-মধ্যযুগের সেই পুঁথি,পদ্মাবতী থেকে চলে আসছে এই গান, যা বাংলা গানের সমবয়সী বলেও ধারণা করা হয়। -মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা- ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||| সাতকানিয়ার তু নয়া বউ আইন্নে আইল্যার বয়রো হইল্যার লায়! পাড়ার মানুষ ভাংগি ফরইগে - নোয়া বউ' চাইবার লায়'! গীতিকার- জনাব উমেদ উল্লাহ খান /\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/\/ চিটাগাং এর গান হলো এদেশের লোক গানের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জীবন ঘনিষ্ঠ-কথা ও সুরে উঠে আসে সংস্কৃতি, পারস্পরিক মায়া-মমতা বন্ধুর লাগি বন্ধুর অকৃত্রিম প্রেমটান আকুতি। হাসি কান্না মান অভিমানের এ গান হাজার বছর ধরে নিটোল বিনোদনের তুঙ্গে রেখেছে আমাদের চট্রলাবাসীকে! মধ্যযুগের সেই পুঁথি,পদ্মাবতী থেকে চলে আসছে এই গান, যা বাংলা গানের সমবয়সী বলেও ধারণা করা হয়। ' রসর হতা হই হই হদিন ঘুরাইবা হতা দ না আঁরে তুঁই দাগা ন' দিবা'। এমনি সহজ সরল কথাবার্তা আর নিখুঁত আবেদন যে কারো মন ছুঁয়ে যাবে-পাষাণ ঘেমে নামবে দরদ আর নরম নরম আবেগ। সিরাজুল ইসলাম আজাদ সাহেবের হেড মাষ্টার গানের অনবদ্য কথা,মানুষের অন্তর ছুঁয়ে গেছে। এরপর আজাদ সাহেবের আরেকটা প্রাণকাড়া প্রেম বিরহের গানঃ আইজকাল আই আইলে এনকা গর আগর ডইল্লা দেইন নো ফার আই তো বুঝির বেয়াগ্গিন... মানা গইল্লে আর নো আইস্সুম হন দিন হন দিন- আফসোস, চট্রগ্রামের কিছু অশিক্ষিত মূর্খ্য সংস্কৃতিহীন গায়ক নামের কলংক এই আঞ্চলিক গানকে কলুষিত করে চলেছে তাদের চটুল উপস্থাপন আর নোংরা কথাবার্তায়।পরকীয়ার পাশাপাশি শরীরী আবেদন' নিম্নমানের কাহিনির আলোকে এই গানের পরিবেশন আমাদের চট্রগ্রামের সুস্থ বিনোদন, সমাজব্যবস্থা আর ধর্মীয় মূল্যবোধে মারাত্মকভাবে আঘাত করছে। অন্যদিকে আশার কথা হচ্ছে- ইদানীংকালের কিছু ভাল রুচিশীল কন্ঠ শিল্পী চট্রগ্রামের গানকে তাদের গলায় তুলে আবারো আমাদের চমকৃত করেছেন। যদিও নতুনভাবে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন গীতিকার আমরা পাচ্ছি না যেমন ছিলেন এম, এন আক্তার (কলিজার ভিতর বাধি রাইক্ষম তোঁয়ারে) উমেদ উল্লাহ খান প্রমুখ। পরিশেষে, সিরাজুল ইসলাম আজাদ ভাইয়ের মতো গুণী গীতিকার,সুরকার শিল্পীর দীর্ঘ জীবন কামনা করছি। মিজান উদ্দিন খান বাবু। চুনতি উচ্চ বিদ্যালয় ব্যাচ-১৯৮৩।
Make sure you enter the(*)required information