স্বনামধন্য চুনতির (www.chunati.com) বিরাজমান পরিস্থিতির পর্যালোচনায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় 28 জুলাই রাত 9 টায়। চুনতির আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে এই সভা আহ্বান করা হয়। মূল আলোচ্য সুচী চুনতিতে মাদকের উপদ্রব ও গরুচুরি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি । এটি বড় উদ্ভেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। শ্রদ্ধেয় মুহাম্মদ ইসমাইল মানিক এর পরামর্শক্রমে জনাব জাহেদুর রহমান উক্ত মতবিনিময় সভা সমন্বয় করেন। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করে চুনতি সমাজ কল্যাণ পরিষদ সভাপতি রাশেদুল হক টিপু। শুরুতে পবিত্র কোরআন হতে তেলওয়াত করেন মুহাম্মদ ইবনে মালেক দিনার নেজাত। সভার উদ্দেশ্য ও দিকনির্দেশনামুলক তথ্যাদি সহকারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ ইসমাইল মানিক। তিনি উপস্থিত সবাইকে মাদকের উপদ্রব, যুবসমাজের মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্তি, মাদক কারবারি জড়িতদের চিহ্নিতকরণ ও গরু চুরি রোধে করণীয় সম্পর্কে সকলের নিকট পরামর্শ প্রদানের জন্য আহবান জানান। পরবর্তীতে বিভিন্ন পরামর্শ সহকারে পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখেন আমিন আহমেদ খান, ওয়াহিদুল হক, জহির উদ্দিন, কুদরত উল্লাহ শাহিন, মুহাম্মদ সৈয়দ উদ্দিন সিদ্দিকী, মুছা রেজা সিদ্দিকি, মোহাম্মদ শামীম, সানজিদা রহমান নন্দন, কসশাফুল হক শেহজাদ, শাকিলা সুলতানা মিতু, তালেবুর রহমান, রবিউল হাসান আশিক, রাশেদুল হক, জুনায়েদ, শায়েখ আহমেদ টিটু। এছাড়াও উক্ত সভায় আরো সংযূক্ত ছিলেন মোহাম্মদ তছলিম, মোহাম্মদ নাইম, কাজী আরিফুল ইসলাম, রিয়াদ ইসলাম, শাহাদাত খান সিদ্দিকী ও মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
সভায় নিম্নলিখিত প্রস্তাবাদি লিপিবদ্ধ করা হয় :
* চুনতির প্রবেশপথগুলো ও গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা সংযোগ করে নজরদারিতে রাখা।
* চুনতি সমাজকল্যাণ পরিষদের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক প্রতিনিধি ঠিক করে একটি কমিটি গঠন করে মাদকের উপদ্রব ও গরুচুরি রোধে কার্যকর পরিকল্পনা করতে হবে। নিয়মিত ফলোআপে ও মিটিং আয়োজন করা ।
* চুনতির কিছু চিহ্নিত লোক রয়েছে যারা মাদক কারবারিতে জডিত তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করা।
* গরু চুরি ও মাদকের উপদ্রব রোধে পাড়াভিত্তিক পাহারাদারের ব্যবস্থা করা। * যুব সমাজের জন্য সচেতনতামূলক ও মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম আয়োজন করা।* মাদক কারবারি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি সামাজিক ভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করার আহবান জানানো হয়।
* মাদকাসক্ত লোকগুলো এখন চুনতিতে ঘরবাড়িতে চুরি ইত্যাদি সতর্কতা জারি করা।
* চুনতির প্রবেশপথ সমূহ পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করা যেতে পারে।
* চিহ্নিত কিছু ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা।* মাদক কারবারের পরিচিত রুটগুলো চিহ্নিত করা ।
* এলাকার সেচ্ছাসেবক, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পাহারা এবং সেই সাথে তাদের জন্য আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।
* জনপ্রতিনিধি, দফাদার, চৌকিদার এদের দায়িত্বের জবাবদিহিতা সামাজিকভাবে নিশ্চিত করা।
বিশেষ করে এলাকার রাজনীতিবিদদের সহযোগিতা ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়া। এটা নির্মুল করতে পারলে সব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমে আসবে। সকলের পরামর্শের প্রতি সম্মান ও যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়ে মুহাম্মদ ইসমাইল মানিক উল্লেখ করেন, ” চুনতির সবাই একে অপরের আত্নীয়তার বন্ধন। চুনতির সন্তান হয়ে যারা মাদকে ও গরু চুরিতে জড়িত তারাও আমাদের নিকটজন। তাদের কাছে টেনে নিতে হবে। আর পথভ্রস্ট হতে দেওয়া যাবে না।”
পরিশেষে সম্মানিত সভাপতি রাশেদুল হক টিপু বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, করোনার কারণে সবাই যেখানে আতংকিত সেই সুযোগে কেউ কেউ মাদকের কারবারি করে সমাজকে দুষিত করছে। প্রতিবছর কুরবানের আগে গরু চুরিও বেড়ে যায়। তাই আমাদের সবার সোচ্চার হতে হবে। আইনশৃঙ্খলার অবস্থাও আরো উন্নতি করতে হবে। প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তালেবুর রহমান ও শাকিলা সুলতানা মিতুর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উনাদের সহযোগিতা চান তিনি। এছাড়াও মাদক কারবারি ও গরুচুরি রোধে সবাইকে সামাজিকভাবে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
চুনতি ডটকমের পক্ষে
মোহাম্মদ ইব্রাহীম
Make sure you enter the(*)required information