চুনতি অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও সামাজিক পরিমণ্ডলে একটি সম্ভাবনাময় জনপদ। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ঘিরে আঞ্চলিক উন্নয়নের যে ডামাডোল চলছে, এর মধ্যে চুনতির জন্য আমরা নিজেরাই একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করতে পারি। বাস্তবায়ন হোক বা না হোক অন্ততপক্ষে এর মাধ্যমে আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে একটি গাইডলাইন দিয়ে যেতে পারবো।পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কাঠ উৎপাদনকারী অঞ্চল এবং চুনতি এই পণ্য পরিবহনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গেটওয়ে। চুনতিতে হতে পারে বনশিল্প কারখানা, গবেষণাগার কিংবা এ সংক্রান্ত একাডেমিক ইনস্টিটিউট।চুনতি একটি পাহাড়ঘেরা এলাকা। এখানে পরিস্কারভাবে আকাশ দেখা যায়। রাতে এ পরিবেশ আরো অনুকূল হয়ে উঠে। এখানে সরকারী উদ্যোগে একটি প্ল্যানেটারিয়াম/স্পেস রিসার্চ সেন্টার গড়ে তোলা যায় (সম্প্রতি ফরিদপুরে এ ধরনের স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়)। বিষয়টি সরকারের নজরে আনা যায়।চুনতি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের যোগাযোগের মধ্যবিন্দুতে অবস্থিত, যা অনেকটা ঢাকা-চট্টগ্রাম এর মাঝামাঝি কুমিল্লার মতো। ভৌগলিক এ গুরুত্বকে চুনতিবাসী ব্যবহার করতে পারে। বনপুকুর পাড়, শাহ্ সাহেব গেট, চুনতি বাজার, হাজীর রাস্তার মাথা এলাকায় ছোট ছোট উন্নত মানের হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা যায়। অথবা বর্ণিতভাবে যোগাযোগের কৌশলগত গুরুত্ব বিবেচনাপূর্বক এতদঞ্চলে পোল্ট্রি, ডেয়রী শিল্প, বেকারি, ছোটখাটো কলকারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে (ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ডেইরিসহ কিছু পৌলট্রি ফার্ম স্থাপিত হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয়)। পর্যটন শিল্পের বিষয়টিও এখানে সম্ভাবনাময়। উল্লেখ্য, শিল্পায়ন ঘটায় ও রেল যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় কক্সবাজারের গুরুত্ব আরো বাড়বে, নগরায়ন আরো বৃদ্ধি পাবে। ফলশ্রুতিতে ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ভোগ্য পণ্যের চাহিদাও বাড়বে। বর্ণিতভাবে সকল সুবিধা চুনতিবাসীর নিতে হবে। এতদঞ্চলে ভবিষ্যতে বেকারত্ব বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। দিন দিন রোহিঙ্গাদের উৎপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় এ আশঙ্কা আরো বাড়বে বৈ কমবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদেরকেই পরিকল্পনা করতে হবে, তদনুযায়ি সামষ্টিক/গোষ্ঠীবদ্ধভাবে এগোতে হবে, নিজেদের মধ্যে ঐক্য রাখতে হবে । শুধু অতীত-ঐতিহ্য নিয়ে বসে থাকলে হবে না।ওয়াহিদ আজাদ, ১২ অক্টোবর '২১
Make sure you enter the(*)required information