লেখক পরিচিতি: শায়েরী জগতে এক উজ্জল নক্ষত্র হচ্ছে আমাদের চট্রগ্রামের কৃতি সন্তান মোঃ নুরুল কিবরিয়া সাকিব। তিনি চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মরহুম মৌলানা এরশাদুল হক (রঃ) এবং মায়ের নাম মোছাম্মত হুরে জান্নাত। তিনি দিলকাশ চাটঁগামী চুনতী নামে সর্বজন প্রসিদ্ধ। তিনি হামদে বারী তায়ালা, নাতে রাসুল, মানকাবাত, ছুফিয়ানা, আশেকানা, শানে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী, শানে বাবা ভান্ডারী ও শাহেন হক ভান্ডারী সহ ৫০০০ হাজার এর উপর কালাম লিখেছেন।

রাসূল সাঃ এর জীবনী
অধ্যায় নম্বর ১০
শিরোনাম: ওটা তোমার ছেলে নয়

তুমি ছোট ছিলে বলে তোমাকে কাফেলা নিয়ে যাওয়া হয়নি। আপনি সেখানে একটি গাছের নিচে বসেছিলেন। সেখানে বাহীরা মানুষ দেখে শেষ নবীর গুণাবলী দেখেছিল, কেউ পরিবর্তন দেখেনি, কিন্তু এক অদ্ভুত জিনিস দেখেছিল যে পরিবর্তনটা থেমেই রয়ে গেল। এর পরিষ্কার অর্থ হলো পরিবর্তন যেখানে আল্লাহর রাসূল আছেন, তারপর তিনি বলেন:
"হে কুরাইশবাসীগণ! "তোমরা কেউ আমার দাওয়াত থেকে পিছিয়ে যেও না। "
কুরেশ এই ব্যাপারে বলেছেন:
"হে মহাসাগর! আপনাদের দাওয়াত এ যাদের আনা দরকার ছিল তাদের কেউ বাকি নেই... হ্যাঁ একটা ছেলে বাকি আছে যে সবচেয়ে ছোট। "
বাহীরা বলেছেন:
তাহলে তাকেও ডাকুন, কত খারাপ যে আপনারা সবাই আসেন আর আপনাদের মধ্যে একজন আছে আর আপনাদের সাথে দেখলাম।
অতঃপর এক লোক গিয়ে তোমাকে নিয়ে বাইরে নিয়ে গেল। সেই সময় সে বদলে তোমার সাথে হাঁটছে আর সারা পথ তোমাকে আড়াল করেছে। বাহীরা দৃশ্যটি পরিষ্কারভাবে দেখেছে, তিনি এখন আপনার দিকে আরও মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে ছিলেন এবং আপনি কে আশীর্বাদপুষ্ট শরীর তার বইয়ে লেখা চিহ্ন খুঁজছেন।
যখন মানুষ খাবার খেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তখন বহিরা আপনার কাছে এসে বললঃ
লাট ও উজির নামে আপনাদের কাছে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করতে চাই, আমি কি জিজ্ঞাসা করি আপনারা বলেন।
তার কথা শোনার পর, তুমি বলেছিলে:
"লাথি ও উজির নামে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করো না! আল্লাহর কসম! এদেরকেই আমি সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি। "
এখন বাহীরা বলেছেন:
"আচ্ছা তাহলে বলুন তো আল্লাহর নামে আমি কি চাই। "
তাহলে তুমি বলেছিলে:
"জিজ্ঞাসা কর! এখানে জিজ্ঞেস করার কি আছে। "
সে অনেক প্রশ্ন করেছিল। তোমার অভ্যাস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, অতঃপর সে তোমার কোমর থেকে কাপড় খুলে দেখে নবীর মোহর। সে তার বইয়ে যেমন পড়েছিলো ঠিক তেমনি ছিল। তিনি অবিলম্বে ভবিষ্যদ্বাণী সীল মোহর জায়গায় চুম্বন করেন। দিয়া-কুরেশের লোকেরা এসব দেখে অবাক হয়ে গেল। সর্বোপরি মানুষ না বলে থাকতে পারলো না:
"এই সন্ন্যাসী নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি অনেক আগ্রহ নিচ্ছে... সম্ভবত তারা তার জন্য খুব উচ্চ পদ আছে। "
রাসূল সাঃ এর সাথে কথা বলার পর বহিরা আবু তালিবের কাছে এসে বললঃ
"এই লোকটা দেখতে কেমন"
আবু তালিব বলেছেন:
"এটা আমার ছেলে। "
বাহীরা এই ব্যাপারে বলেছেন:
"না! “এটা তোমার ছেলে হতে পারে না, এটা তার বাবা বেঁচে থাকতে পারে না। ”
আবু তালিব এটা শুনে অবাক হয়ে গেলেন, তারপর তিনি বললেন:
"আসলে এটা আমার ভাইয়ের ছেলে। "
"তাদের বাবা কোথায়? "
তিনি মারা গেছেন, তিনি মারা গেছেন যখন তারা এখনও জন্মায়নি।
এটা শোনার পর, বাহীরা বলল:
"হ্যাঁ! ঠিক কথা আর ওদের মায়ের কি হয়েছে? "
"তিনি কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন। "
এটা শোনার পর, বাহীরা বলল:
"খুব ভালো বলেছ... তোমার ভাতিজাকে এখন ঘরে নিয়ে যাও, ইহুদিদের হাত থেকে তাকে সম্পূর্ণ রক্ষা করো, যদি তারা তাদের দেখে এবং তাদের মধ্যে যে চিহ্ন আমি দেখেছি, তারা তাকে হত্যা করার চেষ্টা করবে। আপনার ভাতিজা নবী। মহিমা তাঁর, তাঁর মহিমা আমাদের কিতাবে লেখা আছে এবং আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে অনেক শুনেছি, আমি তাদের উপদেশ দিয়ে আমার দায়িত্ব পালন করেছি এবং ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। ہ
বাহিরার কথা শুনে আবু তালিব ভয় পেয়ে গেলেন। সে আপনাকে নিয়ে মক্কায় ফিরে এসেছে। এই ঘটনার সময় আপনার বয়স ছিল নয় বছর।
এ বয়সের ছেলেরা সাধারণত খেলাধুলায় অংশ নেয়,খারাপ ও নোংরা খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকে,সে বিষয়েও আল্লাহ আপনাদের হেফাজত করুন।
অজ্ঞতাকালে আরবীয়রা বাধ্য ছিল, আল্লাহ তোমাদের মন্দ থেকে রক্ষা করেছেন। আপনি নিজেই একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন:
আমার সাথে এক কোরেশী ছেলে, ছাগল নিয়ে মক্কার উপরের অংশে ছিল। আমি তাকে বলেছিলাম:
"তুমি শুধু আমার ছাগলগুলোর যত্ন নিও যাতে আমি গল্প বলার সেশনে অংশ নিতে পারি, সেখানে সব ছেলেরা আছে। "
ছেলেটি বলল: ভালো। অতঃপর আমি চলে গেলাম। মক্কার একটি বাড়িতে ঢুকলাম আর গান বাজনার শব্দ শুনলাম। আমি মানুষকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কি হচ্ছে। আমাকে বলা হয়েছিল এক কোরেশি তার মেয়ের সাথে বিয়ে করছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম "আমি মনোযোগ দিয়েছিলাম যে ঘুম থেকে আমার চোখ ঝুঁকে পড়তে শুরু করেছে, যতক্ষণ না আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। তারপর আমার চোখ খুলে গেল যখন সূর্য আমার উপর দীপ্ত হল। "
তুমি ছেলের কাছে ফিরে এলে। তারপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন: আপনি সেখানে যাওয়ার পর কি করেছেন? আমি তাকে ঘটনাটি বলেছি। অন্য রাতে এটা আবার ঘটেছে।
এর মানে হল আল্লাহ তোমাকে কুরেশের ছোট ছোট জমায়েত থেকে রক্ষা করেছেন।
কুরেশের অন্যতম প্রতিমা ছিল বাওয়ানা। কুররেশ প্রতি বছর তাকে দেখতে আসতো। তিনি তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। সে সারাদিন কুরবানির পশু জবাই করতো, মাথা কামতো, ইতিকাফ করতো। আবু তালিবও তার জাতির সাথে এই প্রতিমা পরিদর্শন করতেন। কুররেশ ঈদের মত অনুষ্ঠান পালন করতেন। আবু তালিব রাসূল (সাঃ) কে বলেন।
"ভাতিজা! আপনিও আমাদের সাথে ঈদে অংশগ্রহন করুন।
আপনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু তালিব আপনাকে প্রতি বছর অংশগ্রহণের জন্য বলতেন, কিন্তু আপনি প্রতিবারই অস্বীকার করতেন। অবশেষে রেগে গেলেন আবু তালিব। তোমার খালারাও তোমার উপর খুব রাগ করেছে, তোমাকে বলে:
“এভাবেই তোমরা আমাদের দেবতাদের এড়িয়ে চলো এবং এড়িয়ে চলো, আমরা ভয় করি যে তোমাদের ক্ষতি না হয়। "
তিনি এটাও বলেছেন:
"মুহাম্মদ! তোমরা ঈদে অংশগ্রহণ করো না কেন? "
কি বলে বিরক্ত হয়ে তুমি তাদের কাছ থেকে উঠে চলে গেলে দূরে কোথাও। আপনি এই সম্পর্কে বলেন:
যখনই বুয়ানা বা অন্য কোন প্রতিমার কাছে যাই তখনই আমার সামনে একজন অনেক লম্বা সাদা মানুষ হাজির হয়। এটাই সে আমাকে প্রত্যেকবার বলেছিল:
"মুহাম্মদ! পিছিয়ে যাওয়া ! "এটা স্পর্শ করবেন না। "

দোয়া প্রার্থী। মনোমুগ্ধকর পাগল গৃহহীন।


سیرت النبی ﷺ
باب نمبر 10
عنوان: یہ تمہارا بیٹا نہیں
آپ کو قافلے کے ساتھ اس لئے نہیں لے جایا گیا تھا کہ آپ کم عمر تھے۔آپ وہیں درخت کے نیچے بیٹھ گئے۔ ادھر بحیرا نے لوگوں کو دیکھا اور ان میں سے کسی میں اسے وہ صفت نظر نہ آئی جو آخری نبی کے بارے میں اسے معلوم تھی،نہ ان میں سے کسی پر وہ بدلی نظر آئی،بلکہ اس نے عجیب بات دیکھی کہ وہ بدلی وہیں پڑاؤ کی جگہ پر ہی رہ گئی تھی۔ اس کا صاف مطلب یہ تھا بدلی وہیں ہے، جہاں اللہ کے رسول ہیں، تب اس نے کہا:
"اے قریش کے لوگو! میری دعوت سے آپ میں سے کوئی بھی پیچھے نہیں رہنا چاہیے۔"
اس پر قریش نے کہا:
" اے بحیرا!جن لوگوں کو آپ کی اس دعوت میں لانا ضروری تھا،ان میں سے تو کوئی رہا نہیں...ہاں ایک لڑکا رہ گیا ہے جو سب سے کم عمر ہے۔"
بحیرا بولا:
"تب پھر مہربانی فرما کر اسے بھی بلالیں،یہ کس قدر بری بات ہے کہ آپ سب آئیں اور آپ میں سے ایک رہ جائے اور میں نے اسے آپ لوگوں کے ساتھ دیکھا تھا۔"
تب ایک شخص گیا اور آپ کو ساتھ لے کر بحیرا کی طرف روانہ ہوا۔اس وقت وہ بدلی آپ کے ساتھ ساتھ چلی اور تمام راستے اس نے آپ پر سایہ کئے رکھا۔بحیرا نے یہ منظر صاف دیکھا،وہ اب آپ کو اور زیادہ غور سے دیکھ رہا تھا اور آپ کے جسم مبارک میں وہ علامات تلاش کررہا تھا جو ان کی کتب میں درج تھیں۔
جب لوگ کھانا کھا چکے اور ادھر ادھر ہوگئے،تب بحیرا آپ کے پاس آیا اور بولا:
"میں لات اور عزی کے نام پر آپ سے چند باتیں پوچھنا چاہتا ہوں،جو میں پوچھوں،آپ مجھے بتائیں۔"
اس کی بات سن کر آپ نے فرمایا:
"لات اور عزی (بتوں کے نام) کے نام پر مجھ سے کچھ نہ پوچھو!اللہ کی قسم!مجھے سب سے زیادہ نفرت انہی سے ہے۔"
اب بحیرا بولا:
"اچھا تو پھر اللہ کے نام پر بتائیں جو میں پوچھنا چاہتا ہوں۔"
تو آپ نے فرمایا:
"پوچھو! کیا پوچھنا ہے۔"
اس نے بہت سے سوالات کئے۔آپ کی عادات کے بارے میں پوچھا،اس کے بعد اس نے آپ کی کمر پر سے کپڑا ہٹا کر مہر نبوت کو دیکھا وہ بالکل ویسی ہی تھی جیسا کہ اس نے اپنی کتابوں میں پڑھا تھا۔اس نے فوراً مہر نبوت کی جگہ کو بوسہ دیا۔قریش کے لوگ یہ سب دیکھ رہے تھے اور حیران ہورہے تھے۔آخر لوگ کہے بغیر نہ رہ سکے:
"یہ راہب محمد (صلی اللہ علیہ وسلم )میں بہت دلچسپی لے رہا ہے...شاید اس کے نزدیک ان کا مرتبہ بہت بلند ہے۔"
ادھر نبی کریم صلی اللہ علیہ وسلم سے بات چیت کرنے کے بعد بحیرا ابو طالب کی طرف آیا اور بولا:
"یہ لڑکا تمہارا کیا لگتا ہے۔"
ابو طالب نے کہا:
"یہ میرا بیٹا ہے۔"
اس پر بحیرا نے کہا:
"نہیں!یہ تمہارا بیٹا نہیں ہوسکتا،یہ نہیں ہوسکتا کہ اس کا باپ زندہ ہو۔"
ابو طالب کو یہ سن حیرت ہوئی،پھر انہوں نے کہا:
"دراصل یہ میرے بھائی کا بیٹا ہے۔"
"ان کا باپ کہاں ہے۔"
"وہ فوت ہوچکا ہے،اس کا انتقال اس وقت ہوگیا تھا جب یہ ابھی پیدا نہیں ہوئے تھے۔"
یہ سن کر بحیرا بول اٹھا:
"ہاں!یہ بات صحیح ہے اور ان کی والدہ کا کیا ہوا؟"
"ان کا ابھی تھوڑے عرصہ ہی پہلے انتقال ہوا ہے۔"
یہ سنتے ہی بحیرا نے کہا:
"بالکل ٹھیک کہا...اب تم یوں کرو کہ اپنے بھتیجے کو واپس وطن لے جاؤ،یہودیوں سے ان کی پوری طرح حفاظت کرو،اگر انہوں نے انہیں دیکھ لیا اور ان میں وہ نشانیاں دیکھ لیں جو میں نے دیکھی ہیں تو وہ انہیں قتل کرنے کی کوشش کریں گے تمہارا یہ بھتیجا نبی ہے، اس کی بہت شان ہے،ان کی شان کے بارے میں ہم اپنی کتابوں میں بھی لکھا ہوا پاتے ہیں اور ہم نے اپنے باپ داداؤں سے بھی بہت کچھ سن رکھا ہے،میں نے یہ نصیحت کر کے اپنا فرض پورا کردیا ہے اور انہیں واپس لے جانا تمہاری ذمہ داری ہے۔"
ابو طالب بحیرا کی باتیں سن کر خوف زدہ ہوگئے۔ آپ کو لے کر مکہ واپس آگئے۔اس واقعے کے وقت آپ کی عمر نو سال تھی۔
اس عمر کے لڑکے عام طور پر کھیل کود میں ضرور حصہ لیتے ہیں،ان کھیلوں میں خراب اور گندے کھیل بھی ہوتے ہیں،اللہ تعالٰی نے آپ کو اس سلسلے میں بھی بالکل محفوظ رکھا۔
جاہلیت کے زمانے میں عرب جن برائیوں میں جکڑے ہوئے تھے،ان برائیوں سے بھی اللہ تعالٰی نے آپ کی حفاظت فرمائی۔ایک واقعہ آپ نے خود بیان فرمایا:
"ایک قریشی لڑکا مکہ کے بالائی حصے میں اپنی بکریاں لئے،میرے ساتھ تھا۔میں نے اس سے کہا:
"تم ذرا میری بکریوں کا دھیان رکھو تاکہ میں قصہ گوئی کی مجلس میں شریک ہوسکوں،وہاں سب لڑکے جاتے ہیں۔"
اس لڑکے نے کہا:اچھا۔اس کے بعد میں روانہ ہوا۔ میں مکہ کے ایک مکان میں داخل ہوا تو مجھے گانے اور باجے کی آواز سنائی دی۔میں نے لوگوں سے پوچھا،یہ کیا ہورہا ہے۔ مجھے بتایا گیا کہ ایک قریشی کی فلاں شخص کی بیٹی سے شادی ہورہی ہے۔میں نے اس طرف توجہ دی ہی تھی کہ میری آنکھیں نیند سے جھکنے لگیں،یہاں تک کہ میں سو گیا۔پھر میری آنکھ اس وقت کھلی جب دھوپ مجھ پر پڑی۔"
آپ واپس اس لڑکے کے پاس پہنچے۔تو اس نے پوچھا: تم نے وہاں جاکر کیا کیا؟میں نے اسے واقعہ سنا دیا۔دوسری رات پھر ایسا ہی ہوا۔
مطلب یہ کہ قریش کی لغو مجلسوں سے اللہ تعالٰی نے آپ کو محفوظ رکھا۔
قریش کے ایک بت کا نام بوانہ تھا۔قریش ہر سال اس کے پاس حاضری دیا کرتے تھے۔اس کی بے حد عزت کرتے تھے۔اس کے پاس قربانی کا جانور ذبح کرتے،سر منڈاتے،سارا دن اس کے پاس اعتکاف کرتے۔ابو طالب بھی اپنی قوم کے ساتھ اس بت کے پاس حاضری دیتے، اس موقع کو قریش عید کی طرح مناتے تھے۔ابو طالب نے نبی کریم صلی اللہ علیہ وسلم سے کہا:
"بھتیجے!آپ بھی ہمارے ساتھ عید میں شریک ہوں۔"
آپ نے انکار فرمادیا۔ابو طالب ہر سال آپ کو شریک ہونے کے لئے کہتے رہے،لیکن آپ ہر بار انکار ہی کرتے رہے۔ آخر ایک بار ابو طالب کو غصہ آگیا۔آپ کی پھوپھیوں کو بھی آپ پر بے تحاشہ غصہ آیا،وہ آپ سے بولیں:
"تم ہمارے معبودوں سے اس طرح بچتے ہو اور پرہیز کرتے ہو،ہمیں ڈر ہے کہ تمہیں کوئی نقصان نہ پہنچے۔"
انہوں نے یہ بھی کہا:
"محمد!آخر تم عید میں کیوں شریک نہیں ہوتے؟"
ان کی باتوں سے تنگ آکر آپ ان کے پاس سے اٹھ کر کہیں دور چلے گئے۔اس بارے میں آپ فرماتے ہیں:
"میں جب بھی بوانہ یا کسی اور بت کے نزدیک ہوا،میرے سامنے ایک سفید رنگ کا بہت قد آور آدمی ظاہر ہوا،اس نے ہر بار مجھ سے یہی کہا:
"محمد! پیچھے ہٹو!اس کو چھونا نہیں۔"
طالب دعا ۔۔ دلکش پاگل  بے وطن ۔۔۔۔۔۔