটকালে শীতে' তোমার জীবন সঙ্গী আমার আজীবন বন্ধুকে নিয়ে সলাতে আঠা লাগিয়ে খেঁজুর পাখি ধরতাম। তারপর হরেক পাখির হরেক রুপে দিওয়ানা হয়ে যেতাম। আজ তিনযুগ পরে মনে হচ্ছে আবারো আমি সেই দিন ফিরে পেলাম পূর্ণ রঙ-রসে! ** চোঙ্গা ** - দুই * ঘুষ' ডাকাতি' নাকি ষ্রেফ ভিক্ষাবাজি*? সরকারী কর্মকর্তা : দেখুন আমাকে আর বিরক্ত করবেন না, আপনি এখন আসুন। ভুক্তভোগী : স্যার, আমদানির স্বপক্ষে আমিতো সব কাগজই ফাইলে দিয়েছি। সমস্যা টা কোথায়? দয়াকরে কি বলবেন? সরকারী কর্মকর্তা : আমি কৈফিয়ত দিতে অভ্যস্থ নই। পরক্ষনে উনার ডান হাতের আঙ্গুলের মধ্যে ইকোনো বলপেনটি সচল হয়ে উঠলো - পেপারের উপরে ছোট করে লেখলেন ২০০০ টাকা। টাকার পরিমাণের আগে পরে লম্বা তীর। (কাঠমিস্ত্রী শ্রেণীর ছোকরারা জিনস্ প্যান্ট এর পিছন দিকে লাভকে তীর মারে। কিন্তু একজন সরকারী কর্মকর্তা এভাবে তীর মেরে ঘুষ চাইবেন তা কি চিন্তা করা যায়?)। ভুক্তভোগী : স্যার আমার কাগজে তো কোন সমস্যা নেই। তাও কি আমাকে এই টাকাটা দিতে হবে? সরকারী কর্মকর্তা : দেখুন, চা-পানির পয়সা ছাড়া এখন কাজ হয় না। ভুক্তভোগী : মনে মনে তখন ঐকিক করলেন - চা-পানির টাকা সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, সেখানে ২০০০ টাকা মাত্রাতিরিক্ত। তাই দর কষাকষি করে ১০০০ টাকায় রফা করলেন। আমার কথাঃ * কুকুরের মাথায় যখন ঘা হয় কিংবা চা দোকানের কোন দুষ্ট বয় কুকুরের গায়ে গরম পানি ঢালে চামড়া জ্বালিয়ে দেয়, তখন লোভী মাছি কুকুরের পিঠে ঘন করে বসে বার বার কামড়ায়। অসহ্য যন্ত্রনায় পাগল হয় কুকুর। তার পর যাকে যেখানে পায় নির্বিচারে কামড়ায়। অন্যদিকে, নিত্যনতুন মার্কেটের রকমারি পণ্যের হাতছানি, সুন্দরী বউয়ের আবদার রক্ষা আর ফ্লাট বাড়ির স্বপ্নে বিভোর কতিপয় সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী নানাভাবে নিত্য অসদ্উপায় খুঁজে ....।* উত্তরণের পথ কি? ধন্যবাদ।
ধারুন চোঙ্গা ।উপায় অনেক একটা সুনদরী বিয়ে না করা। তবে এ ক্ষেত্রে যদি সবায় চেষঠা করে উত্তরনের পথ খোলা আছে। মহান আললাহর নির্দেশ মেনে কুরআন সুননাহের পথে চলা। শুধু দুনিয়াবী চিন্তা না করে আখিরাতের জন্য চিন্তা করতে হবে।
ধন্যবাদ / চমৎকার সাজেশান /
সালাম । দুনিয়াতো আল্লাহ্ বানিয়েছেন এমন করে - তার উপর যা মানুষের সুখ ,তার আড়ালে জাহান্নাম ; আর যা মানুষের কষ্ট ,তার আড়ালে জান্নাত ।তার সাথে দিয়েছেন স্বভাবের টান। শুধু আখিরাতের দিকে যেতে বললে কি যাওয়া যায় ?টর্চ ধরেন, এখানে অনেক বেশি অন্ধকার । যে পড়েছে সে দুর্বল বলেই পড়েছে ।নিজে নিজে উঠার শক্তি তার না-ও থাকতে পারে ।হাত ধরে টেনে তুলে সাথে নিয়ে যান।যাকে আজ আপনি ধরে রাখবেন ,সে একদিন আপনার পড়ে যাওয়ার সময় আপনার হাত ধরে রাখবে । পড়তে দেবে না । আল্লাহ্ আমাদেরকে সরল পথে যাওয়ার ইচ্ছা দিক।আমাদের ভাগ্যে জান্নাত নির্ধারিত হোক ।সালাম।
** চোঙ্গা ** - তিন * দূর্বোধ্য * ? অবিবাহিতা তিন বান্ধবী আলাপ করছে। বিষয় - কাপড়ের রঙ, গয়না এবং পরচর্চা। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হচ্ছে, কেউ কারো কথা শুনছে না ! যে যার কথা বলে যাচ্ছে। এক মাস পর... তিন বান্ধবীর একজনের বিয়ে হয়ে গেল। জামাই নাকি মস্তবড় ব্যবসায়ী। অবশ্য বয়সটা নাকি একটু বেশী, গায়ের রঙটা কালো এবং যৌথ পরিবারে থাকে। তার দুই মাস পর ... অপর এক বান্ধবীরও বিয়ে হয়ে গেল। তবে এই বরটা বেশ সু-দর্শন। বলতে গেলে ছায়াছবির নায়কের মত। সমস্যা একটাই- সে বাড়ির বড় ছেলে তিনবোনের এক ভাই এবং অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। সর্বশেষ বান্ধবীর যেকোন একদিন বিয়ে হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে কয়েক জায়গা থেকে প্রস্তাব এসেছে। তবে পাত্র পক্ষের নাকি কি সব দাবি দাওয়া আছে। সৌভাগ্যক্রমে সেদিন তিনবান্ধবীর আবার দেখা হয়ে গেল। মজার ব্যাপার এবার তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হলো- দুই বান্ধবীর এক ধরনের এবং অপর বান্ধবী শুধুমাত্র শ্রোতা। বিবাহিত দুই বান্ধবীর যত ক্ষোভ শাশুড়ীর পরে অত:পর দুইজনেতে মিলে তার মুন্ডপাত করে স্বামী দেবতা তাই সে সবকিছুর উর্ধ্বে ! তাদের সৌভাগ্যে নাকি ছাই ঢালে জামাইর বোন অবিবাহিত ননদ ...। আমার কথা: দূর্বোধ্য জীবনে আরেক দূর্বোধ্য হলো রমণী। কঠিন জীবনের কঠিন প্রকাশ। অপরদিকে, আমরা ক'জনই বা বৈষয়িকতা অতিক্রম করার কিংবা পরকে আপন করার ক্ষমতা রাখি? অথচ ঠিকই পরের দোষটা পরের মত বেশি দেখি।
কঠিন জায়গায় চলে এসেছেন চাচু , সময়ে উত্তর পাবেন ইনশা'ল্লাহ।এই জায়গায় আমাদের কিছু বিস্তারিত বলতে হতে পারে।সালাম। -----------------------------------------------------------------------------------------------সময়ে ১. পার্কে দু'জন । একটা মেয়ে।তার বসার ভঙ্গির সাথে পা৺পড়ি মেলে ধরা সদ্য ফোটা গোলাপের কী যেন মিল আছে।তার একহাত কোলের ওপর অলস ভাবে তুলে রাখা , অন্য হাত পাশে ঘাসের সবুজের ওপর আলতো ছোঁয়ায় বিছানো। মেয়েটার চোখ ছিল শেষ বিকালের সোনালী মেঘের দিকে । হঠাৎ সে চোখ ফেরাল ো - পাশের ছেলেটার চোখে - ছেলেটার চোখ মেয়েটার পুরো ভঙ্গিটা ভ্রমণ শেষে ঘাসের ওপর রাখা হাতটার ওপর স্থির হয়েছে- ছেলেটার মনে কিছু কবিতার ঢেউ - যার কিছু চরণ তার চোখে খেলা করছিলো- মেয়েটা লজ্জা পেয়ে চোখ নামালো । মৌনতায় সম্মতি ছিলো । ২. বাসরের মৃদু আলোয় মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে স্বপ্নের রাজকন্যাকে নিজের করে পাওয়াকে উপলব্ধি করলো সদ্য পুরুষ !ভেঙ্গে যাবে বলে ভয়েই যেন খুব আস্তে বউয়ের হাত ধরলো, একটু ভেবে লাজুক হেসে বললো - 'আমাকে কি আপন করে নেবে?' বউয়ের সাজানো চম্পাকলি আঙ্গুল স্বামীর সমর্থ হাতের কাছে আত্মসমর্পণ করলো। মৌন সম্মতিতে । ৩. রান্না ঘরে অভ্যস্ত ব্যস্ত হাতে খাবার তৈরি করছেন শাশুড়ি , পাশে কাজের লোক ।বউ লাজুক পায়ে এসে ঢুকলো - ' মা ,আমি করি?' মা শীতল হাসলেন - 'না বাবা, আমি পারবো । তুমি ওর পাশে যাও।' বউ সংকোচে এক হাতে আঁচল অন্যহাতে শাড়ীর কুঁচি সামলে গত রাতে পাওয়া রুমটার দিকে রওয়ানা হল ো ।চুপচাপ। ৪. বউ বিছানায় একপাশে বসে আছে ।একহাত কোলে, অন্যহাত বিছানায় । স্বামী ভাবছে- ' আমার মা এই বয়সে কেমন ছিলেন? আমার বাবার এই গয়না দেবার সামর্থ্য ছিলো না - পাশে বসার সময় ছিলো না- সেই সময় এত আরামের কিছুই ছিলো না- কষ্ট করতে করতে মায়ের আঙ্গুল গুলি কেমন হয়ে গিয়েছিলোো - কত দুঃসময় চলে গেছে এই সংসারটার !দীর্ঘশ্বাস শুনে বউ চমকে তাকালো -ম্লান মুখে তার নতুন নির্ভরতার মানুষটা তার হাতের দিকে তাকিয়ে আছে । ভয়ে -দুশ্চিন্তায় বউ শুকনো গলায় জানতে চাইলো- 'কি হয়েছে?' স্বামী আরও ম্লান হেসে বললো -'কিছু না'। বউ চুপচাপ চোখ নামিয়ে নিলো। জানলো ,সব কিছু তার জানার নয়। তবু সংসারে একসাথে থাকতে থাকতে সে একদিন জেনে ফেলে অনেক কিছুই।খুলে রাখে আঙ্গুলের আংটিগুলি, তারপর একসময় চুড়িগুলিও ।অবহেলায় তার ও হাত বিবর্ণ আটপৌরে হয়ে যায় ।সেও দ্রুত আঙ্গুলে নাস্তা বানাতে শিখে নেয় । তারপর - যখন কারো মুগ্ধ চোখের স্মৃতি প্রায় মুছে গেছে মন থেকে তখন আশ্চর্য হয়ে একদিন দেখলো- স্বামীর নিষ্প্রাণ মুখে যেন আলোর ছটা - সেই চোখ- সেইমুখ- অপলকে তাকিয়ে আছে - তার চোখে বিস্মরণের অতল থেকে তুলে আনা কবিতার ঢেউ - সে ঢেউয়ে ঝিলিমিলি অবয়ব ভাঙ্গে গড়ে - শুধু - শুধু সে নয় - সেই চোখে অন্য নারী !সেই নারীর আঙ্গুলে আংটির আলোর ঝিলিক -আংটিটি তার স্বামীর হাতে পরা ! অপমানে বিবর্ণ হাত আঁকড়ে ধরে এক হাতে দরজার কাঠ ,একহাতে আটপৌরে শাড়ির কুঁচি -।নিঃশব্দে সরে আসে টলমল পায়ে- তার নিচে মাটি নেই । ছিল ো কখনো !
ধন্যবাদ রুপা/ নিখুঁত তোমার চোঙ্গা/
ধন্যবাদ , চাচু।আসলে চিন্তিত আছি - বক্তব্য ক'জনের কাছে পৌঁছতে পারছে ।এই লেখাগুলিকে আমি কেচি আর সুঁই সুতার বিকল্প হিসাবে ভাবছি। দোয়া করবেন - আমার দরজি জীবন সার্থক হক।সমাজটা একটা ভালো ডিজাইনে আসুক। পরপর এতগুলি দুর্ঘটনা হজম করতে কষ্ট হচ্ছে । লেখায় মন বসছে না ।অথচ এইসব নিয়েই লেখা দরকার ছিলো। পারছি না। সালাম।
উৎসব চল্লিশ দিনের দিন সম্ভব হবে না বলে চার দিনের দিন ই একসাথে সব হয়ে যাচ্ছে।এলাকার লোকজন তাতে কিছু মনে করেনি । আসল কথা খানা ।দিন তো নয়।যারা করবে তাদের সুবিধা অসুবিধার ব্যাপার আছে। বড় বড় গরু এসেছে ।কিছু কেনা , কিছু উপহার ।বড় বাবুর্চি এসেছে । শহরে গ্রামে সব আত্মীয়- স্বজন বন্ধু বান্ধবকে দাওয়াত করা হয়েছে ।ফল ফলারে পাহাড় হয়েছে । সকালে কাঙালি ভোজ । বিকালে খাবেন সম্মানিতজন ।এগার জনের দল এসেছিলো এতিম খানা থেকে - কোরআন খতম করে গেছে ।এখন বাকীটা ভালোয় ভালোয় খতম হলে ব্যস। আয়োজনে কোন ত্রুটি রাখা হয়নি। আপ্যায়নের জন্য পানের কথাও ভোলেনি কেউ। যারা রাতে থাকবে তাদের জন্য বিছানা বালিশ ো ঠিক ঠাক আছে। অনেকগুলি তসবি ও কেনা হয়েছে ।তাহ্লিলের জন্য ।কাঙালির জন্য মাদুর আর ভদ্রজনের জন্য টেবিল সাজানো আছে। গতকাল যাকাতের কাপড় বিলি করা হয়েছে ।সারা গ্রামের লোক ভেঙ্গে এসেছিলো।গত তিনদিন ধরে এই নিয়েই ব্যস্ত ঘরের সবাই। পাড়া প্রতিবেশিরাও সাধ্যমতো করছে। সবকিছু দেখে তার মন ভরে গেলো। আহ্ ! নিখুঁত হয়ছে সব কিছু। হতে তো হবেই । তার বাবা এলাকার নামজাদা লোক ছিলেন। টাকা পয়সাও কম ছিলো না ,মাশা'ল্লাহ । এইটুকু না করলে মান সম্মান থাকতো ? আর তো পরকালের ব্যাপার । যা হোক , সময় মতো সব কিছু ভালোয় ভালোয় খতম হয়ে গেলো। [ এসব ঘটনার সব কিছুর অনেক আগেই দীন খতম হয়ে গিয়েছিল।আহা !যদি তারা জানার অবসর পেতো ।দুনিয়ার ব্যস্ততা তো খতম হবার জিনিস না, অবসর কি জীবিতকালে মিলে? ওভার টাইমের সিস্টেম থাকলেও মিলতো কিনা কে জানে।]
যা হচ্ছে সব চমৎকার...!!!! এই ফোরামে যা হচ্ছে তা সব গপ্ গপ্ করে গিলছি... খুব আফসোস হচ্ছে! যদি লিখতে পারতাম এমন করে! সেই যোগ্যতা নিয়ে বেড়ে উঠলামনা... গুরুকবি ও রুপা খালা ধন্যবাদ অনেক অনেক...
লিখি তো প্রাণের দায়ে । ধন্যবাদটা বোনাস হিসাবে নিচ্ছি ।অনেক ধন্যবাদ আদনান সাকিব। আপনি যখন লিখবেন তখন আমাকে গালে হাত দিয়ে বসে থাকতে হবে বলে আশংকা করি। কিন্তু তা' করতে ও ভালো লাগবে ইনশা'ল্লাহ।কাজেই -' যোগ দিন, সফল করুন। ' আরও যারা ভাবছেন আর আর পছন্দ হচ্ছে না বলে লিখছেন না তাদেরকে অনুরোধ- আগে লিখে ফেলেন , তারপর দরকার হলে বলেন -'এটা কেটে দেন, পড়ার দরকার নাই ।' আমরা কিছু মনে করবোনা।'পড়ে তারপর কেটে দেবো মনে মনে।সালাম।
১. মাঠ জুড়ে বাচ্চারা ছুটোছুটি করছে । প্রজাপতিটা ও অনেক ক্ষন ধরে ছুটছে ।যে কোন সময় ধরা পড়ে যেতে পারে। ক্লান্ত হয়ে নানা রঙের জামা পরা বাচ্চাগুলি এক জায়গায় বসে হাঁপাচ্ছে - হাসছে -।কেউ জানে না প্রজাপতিটা কোথায় গেছে । তাতে কী? অনেক মজা হয়েছে আজ। প্রজাপতিটা বিধ্বস্ত হয়ে ক্লান্ত রঙিন ডানা মেলে বসে গেছে সবুজ ঘাসের মাঠে।বাতাসে কারুকাজ করা ডানাগুলি একটু একটু নড়ছে। কেউ জানে না - মরে গেছে! ২. অনুষ্ঠানের তিন দিনের অত্যাচারে নয় শুধু - গত একমাস ধরে বিয়েটা নিয়ে যত টানা হেঁচড়া আর মন্তব্য ছোঁড়াছুঁড়ি হয়েছে তার মধ্যে পড়ে বেচারী মেয়েটা বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।মেক আপে ধ্বসে যাওয়া চেহারা কিছু লুকানো গেছে ।মনটা লুকানো যাবে কিনা কে জানে ।বিয়েটা হয়েছে ঠিক ,কেউ জানে না- মনটা মরে গেছে। বিয়ের অতিথিদের দিকে আঁকা চোখে তাকিয়ে আছে কনে ।বাতাসে মাথার পাতলা রঙিন ওড়না উড়ছে ।
ধন্যবাদ বাবু ভাই। প্রথমেই দু:খিত, এই কারণে যে, সময়মত ইচ্ছা থাকলেও যোগ দিতে পারি নি। ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। আমার সৌজেন্যে লেখা চোঙ্গাগল্পটি আমি সানন্দে গ্রহণ করলাম। আমি উচ্ছাসিত, আনন্দিত, সম্মানিত এবং মুগ্ধ। কিন্তু, সত্যি হলেও দুখের বিষয় , আমি গল্প, উপন্যাস, কবিতা লিকতে পারি না। ছোঙ্গা গল্পের হাতেখড়িও হয়নি.... তারপরেও চেষ্টা করছি, জানি না কি হবে, তবে কিছু না কিচু তো হবে!!!!!!!!!!!! মৃম্ময়: রোদেলা, আজকের আকাষটা দেখো। কি সু্দর। চমৎকার নীলচে আকাশে শারদীয় মেঘ। রোদেলা: হুম। দেখছি। মেঘের ছোটাছুটি দেখছি। কি অদ্ভুদ। তাই না? মৃম্ময়: শরৎ এর জ্যোৎস্নারাত কেমন হয় তুম জান? রোদেলা: না। জ্যোৎনা আমাকে পাগল করে তোলে। তোমাকে? মৃম্ময়: আমি কর্কট জাতক। শুনেছি জন্মলগ্নে আমার অধিপতি গ্রহ চন্ত্র। তাই হয়ত জ্যোস্সনারাতে আমার ভিতর এত হাহাকার, তোমাকে পাবার জন্য এত ব্যাকুলতা... রোদেলা: তুমি কাকে বেশি ভালবাস? আমাকে না প্রকৃতি কে? মৃম্ময়: আমি জানি না। এর উত্তর আমার জানা নেই। হয়ত কোন প্রেমিকেরই জানা নেই। I am really really confused either I hv come to make a CHUGHA GOLPA !!!!!!!!!
সালাম, ফরচুন। স্বাগতম। প্রথম প্রথম সবাই দ্বিধায় থাকে । কোন সমস্যা নাই।লেখার বিচার করা লেখকের কাজ নয়। তার দায়িত্ব লেখা । কাজেই মনের খুশিতে লিখতে থাকো - ।যাকিছু খবর মানুষকে দিতে চাও - এই জায়গায় তা' সহজ হবে ইনশা'ল্লাহ। সহজ কাজকে সহজভাবে নিতে একটু সময় লাগে । অসুবিধা তো নাই। চলো একসাথে কাজ করি ।আরও সুন্দর করি নিজেদেরকে ।আরও সুন্দর হোক আমাদের প্রিথিবী। তোমার শুরুটা আমার ভালোই লেগেছে।
একটা গল্প শুনেছিলাম । একটা বাচ্চাকে কিছু লিখতে বললেই কোন না কনভাবে সে কুমিরের লেজের একটা বিশেষ বর্ণনায় খাতা ভরে ফেলতো । পুরোটা তো মনে নাই। বোঝার সুবিধার জন্য বলি - হতে পারে বলা হলো- তোমার বাবাকে নিয়ে লিখ । সে লিখবে - আমার বাবা করিম শেখ । তার কোন কুমির নাই । কুমির ভয়ানক প্রাণী । তার লেজ খুব শক্ত আর খাঁজকাটা -খাঁজকাটা- খাঁজকাটা. ....................এইভাবে তিন , পাঁচ বা যত পাতা দরকার। আমাদের দেশে মাঝে মাঝেই রাজনৈতিক বা ব্যক্তি উদ্যোগে বড়সড় কোন বিশৃঙ্খলা হলে যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বা নেতা গোছের কেউ আমাদের মানবতা আর গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন -(আমাদের মনে পড়ে যায় এক সারিতে দাঁড়ানো কিছু দুর্ভাগা দেশের নাম -ইরাক- আফগানিস্তান .........,যেখানে মানবতা আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিঃস্বার্থভাবে অকাতরে আমেরিকাকে ক্ষয় করতে হয়েছে মেধা , অর্থ,সৈন্য,অস্ত্র ,সময় আর মিডিয়ার দরকারী ঘোমটা।তারপর আবার কষ্ট করে তাদের সরকার ও তৈরি করে দিতে হয়েছে । আমেরিকার দয়া।অসঙ্খ্য লাশ আর ভাঙ্গাচোরা সরিয়ে নতুন দেশ তৈরিতে এক্সপার্টের দরকার হয়। প্র্যাকটিস যাদের আছে তাদেরইতো অগ্রাধিকার থাকা উচিত। সেই ক্ষেত্রে আমেরিকার এই স্থান প্রাপ্য। ) আচ্ছা,বলছিলাম কুমিরের গল্প। তো , যখন আমেরিকা মানবতার কথা বলে, জঙ্গিবাদীদের হাত থেকে আমাদেরকে বাঁচানোর অঙ্গীকার করে - আমরা আমেরিকার দয়ার অপেক্ষা করি আর সুখী চোখে দেখতে থাকি কুমিরের লেজ - খাঁজকাটা -খাঁজকাটা-খাঁজকাটা...................
ফরচুন ভাই সালাম কৃতার্থ হলাম আপনার বিনয়ে। আপনি যদি বলেন আপনি লিখতে পারেন না, তবে আমি মনে করি এটাও একটা চোঙ্গা। পুন:বার মুগ্ধ হলাম আপনার শৈল্পিক আঁচড়ে। বাছুরে শৈশব আমার তেমনি তিক্ত অতীত! জীবনে পেয়েছি তারে ঠিকই- যাকে চেয়েছিলাম। পরান উজাড় করা সব রাগ সঙ্গীত গীতে' বিশ্বাস আমার চুঁয়ে নামে অত:পর শুধু... হ্যাঁ, আমি ভালোবাসার কথা বলছিলাম! স্বপ্ন জীবনের বিপরীত হবে এ আমি মানিনা, আর তাই পরিশ্রমে ভর করেছি আমি। জানিনে কতদূর সফল আমি হয়েছি। তবে খোয়াবের সর্বক্ষেত্রে আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ। আমি জানি আপনি একদিন অনেক বড় লেখক, সাংবাদিক হবেন। মাঝবয়সী আমি হয়তো তা দেখে যেতে নাও পারি। তাই অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখছি। ধন্যবাদ রূপা' চোঙ্গাকে তুমি যত্ন নিয়ে গড়ে তুলছো'...
সৌজন্যের জন্য ধন্যবাদ ,চাচু।সালাম। ----------------------------------------------------------------------------------------- সংবর্ধনা বিশেষ সভাটির বিশেষ আসনে বসে তিনি দ্রুত হিসাব করলেন । আধা ঘন্টা এই চেয়ারে বসার জন্য দাম এসেছে তাঁর পিছনের বেয়াল্লিশ বছর এবং সারা জীবনের অর্জন । সাংবাদিকদের ক্যামেরায় হাসি উপহার দিতে দিতে তিনি আরেকবার তাকালেন শূন্য চেয়ারটার দিকে যেটাতে তিনি যে বসেছিলেন তা' তিনি ছাড়া আর সবাই ভুলে যাবে এই অনুষ্ঠান শেষে সবাই বের হয়ে যাবার পর।এবং তাঁর ও আসলে মনে রাখা বা না রাখায় কিছু আসবে যাবে না। দ্বীপ মানুষ এমন একটা দ্বীপ যার চারদিকে অথই সমুদ্র ।সেই সমুদ্রের অন্য কিনারা শুধু কল্পনা করা যায় , দেখা যায় না।এই দ্বীপের উপরে যে আকাশ - তা' ও খুব সুন্দর একটা দেখার ভুল মাত্র ।আর কিছু নয় ।
ধন্যবাদ রূপা, অ-সাধারণ ../
ধন্যবাদ ,চাচু ।এই অথই সমুদ্রের মধ্যে দাঁড়িয়ে কারো সাথে কথা বলছি - এটা ই অসাধারণ । চির কৃতজ্ঞ আমি আল্লাহ্র কাছে।সালাম।
কাসুন্দি ১. বাঘ - পানি ঘোলা করলি কেন ? ছাগল - জনাব , দেখুন -পানি আগেই ঘোলা ছিলো ( বলার সাহস পেলো না বাঘই ঘোলা করেছে , কার এতো বড় বুকের পাটা - এমন কথা বলে ? )- বাঘ- মুখে মুখে কথা বললি কেন? আগেই ঘোলা ছিলো ? তুই না করিস , তোর বাপ করেছে , তোর দাদা করেছে - বেয়াদব ! তারপর আরামে বাঘ তার সকালের নাশ্তা করলো কচি - তাজা ছাগলের মাংসে - প্রাণ ভরে পানি খেয়ে হেলেদুলে চলে গেলো -যেদিকে সে যাচ্ছিলো - ২. স্বামী - সময়মত রান্নাটাও হয় না ।বাচ্চাটা না খেয়ে ঘুমালো , না? আর সারা ঘরের কী অবস্থা ! ঘরে এসে একটু বসার অবস্থা থাকে না । সারা দিন কর কী ? ( প্রত্যেকটা প্রশ্নের জবাব আছে । যেমন - বাজারটা ঠিক সময়ে হয়নি । এটা বললে - প্রশ্ন হতো - সব মহিলাই বাজারে যায় ।কর নাই কেন ? এই প্রশ্নের উত্তর ছিলো - টাকা দিয়ে যাও নাই । এটা বললে প্রশ্ন হতো - টাকা লাগবে বলো নাই কেন? এর উত্তর ছিলো - টাকা চাইলে গম্ভীর হয়ে যাও বলে আমার মাঝে মাঝে চাইতে খারাপ লাগে । এটা বললে প্রশ্ন হতো- কোন দিন না চেয়ে থাক নাকি ? এর উত্তর ছিলো - আমিতো রোজগার করিনা , বাধ্য হয়ে চাই । এটা বললে প্রশ্ন হতো - সব মহিলা ঘর সংসার করেও বাইরে কাজ করে।এতো ইচ্ছা থাকলে কর না কেন ? এর উত্তর ছিলো ...........................। চট্টগ্রামের ভাষায় একে বলে ' স-দির কিস৲সা [ আলিফ লায়লা]' । এতো কথার সময় কোথায় এতো ?আর , যে রোজগার করে তার সামনে কথা বলবে কে ? তা' ছাড়া সংসার সুখের হতে হবে রমনীর গুণে - ভদ্রলোক জেগে থাকা ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে টেবিলে বসে গল্প সল্প করতে করতে খেয়ে নেন । তাঁর স্ত্রী ঘরের বাকী কাজগুলি করতে করতে খেয়াল রাখেন কিছু লাগবে কিনা। তার খেতে আরও দেরী আছে ।আর এই দেরীর জন্য আরও একটা 'স-দির কিস৲সা ' উহ্য থাকবে রাতে ঘুমানোর আগে ।কারণ , সংসার সুখের হতে হবে রমনীর গুণে ।
আমি বললাম, 'ফুল' তুমি বললে, 'কিন্তু এত কাগজের!' আমি বললাম, 'তবুও তো ফুল... লোকটা তো কাগজ দিয়ে বন্দুকও বানাতে পারতো?' কবি সমূদ্র গুপ্ত
Manobotar Chitkar Shune Vangte Vangte Chetona Jeno Promotta Poddar Par..... Hate hath Kadhe Kadh Michile Moshale Shorob December..... Ekattor, She Chilo Ek Rokto Gongay Dub Shatar. Matri Vumi Maa Amar, Morar Age Morte Dibona Manush Thakte e Poran........
সমুদ্র গুপ্ত ঠিকই বলেছেন । লোকটা বন্দুক ও বানাতে পারতো। বানায় নি , এই ক্রিতজ্ঞতায় লোকে আর সারা জীবন সত্যিকারের ফুলের খোঁজে ও যেতে পারে না। জীবনে আর জানা হয় না - ফুলের কী ঘ্রাণ - কেমন তার রঙের উচ্ছ্বাস - তার স্পর্শ কেমন- কী তার পরিণতি - স্বাগতম আশিক । বন্দুক যারা বানায় তারা সবাই যদি কাগজ দিয়েই বানাতো - কত ভালো হতো ,না? যাই হোক,যারা পড়বেন মোগলের হাতে - তাদের সবার খানা খেতে হবে সাথে।সালাম সবার উপর।
চোঙ্গা গল্প শব্দটার সাথে আমি কখনই পরিচিত নই। আমার ব্যর্থতা আমি জানিনি এটা। শিখিনি। আপনাদের লেখা থেকে যতটুকু বুঝতে পারলাম এটা অনেকটা বা পুরোটা ইংরেজীতে যাকে বলা হয় 'হিউমার'। গুরুকবি এবং রুপা খালা এটা খুব ভাল বুঝবেন, আমি মূর্খ মানুষ। 'হিউমার'-এর পাশাপাশি আরেকটা ব্যাপার আছে 'উইট'। হিউমার যদি হয় মুখ দিয়ে বলা, উইট হলো মূলত মাথা দিয়ে বলা- এই দুটি বুঝাতে এটা একটা প্রচলিত উদাহরণ। আমি জানিনা কি বললাম আর বুঝাতে চাইলাম, যেহেতু নিজেই বুঝিনা। ভূল হলে মান্যবরগণ ক্ষমা না করলেও আশা রাখি সংশোধন করে দিবেন। আপনাদের আদনান সাকিব
সালাম , আদনান সাকিব। আমি খুব জ্ঞানী গুনী কেউ না। একটা ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হবে বলে অপারেশন থিয়েটার রেডি করতে হচ্ছে। বড় দায়ে পড়ে লিখছি । কী হচ্ছে হচ্ছে না ভাববার সাহস ও আমার নাই। আমার পিঠ দেয়ালে । আমাকে হয় শত্রু , নয় দেয়াল - কোন একটা ভেদ করে বের হয়ে যেতে হবে। নইলে অকালে ফসিল হয়ে যেতে হবে । আমার জন্য মনে প্রানে দোয়া করবেন। ' চোংগা ' তো চেনা শব্দ । গল্পের এই ধারার সাথেও পরিচিত ছিলাম। কিন্তু এই শব্দের এই ব্যবহার বাবু চাচুর এই লেখাটা পড়ার আগে আমারও জানা ছিলো না ।আমি চাচুর লেখা এই রকম একটা গল্প পড়েছিলাম সম্ভবত বিশ বছর আগে । অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এতো কম শব্দে এতো কথা বলা যায় দেখে। কিন্তু নিজে লেখার চেষ্টা খুব বেশি করিনি। এক সময় 'দৃশ্যাবলী ' নামে বেশ কয়েকটা দুই দৃশ্যের সারমর্ম ধাঁচের (নাটক আর গল্পের মিশেল ) লেখা এক্সপেরিমেন্টাল ভাবে লিখেছিলাম । সম্ভবত মাস্টার্স পরীক্ষার পর । লেখাগুলি আমার কাছে নাই। অনেক কবিতা ,অনেক গল্পের চেষ্টা ,চিঠি ছিল। কখন কোথায় হারিয়ে গিয়েছে বলতে পারিনা । আরও অনেক কিছুর মতো কিছু ধরে রাখার চেষ্টা করার অভ্যাসটা ও কখন চলে গেছে খেয়াল ও করিনি। যে আসে আসে - যে যায় যায়। আপনার 'চোংগা ' বিশ্লেষণ ভালোই হয়েছে । দু একটা লিখে ফেলেন - তাহলে বাকীটাও বোঝা যাবে । সালাম।
ট্রাম্ফেট বাজে, কর্নেট কেঁদে কেঁদে ওঠে, বাতাসটা জানালার কাঁচে শীষ দেয় বিজলী রাঙ্গিয়ে নীলাকাশটা সুরগুলো সব কেড়ে নেয় সম্পর্কগুলো কার্ণিশের নীচে দোল খেতে খেতে ঝরে পড়ে ভেজা ভেজা বৃষ্টি কার্ণিশের নীচে মুক্তোমালা গাঁথে। সারারাত ধরে চলা ধ্বংস আর সৃষ্টি অনতিদূর বিলম্বিত যাত্রা, ধরতে পারার নাগালে একেবারে কাছাকাছি থেকেও স্পর্শের বাইরে। যা কিছু ধ্বংস উপভোগ করে যাই সৃষ্টিগুলো পুরোটা জীবন দেখার আড়ালে থাকে- মৃত্যুর পরেও স্পর্শের বাইরে আপেক্ষিক মাত্রার জীবনটায় কোন শোধ নেই ক্ষমা নেই প্রেম যা কিছু ঈষত ঝাপসা স্বরবায়ুরেখা শুধু এটুকুই- বিনাশচক্র যতই ঘটুক প্রেম কিংবা প্রেমময় এইসব ছিলো আবার থাকবে ক্ষমা এবং শোধের আড়ালেও নগর প্রবাহের সম্পর্কে একমাত্র সন্ধিক্ষন হয়ে নির্মেঘ বৃষ্টির মতো ঝরে। ভেঁপু বাজায় টাউন সার্ভিস- বেলঘরিয়া থেকে নিমতা যেতে যেতে দুয়েকটি কথা সন্ধ্যার শেষ মেইল হুইসেল গেয়ে চলে গেলো যাত্রার শুরুপাত হলো কান্নাগুলো বাকিটা জীবন পুরোকাল জমাট বেধে গেলো যেদিন যাত্রা শুরু হলো সেদিনের অনেক কান্না আজ পাথর হয়ে গেছে, এখন মনে আবেগ আসলেই পাথরের ঠোকাঠুকি টের পাই শব্দ হয় বুকের ভেতর। তপস্যাকে বলে দিয়েছি বলেছি ঘুম ভাঙ্গার আগেই অভিযাত্রা থেকে ফিরে আসব, তোমার যেখানে শেষোক্তি তখন আমি অপার তপস্যায় যাবো। (শেষ সংস্করণ থেকে উল্লেখিত অংশ) আদনান সাকিব
** চোঙ্গা ** - চার * জীবন নারী এবং কবিতা * (প্রকৃত সত্য ঘটনা) রাশেদ- কবিতা' তুমি এসব কি বলছো, আমার সাহিত্য চর্চা আমাদের জীবন ব্যহত করছে? কবিতা- আমি এসব সাহিত্য-ফাহিত্য বুঝি না। আমার সাফ কথা আজ থেকে তুমি এসব থেকে দূরে থাকবে। রাশেদ- তুমি না আমায় উৎসাহ দিতে, বলতে- কবিতার জন্য একটা কবিতা লিখো? তিনশ পৃষ্টার একটা বড় উপন্যাস। প্রচ্ছদ করবে রণবী। কবিতা- সেতো বিয়ের আগে। অত:পর রাশেদ মনে মনেই উপন্যাস লিখে।
ধন্যবাদ চাচু ,। আপনি লিখলেন বলে আমাকে এটা আর লিখতে হলো না। দীর্ঘশ্বাসটাই ফেললাম।সালাম।
বড় বেলা ১ স্কুলের সামনে জটলা করে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন দু' চারজন অভিভাবক , যাঁদের সাধ্য মতো ভালো মন্দ সব কিছু করার পর এখন বাচ্চার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা করার মতো মাথা ও আর অবশিষ্ট নাই । সবার হাতে রেজাল্ট কার্ড। এক মহিলা সামনের মহিলাকে বললেন-" আপা দেখেন আমার মেয়েটার রেজালটের অবস্থা - শহরের সেরা স্কুলে দিলাম- আমার সেরা বাচ্চাটা - আর- " ২ শহরের নামকরা এক স্কুলের প্রিন্সিপালের রুমে শিক্ষকদের মীটিং হচ্ছে । এক শিক্ষক তাঁর পাশের চেয়ারে বসা সহকর্মীকে একটা রেজাল্ট কার্ড বের করে দেখালেন- "আপা দেখেন আমার ক্লাসের এই মেয়েটার রেজাল্টের অবস্থা -। বৃত্তি পাওয়া মেয়ে - অথচ এখন সব সাবজেক্টে পাস পর্যন্ত করতে পারছে না - গার্জিয়ান গুলির অবস্থা দেখলেন?"
এই লেখাটার নাম আরও দু একটা দেয়া যেতে পারে ।যেমন-
ভাত খাইসস কি দিয়া? -'' তিমি মাছ দিয়া" কত্ত বড়ো? -''বিশাআআআআ্ললল বড়ো চউক্কে দেখন যায়না যেন মাথার চারিপাশে ধুন্দুমার আন্ধার...''
আসসালামুম আলাইকুম ! আদনান সাকিব, আমি সত্যি সত্যিই গালে হাত দিয়ে ভাবছি ।
এই জন্যই আল্লাহ্ দুঃখ সুখে অধীর না হতে বলেছেন । সালামে ম একটা বেশি হয়ে গেলো। sorry.
কেউ না'র গল্প এই নামে একটা রুপকথার গল্প কোথাও পড়েছিলাম । মনে নেই । গল্পটাও মনে নেই । আমি বরং নিজের মতো করে একটা লিখি - ----------------------------------------------------------------------------- এক দেশে এক রাজকুমারী ছিলো । তার যখন বয়স হলো বারো - সে এক রাজকুমারের জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করলো । প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা জানালায় বসে সে পথ চেয়ে থাকতো। একদিন সত্যি সত্যি এক রাজপুত্র এসে রাজকন্যার পাশে বসলো । রাজকন্যা অবাক খুশিতে জানতে চাইলো - ' রাজকুমার , কী নাম তোমার ?' রাজপুত্র উত্তর দিলো - 'কেউ না'। রাজকুমারী কেউ না কে ভালবেসে ফেললো । সেই জানালায় বসে রাজকুমারী এবার সকাল স্নধ্যা কেউ না'র সাথে গল্প করে আনন্দে সময় কাটাতে লাগলো । দিনে দিনে রাজকুমারীর চুল কালো থেকে রুপালী হয়ে উঠলো । কেউ জানলো না, কেউ দেখলো না - কার সাথে সে কথা বলে । কিন্তু খুবই বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়ে রাজপুত্র কেউ না সারাজীবন রাজকুমারীর সাথে থেকে গেলো। কেউ হলেতো তাকে কখনো না কখনো চলে যেতেই হতো। তাই না?
কথোপকথন গণতন্ত্র - ' তোমার সমস্যা কী ? দেশে দেশে মানুষ আমার জন্য প্রাণ দিচ্ছে - কত দেশ স্বাধীনতা পর্যন্ত দিয়ে দিলো - ' একনায়ক তন্ত্র - ' সমস্যাতো আমার না , তোমার । তোমাকে স্যালাইন দিয়ে ইন্টেন্সিভ কেয়ারে রেখে জনগণের কয়দিন পোষায় ? '
** আড্ডা - স্কুল প্রাঙ্গন** চট্টগ্রাম শহরের একটি নামকরা স্কুলের কয়েকজন অভিভাবক আড্ডা দিচ্ছেন। সুপ্রিয় পাঠক' আপনাদের নিশ্চয় বুঝতে কষ্ট হচ্ছে উনারা ছাত্র-ছাত্রীদের মা নাকি বাবা। আমি কি করবো বলেন? কারণ এখন তো ব্যাকরণ বা লিঙ্গকরণের তেমন ব্যবহার নাই। তবে চুপে চুপে বলছি শুনুন উনারা সবাই ছাত্র-ছাত্রীদের বিচক্ষণ মাতা। (আমি বাদাম ওয়ালার ছদ্মবেশে উনাদের কাছে পিঠে থাকলাম)। ১। তানজিমার মা ভাবী : আপনার ভাইকে কিন্তু বলেই দিয়েছি' নাছিরাবাদে আমার একটা ফ্লাট লাগবেই। তা তুমি যেভাবেই পারো। - ভাই কি করেন? ২। রাইমার মা ভাবী : ভাবী এবারের শীতে কিন্তু আমরা সিলেট যাচ্ছি। শুনেছি ট্রেনের যাওয়া নাকি খুব বিরক্তিকর। তাই শাহেদকে বলে দিয়েছি বিমানে না হলে আমি যাচ্ছি না। এদিকে আমার আবার হোটেল বাই আছে, হাই ফাই না হলে হয় না। ভাবী পাওয়া যাবে তো? - ভাই কি করেন? ৩। আলো ভাবী : (কার মা জানি না তো - ) এই ভাবী দেখেন না আপনার ভাইয়ের কান্ড। আমার দরকার নাই তবুও কতবড় নেকলেসটা বানিয়ে দিলো। বুঝছেন ভাবী রায়হানটা একটা আস্ত পাগল। আমাকে এক মুহুর্ত না দেখলে তার নাকি অস্থির লাগে। - ভাই কি করেন? ভাইয়ের বয়স কতো? ৪। মিষ্টি ভাবী : (যথারীতি কার মা জানি না -) আপনাদের ভাইকে তো বলেই দিয়েছি অসুখের নাম করে এত ঘন ঘন তোমার মা-বোনদের বাসায় আসাটা আমার পছন্দ নয়। তাছাড়া কিংকুকের লেখাপড়ার ক্ষতি হয়। তোমার তো অনেক আছে। তাদেরকে এককালীন কিছু দিয়ে দাও না। না গফুর তা করবে না। বেকুবের মতো মা বলতে অজ্ঞান হয়ে যায়। যতসব সেকেলে স্বভাব। - আরে বদ মেয়ে চুন্নি' দু'দিন পর তুই ও তো শাশুড়ি হবি' তখন যদি তোর সাথে এই ব্যবহার করা হয়, তখন কেমন লাগবে? ৫। ইন্সুরেন্স ভাবী : (মনে হয় ওনার আদৌ কোন বাচ্চা এই প্রতিষ্ঠানে নেই) জানেন ভাবী আমাদের সবার জীবনে ইন্সুরেন্স একটা নিরাপদ ব্যবস্থা। আমাদের সবার উচিত সামর্থ্য অনুযায়ী পলিসি নেওয়া। তারপর পলিসির বিভিন্ন ধরনের বর্ণন...। - জীবনে কে কাকে নিরাপত্তা দিবে? (মানছি বির্তক হতে পারে তাই মন্তব্য করছি না)। উহ্য রেখেছি আরো গোপন কিছু কথা। সরকারী ভাবীরা বলেন- আমি ইচ্ছে করলে প্রিন্সিপালের বারটা বাজাতে পারি। জানেন, সাহেব আমার কত ক্ষমতা রাখেন? - সাহেব কি ভাবীর হাতে জিম্মি?
আসসালামু আলাইকুম,চাচু। একদম ঠিক ঠিক বলেছেন।
দয়া শিকারী নিঃশ্বাস ফেলছে কি ফেলছে না -লাঠি গাছের ডালের সাথে ঠেকানো - মাথায় আঠা - নিঃশব্দ অপেক্ষা ...... পাখিটা লাফিয়ে এ ডাল ও ডাল করছে - কখন শিকারীর অসতর্ক মনে স্মৃতির সর্বশেষ সংগ্রহটি ছায়া ফেললো - । পাখি মুছে ভেসে উঠলো উসকো খুসকো চুলের আধা নেশাগ্রস্ত ছেলেটার চেহারা। ছুরি ধরে পিছনে দাঁড়িয়ে অস্থির ভাঙ্গা গলায় যখন বললো , " দিয়ে দাও !" -তখন শিকারীর সারা সকালের রোজগার বারো শ টাকা শুধু তাকিয়ে দেখে ফেরত দেবে মনে হয় নি । বরং সাহস করে ছেলেটার মুখের দিকে যখন ঘুরে তাকালো ,ছুরিটা মেরে দিয়ে টাকাগুলি নিয়ে হাওয়ায় মিলাবেই মনে হচ্ছিলো । তবু কেন এই আশ্চর্য ঘটনাটা হলো ! হঠাৎ পাখা ঝাপটানোর শব্দে শিকারীর হুঁশ হলো - পাখি ! কাজ শেষ । লাঠি টেনে নামিয়ে পাখিটাকে বিশেষ কায়দায় হাতে নিলো সে । কী ভেবে হঠাৎ পাখিটার দিকে তাকালো - কী দেখলো কে জানে - মন খারাপ হয়ে গেলো তার। মুখ তুলে আকাশের দিকে তাকালো - খোলা আকাশ - মন ভালো হয়ে গেলো শিকারীর । পাখির পা থেকে আঠাটা মুছে নিলো পরম যত্নে । একবার সারা গায়ে হাত বুলিয়ে আদর করে দিলো - মুঠোর বাঁধন আলগা করে হাতের ওপর ধরে রাখলো পাখিটাকে ... পাখিটাকে বুকে নিতে নিতে আকাশ হেসে উঠলো । খালি হাতে - ভরা বুকে শিকারী সুখের গান ধরলো -
পথে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। মাথার উপরের খোলা আকাশটা অদৃশ্য হয়ে গেছে গাঢ় কুয়াশায় । বড় বড় ফোঁটায় শিশিরের বৃষ্টি শুরু হবার পর সুখী মুখটা মোটা চট আর প্লাস্টিক শিট দিয়ে বানানো বিশেষ ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেললো । এটা আসলে কোন ঘর নয়। একটা ব্যাগ । এক ব্যাগ সুখ হয়ে সুখী যখন প্রায় ঘুম তখন তার পাশে এসে গা ঘেঁষে কেউ শুয়ে গেলো ।পায়ের কাছের কুকুরটা কুণ্ডলী পাকিয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলো অনেক আগেই। সকালে তিনজনের মধ্যে কুকুরটাই আগে উঠলো ।ধীরে ধীরে কোথায় চলে গেলো । অন্য দুজন উঠেই মুখোমুখি হয়ে গেলো ।হাসলো । তারপর - যেহেতু তাদের বিয়ে করার সুযোগ ছিলো - তারা বিয়ে করলো । সেই শীতটা তারা ভালো কাটালো ।যদিও জানতো - গরম পর্যন্ত তারা একসাথে না ও থাকতে পারে । এমনকি তাদের একটা বাচ্চাও যদি জন্ম লক্ষণ প্রকাশ করে , তবুও ।
নিয়ম বিড়াল কাঁটা খায় , বিড়ালকে কাঁটা দেয়া হয়। বাঘ চিড়িয়া খানায় থাকলেও , মাংস খায় বলে বাঘকে মাংস দেয়া হয়।