কি পরব, শাড়ি পরলে কেমন হয় ? বেগুনি কালারের মণিপুরী শাড়ি ' ম্যাচ করা ব্লাউজ টিপ।পিঙ্ক কালার লিপস্টিক। মোটা বেগুনি’ হলুদ চুড়ি। হাই হিলের সাদা সেন্ডেল। গলায় লম্বা পুতির মালা।লেয়ার কাট চুল' সামনে পেছনে' উড়ুউড়ু বাতাসে। আরবের উম্মে কুলসুম’ রাশেদের খুব পছন্দেরপারফিউম ...................................................................................................................... সকাল থেকে মনটা' আমার খুব খারাপ। না' রাশেদের সাথে আমার কিছুই হয়নি ' বরং এক সময়ের ক্লাস ফ্রেন্ড রাশেদ' এখন আমার বাবা -মায়ের ও খুব প্রিয়। ব্যাংকার’ ভালো সেলারি ড্র' করে’ তারপরে আবার ভালো বনেদী পরিবারের' ছেলে' এমন পাত্র ভাগ্য’ ক' জনের' হয়। সেদিন মা' তো সরাসরি প্রশ্ন করলেন - আচ্ছা লুবণা’ রাশেদ ছেলেটা কেমন ? মানে ? তুমি কি জানতে চাও ? এভাবে কথা বলছিস কেন ? কিভাবে কথা বলছি ? দেখো মেয়ের কান্ড ' ভালোবাসা মনে মনে ' অথচ মুখে লাজ। মা ' কে বলেছে তোমায় এসব ? কে বলবে আবার ' আমি কি কিছুই বুঝি না ? থাক মা ' ওসব কথা'. অন্য কথা কিছু থাকলে বলো। না' নাই। কিন্ত আমার তো মনে হয় তুমি আরো কিছু বলবে ? যদি বলি রাশেদ' কে আমরা জামাই করবো' তুমি রাজি ? জি না মা , সে আশা' পূরণ হবে না ' কারণ রাশেদ তোমার মেয়ে কে বিয়ে করবে না। রাশেদ বলেছে ? ইয়েস মাদার। হারামি ছেলে তো । দেখো মা ' পরের ছেলেকে গালিগালাজ করো না। পরের ছেলে না, আমাদের মেয়ের জামাই। তুমি কনফার্ম ? দুইশত পার্সেন্ট। কিভাবে এত কনফার্ম হলে ? তুই আমার মেয়ে বলে। মা’ তুমি এত ভালো কেন' ? ....................................................................................................................... রাশেদের এখন উনত্রিশ চলছে। হালকা পাতলা শরীর' অতিরিক্ত উচ্চতার কারণে একটু কুজো হয়ে হাঁটলে ও চেহারাটা তার বেশ মেনলি' ভরাট কণ্ঠস্বর'। মজার বিষয় হলো -রাশেদের শ্যামল অবয়বের কোথায় যেন একটা চাপা বন্যতা আছে ' যা দেখে যেকোনো মেয়েই তার প্রতি দূর্বল হয়ে পরে। দুইভাই ' বোনের মধ্যে রাশেদ বড়। বোন'টা এবার ইন্টারমিডিয়েট দেবে।বাবা সরকারী চাকুরী করতেন ' গত এক বছর আগে অবসর নিয়েছেন। মা ' তার স্বভাব সুলভ নম্রতা দিয়ে' এ সংসারটা যুগের পর যুগ’ আগলে রেখেছেন। এ সংসারে সামান্য অভাব থাকলেও পারস্পরিক মায়া’মমতার কোনো ঘাটতি হয়নি কখনো। রাশেদ এর বাবা মোবারক মিয়া ' উনার সারা জীবনের সঞ্চয় নিয়ে চান্দগাঁও এর এক কিলোমিটার নামে' একটা হাফ গ্রাম' হাফ শহরে' দু'তলা বাড়ির কাজে হাত দিয়েছেন। মোবারক মিয়ার আশা' চলতি বছর ডিসেম্বর এর আগে বাড়ির কাজ শেষ হবে। তবে বাড়ির কাজ শেষ হবার আগে উনি বাড়ির প্রধান ফটকে পিতলের হরফে লিখেছেন - আফসানা ভিলা। স্ত্রীর আফসানা নামটা মনে হয় মোবারক মিয়ার খুব পছন্দের - ক' দিন আগে উনি একটা স্টিলের আলমিরা বানিয়েছেন -আলমিরার উপরে লেখা -আফসানা।আর উনার প্রতিবেশীরা' অনেকে বিষয়টা অবগত আছেন। ....................................................................................................................... লুবণার সাইলেন্ট মুডে রাখা মোবাইল ফোন ডিসপ্লেতে' অচিন নম্বর ১৫৫৩৩........... ' নিশ্চয় রাশেদ।ওর স্বভাব এমনি - প্রতিবার মোবাইল ফোন হারাবে আর সেট চেঞ্জ করবে। : হ্যালো' লুনা ' আমি রাশেদ' নতুন নম্বর টা' নোট করো'. আর এখনই রেডি হয়ে বাসার সামনে এসো. আমি দশ মিনিটের মধ্যে আসছি। রাশেদ মানুষটা বড্ড অস্থির। তবে লুবণা বেশ উপভোগ' করে। লুবণার এমনি প্রেমিক দরকার ' মুহুর্তে আমার আমি কে দখল করবে' এবং অত:পর আরবার বারবার। এক্ষণি রেডি হতে হবে। কি পরব, শাড়ি পড়লে কেমন হয় ? ....................................................................................................................... বেগুনি কালারের মণিপুরী শাড়ি ' ম্যাচ করা ব্লাউজ টিপ।পিঙ্ক কালার লিপস্টিক। মোটা বেগুনি’ হলুদ চুড়ি। হাই হিলের সাদা সেন্ডেল। গলায় লম্বা পুতির মালা। লেয়ার কাট চুল' সামনে পেছনে' উড়ুউড়ু বাতাসে। আরবের উম্মে কুলসুম’ রাশেদের খুব পছন্দের পারফিউম। শ্যামলা মেয়ে লুবণা- দেখো তোমায় দেখে প্রেমিক আজ কি বলে ' আয়না’ তুমি ও দেখছি মায়ের মতো শুরু করছো। বাহিরে মোটর গাড়ির অস্থির হর্ন। এই লুবণা' রাশেদ কে ভিতরে ডাক। মা ' আমি পারব না ' ডাকতে হলে তুমি ডাকো। ল্যান্ড ফোনের কর্কশ রিং। ক্রিং ক্রিং ক্রিং.। হ্যালো' লুনা' মোবাইল ফোন রিসিভ করছোনা, কেন ? তোমাকে মা বাসার ভিতরে আসতে বলছেন। সেদিন একেবারে আসবো। কোন দিন ? জানিনা। না জানলে’ কি ভাবে হবে ? এখন রাখো ও সব, আমি গাড়িতে বসে আছি। অভদ্র হলে যা হয়। ঠিক তাই' লুবণা আকতার। আকতার' না নাহার।' ....................................................................................................................... করোলা X- ১৫০০ সি সি । পিয়াজ কালার । ড্রাইভিং সিটে মজবুত এক জোড়া হাত। যুবকের মুখে বিরক্তির ছাপ ' থাকলে ও মনে হচ্ছে সে বেশ মুডে আছে। রাগিণী খেলিছে আজি তার প্রদীপ্ত হিয়ায় আমি যে ভালবাসি শুধু তোমায়।' আচ্ছা কি আছে পাশে বসা এই যুবকের মনে ? আমি কি চিনি তারে ? কিনবা সে মোরে ? তবে এখনো কেন সে ডাকেনা মোরে মোর নামে ? লুবনা আখতার'।' এই পিয়াজি ' কথা কানে যায় না ? কি বলিবো রাশেদকে ? আজ রাশেদ যেন মাইন্ড রিডার'. না তোমার কিছু বলার দরকার নাই। কেন? কারণ তোমার বাছাই করা শব্দের কাছে সব সময় আমি পরাজিত হয়েছি। আজ আর নুতন করে হারতে চাই না। জিততে ও তো পারো। বাদ দাও ওসব কথা মালা ' শুনামুখী সুই দিয়ে নকশী কাথা। পরের একটা সেকেন্ডে কি যে হলো দুজনার 'এবং একে অপরের বুকে। মেটাডোর’ লেপ্টে গেছে 'রাশেদের গালে মুখে। প্লেয়ার বেয়ে নামছে চিত্র সিং এর মধু - দু'টি মন আজ নেই দু' জনার। .. টয়োটা তখন শহর পেছনে রেখে গ্রামের মেঠো পথে নেমে গেছে।
আজ অনেক দিন পরে আমার শিকড়ে বটবৃক্ষ' চুনতি ডট কম এ' এলাম। আপনাদের সবাইকে সালাম এবং শত শুভ' কামনা আরবার। ............................................................................... জানি আমার গ্রন্থনা দূর্বল' তবু ও আমি আপনাদের মাচানে' থাকবো' এ আমার এত টুকু আশা। সকলের ভালবাসা কামনা করছি।
প্রেমের গল্প' লেখার জন্য অনেক যত্নের প্রযোজন'।. দরকার' অনেক সময়ের ' এবং আমার জন্য যা অকল্পনীয়। আমি আমার জীবিকা উতরে যেতে পারবো কি কখনো জীবনের দুয়ারে ?আমি জানি এ অকল্পনীয় এক আবদার। তবুও আপনাদের ভালবাসা চাই -আরবার আরদিন। .................................................................................................................... আমার দিন শুরু হয় - অতি ভোরে'।তারপর সূর্য ডুবে।রাত নামে। মায়াবী চাঁদ এসে আলো দেয় ' জোসনার রূপে সিক্ত বিশুদ্ধ হয় হিয়া। অথচ আমি ? অতপর জীবিকার তাগিদে ছুটে চলি' দিনের পর দিন। আমার আমিকে ভুলে গেছি বহু কাল আগে। মুজিব পরদেশী' তোমার সে গান -আমি বন্দী ারাগারে' আমায় আজিকে আবারো কেবলি কাদায় এবং আমি এক পরাজিত যোদ্ধা ' কিন্ত প্রকৃত প্রেমিক। ................................................................................................................... আলাউদ্দিনের চেরাগ দৈত্য' তোমায় হাতে পেলে বলতাম - এ দেশের রাস্তা ঘাট সব সাফ করে দাও.তেমনি খারাপ লোকদের ধরে এনে সাজা দিয়ে ভালোমানুষ বানিয়ে দাও.....
আজ আবারও হলো আলো ঝলমল অনন্য আপনার অসাধারন লেখনীতে চুনতিডট কম হল ধন্য।
ছাইফুল ভাই' আপনার মত একজন আমার লেখাটা পড়ার জন্য গর্বিত বোধ করছি .