Login Sign Up Subscription Forgot Password
Chunati.com
  • Home
  • Chunati Barta
  • Who's Where
  • Books
  • Writer's Column
  • History
Latest Update
  • বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও আইআইইউসি চট্টগ্রামের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু বকর রফিক আহমদ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
  • একজন নিয়াজ আহমদ খান
  • চুনতি সমিতি ঢাকার ২০২৫ সালের শিক্ষাবৃত্তির আবেদন আহ্বান
  • বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম জেলার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন শাকিলা সোলতানা
  • বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও আইআইইউসি চট্টগ্রামের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু বকর রফিক আহমদ, চুনতি ফাতেমা বতুল মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি মনোনীত
  • এশিয়া উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসের সান্নিধ্যে কিছুক্ষণ
  • ।। দাদা-দাদী বৃত্তান্ত ।।
  • ব্যবহারিক বিজ্ঞান উৎপত্তি ও বিকাশ
  • রমজানের বরকত
  • Siratunnabi (SM)
  • Blood Bank
  • Illustrious Person
  • Events & Happening
  • Gardens of Remembrance
  • Sher Khani
  • Send Your Profile
  • Photo Album
  • Video Channel

অরণ্য সুন্দরী রাঙ্গামাটি

ছাইফুল হুদা ছিদ্দিকী

অরণ্য সুন্দরী রাঙ্গামাটি   

লেখকঃরোটারিয়ান ছাইফুল হুদা ছিদ্দিকী


বাংলাদেশে যতগুলো মায়াময় দৃষ্টিনন্দন পর্যটন এলাকা বিদ্যমান রাঙ্গামাটি তার মধ্যে অন্যতম।নৈসর্গিক সৌন্দর্যের প্রকৃতির লীলাভূমি রাঙ্গামাটি পার্বত্যজেলা। রাঙ্গামাটির উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরা্ম দক্ষিণে বান্দরবন, পূর্বে মিজোরাম ও পশ্চিমে চট্রগ্রাম ও খাগড়াছড়ি। এ জেলা আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ জেলা। নদী ও হ্রদ ,উচুনীচুঁ পাহাড়ি আকাঁবাকা পথ সবুজ পাহাড় বেষ্টিত রিকসা বিহীন পর্যটন শহর এলাকা।এ জেলায় চাকমা,মারমা,তঞ্চঙ্গ্যা,ত্রিপুরা,মুর্ং,বোম,খুম্, খেয়া্ং ,চাক, পাংখোয়া, লুসাই, সুজেসাওতাল, রাখাইন সর্বোপরি বাঙ্গালীসহ চৌদ্দটি জনগোষ্টির বসবাস।কিভাবে রাঙ্গামাটি যাবেন? চট্রগ্রাম শহর থেকে রাঙ্গামাটি যেতে বাসমালিক সমিতির বাস অক্সিজেন এলাকা থেকে ছেড়ে যায়, চট্রগ্রাম শহর থেকে বিআরটিসির এসি ও ননএসি বাস সার্ভিস, ভাড়ায় মাইক্রো ও কার রয়েছে।নিজের গাড়ীতে এই পথে যাতায়ত করতে পাহাড়ি পথে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চালকের প্রয়োজন। রাঙ্গামাটি শহরে পর্যটন কর্পোরেশন মটেল ছাড়া প্রাইভেট বিভিন্ন মানের আবাসিক ও খাওয়ার হোটেল আছে।আগামী দু তিন মাসের মধ্যে পর্যটন কর্পোরেশন আরো একটি নতুন মটেল চালু হতে যাচ্ছে। ১৩ ও ১৪ মার্চ ২০১৪ এই পর্যটন শহর রাঙ্গামাটি অনুষ্ঠিত হলো আমাদের ক্লাব রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং পোর্ট সিটির ২০১৩-২০১৪ এর বা্র্ষিক বনভোজন।বৃহস্পতিবার ১৩ তারিখ ২০১৪ দুপুর গড়িয়ে সূর্য যখন পশিম আকাশে হেলে পড়েছে তখনি চট্রগ্রাম নাসিরাবাদ বয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে আমরা পোর্ট সিটি পরিবারের রোটারিয়ান বন্ধুরা পরিবার পরিজন সহ রওনা দিলাম রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্য।বাসে পিকনিকের ব্যানার লাগানোর ফাকেঁ ফাকেঁ আমরা কয়েকজন আমি, আমাদের ক্লাবের সদ্য অতীত প্রেসিডেণ্ট ইঞ্জিনিয়ার আবু নাঈম, ও বর্তমান সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম একে অপরের ছবি তুললাম।বাসের ড্রাইভার ভাই আর উনার সহকারীর সাথে কথা বললাম। কতদিন গাড়ী চালান? উচু নীচুঁ পাহাড়ি ঢালা পথে গাড়ি চালানোয় কোন অসুবিধা হয় কিনা? কথা বলে জানলাম আমাদের গাড়ির চালক আর উনার সহকারী ভদ্রলোক দুজনেই চট্রগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কে নিয়মিত গাড়ি চালায় এবং এই সড়কে গাড়ি চালনায় ও সহযোগীতায় অভিজ্ঞ ও দক্ষ।বাস ছাড়ার পর রোটারিয়ান ইব্রাহীম মিন্টু ও রোটারিয়ান ওমর ফারুক দুজনে মিলে হালকা টিফিন ও খাওয়ার পানি পরিবেশন করলেন। আমাদের ক্লাবের সূযোগ্য প্রেসিডেণ্ট ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল হাসান এই দুই দিনের পিকনিকের উনার পুরো পরিকল্পনা সবাইকে জানালেন।আমাদের ক্লাবের চার্টাড প্রেসিডেণ্ট শাকিল মনজুরের খালি গলায় গাওয়া পুরনো দিনের গান আর এরি সাথে মনোরম পাহাড়ী সবুজ পথের মোহময়ী হাঁতচানি, উচুঁ নীচু পাহাড়ের ঢালু পথ, কখনো দূরে আবার খুব কাছে সবুজ পাহাড়,চলমান সাপের মতোন আকাঁবাকা পিচডালা রাস্তা আর মনোরম সব দৃশ্য ও উপজেলা ভোটের মিছিল পেরিয়ে সন্ধ্যার একটু পরেই রাঙ্গামাটিতে আমাদের রাত্রিযাপনের জন্য নির্ধারিত পর্যটন কর্পোরেশনের মটেল এর একটু আগে বাস থামলো।বাস থেকে নেমে একটু হেটে আমরা মটেলে গিয়ে উঠলাম।রাঙ্গামাটিতে অনেকবার এসেছি, তবে রাত্রিযাপন করা হয়নি। শেষবারে আমি গিয়েছিলাম বিবিসি বাংলা সংলাপে অংশগ্রহন করার জন্য, তাও সকালে গিয়ে অনুষঠান শেষ করে বিকেলে ফিরে এসেছিলাম। সেবার বিবিসি সংলাপ উপলক্ষ্যে পুরো মটেলে অনেক লোক ছিলো। কিন্ত আজকের পরিবেশ সম্পূ্র্ন ভিন্ন। আমরা সবাই চট্রগ্রাম পোর্ট সিটি রোটারী ক্লাবের সদস্য ও পরিবার পরিজন সহ পুরো মটেলে।এ এক দারুন আনন্দঘন পরিবেশ।সুউচ্ছ সবুজ পাহাড়, বহমান হ্রদ আর প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মাঝে অবস্থিত পর্যটন করপোরেশন এর মোটেল। পাহাড়ে রাতের অন্ধকারের মোহময়ী পরিবেশ, চাদেঁর আলোয় এর সৌন্দর্য আরো বেড়ে উঠেছিলো। যা বলা যায়না, লেখায় প্রকাশ করা যায়না, এ এক অন্যরকম ভালো লাগা অনুভুতি। নতুন করে নিজেকে ফিরে পাওয়ার অনুভুতি।রাতে খাওয়ার আগে নামাজ পড়ে আমরা কয়েকজন মিলে ঝুলন্ত ব্রীজ পার হয়ে লেকের অপর পাড়ে গেলাম।রাতের লেক আর পাহাড় দুয়ে মিলে মোহময়ী রুপ ধারন করেছে।এরিমধ্যে আমাদের সাথে এসে যোগদিল আমাদের ক্লাবের অতীত প্রেসিডেণ্ট এডভোকেট মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যাগন। এরা চট্রগ্রাম শহর থেকে আমাদের পরে রওয়ানা দিয়েছে।রাত্রের রাঙ্গামাটি শহর দেখতে আমরা মটেল থেকে রাঙ্গামাটি শহরের পথে উচু নীচুঁ ঢালু পথ বেয়ে হাটলাম।কলা বিস্কিট ও চা খেলাম।ফেরার পথে উচু পাহাড়ের রাস্তা বেয়ে উঠতে গিয়ে হাটার প্রতিযোগীতা হল।মটেলে রাতে খাবার পর্ব শেষ করে ঐরাতের মূল আর্কষন লটারীপর্ব শুরুহল।সবাই পুরষ্কার পাওয়ার আশায় লটারীর টিকেট এর একটি অংশে নির্ধারিত বক্সে ফেলল।দারুন এক টান টান উত্তেজনা। ছেলে মেয়েরা সবাই সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায়। শিশুদেরকে দিয়ে এক এক করে টিকেট উঠানো হচ্ছে আর ঘোষনার সাথে সাথে সবাই যার যার টিকেট নম্বর মিলিয়ে নিচ্ছে। পর পর তিনটি টিকেট তোলা হল পুরস্কার পাওয়া সবাই দারুন উচ্ছসিত। এখন চতুর্থ টিকেট এর নম্বর ঘোষনা হল আর সেটা আমার। মুহু মুহু করতালি আর আনন্দ উচ্ছাসের মাঝে লটারী পর্ব শেষ হলো। রাত সাড়ে দশটা হঠাৎ রেজা ভাই ঘোষনা করলো এখন আমরা মটেলের পিছনে ফায়ার ক্যাম্প করবো। পাহাড়ের সুনসান নীরবতার মাঝে কয়েকটি মরা শুকনো কাঠের লাকড়ি খাড়া দাড় করিয়ে সেখানে আগুন দেওয়া হল। গান এর তালে তালে নাচঁ হল। রং চা পরিবেশিত হলো ।সব মিলিয়ে দারুন এক আনন্দঘন পরিবেশ রাতের পা্হাড় জুড়ে।
সূর্য উঠার আগে পূর্বের আকাশে যখন আলোর রেখা ফুটে উঠছিলো,পাখির মধুময় গুঞ্জরন আর কলকাকলিতে ভরপুর রাঙ্গামাটি নিরিবিলি পাহাড় আর লেক দুয়ে মিলে সবুজে ভরা প্রকৃতির অপরুপ সাজ যেন পৃথিবীতে এ এক শান্তিরআলয়। মটেলের পিছনের বারান্দায় দাড়িয়ে দেখলাম সবুজ পাহাড় ও লেকের চোখ জুড়ানো দৃশ্য,বৃক্ষরাজির মায়া মাখামাখি আর পাহাড় ঘেরা লেকের মায়াবীরুপ। ঐ সময়ের কিছু ছবি।বিভিন্ন ধরনের পাখির কিচিমিচির ও সুললিত আওয়াজ এর মাঝে হঠাৎ একটা কাকের কর্কশ ডাক আমার সুন্দর সকালের সবুজ পাহাড় দেখা আর পাখির গান শুনায় ছন্দপতন ঘটালো।কি আর করা পিছনের বারান্দা থেকে উঠে সামনের দিকে আসলাম। মটেলের দোতলার সামনের অংশে বিশাল লম্বা বারান্দা। ছেলে মেয়েরা সবাই ইচ্ছেমতো দৌড়াদৌড়ি করছে। রোটারিয়ান বন্ধু ফারুক এর দুই ছেলে ও আমাদের ক্লাবের সেক্রেটারী রেজাউল করিম আনন্দচিত্তে ফুটবল খেলছিলো আর আমাদের রোটারিয়ান বন্ধুরা অনেকে নাচের তালে শরীরচর্চায় নিমগ্ন।যেন সারা বাংলাদেশে চলমান টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে গাওয়া এর সেই বিখ্যাত “ফ্লাশ মব” “চার ছক্কা হই হই ,বল গড়াইয়া গেল কই” উচ্ছাস আর আনন্দ উপস্থিত সবার মাঝে। 
সামনের লাগানো গাছে হলদে ফুলের সৌন্দর্য্য ও সবুজে ভরা ।আমাদের ক্লাবের অতীত প্রেসিডেণ্ট নুরুল হুদা ও পিপি এ এইচ এম ফেরদৌস সবাইকে তাগাদা দিচ্ছেন সকালের নাস্তা খেতে যাওয়ার জন্য। খুব তাড়াতাড়ি তৈরী হতে হবে কিছুক্ষণের মধ্যে আজকের দিনের মূল আকর্ষণ নৌকায় করে লেকে ভ্রমন।গন্তব্য শুভলং এর বাজার আর ফেরার পথে পেডা টিং টিং এ দুপুরের খাবার। আমরা সবাই যথাসময়ে রাঙ্গামাটির সেই আর্কষনীয় বিখ্যাত ঝুলন্ত ব্রীজ এর ঘাটে গেলাম। ঘাটে অপেক্ষায় দেখলাম অনেকগুলো ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা যেগুলো যাত্রী নিয়ে বিশাল লেকে পাড়ি জমাবে।ধন্যবাদ দিতে হয় যিনি আমাদের এই পিকনিকের পুরো আয়োজনের অন্যতম কাণ্ডারী বর্তমান ক্লাব সেক্রেটারী রেজাউল করিম সারাদিন ভ্রমনের জন্য ভাড়া করেছেন বিশাল এক কাঠের তৈরী দোতালা জাহাজ যাতে অনায়াসে ১৫০জন লোক ভ্রমন করা যায়। আমরা সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে জাহাজের তুলনায় নগন্য যাত্রী। সবাই আনন্দচিত্তে ঐ কাঠের বড় জাহাজ/নৌকায় উঠে পড়লাম। যথারীতি কথা বললাম চালক ও উনার সহকারীদের সাথে। চালকের বাড়ী বরিশাল এর সহকারী একজনের বাড়ী রাঙ্গামাটিতে অন্যজনের বাড়ী চন্দনাইশ।আমাদের ২য়দিনের যাত্রা শুরু। আমাদের বহনকারী বোটটি কাঠের দোতালা জাহাজের আদলে তৈরী সুন্দর ছিমছাম কাঠামো। শাকিল মনজুর এবং এ এইচ এম ফেরদৌস এর দরাজ গলায় গান আর চারিপাশের সবুজ প্রাকৃতির মোহময়ী সৌন্দয্যমন্ডিত ঝুলন্ত ব্রীজ পিছনে রেখে আমরা শুভলং এর পথে। ক্লাবের চার্টাড প্রেসিডেণ্ট শাকিল মঞ্জুর গাইছিলো আর ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দিলো………। 
উত্তুন ফেগে মেঘে মেঘেমেঘলা দিবা তলেমোউ পরান আন জেদো মাগেতারা লগে লগে....!!!
লেকের দুপাশে পাহাড়ের পাদদেশে মাটিতে বহমান পানির প্রাকৃতির নিজের তৈরী অংকন ও সবুজ মায়াময় গাছগুলোর পাশ দিয়ে যেতে যেতে যে দৃশ্য চোখে পড়ে তা দেখে চোখ ফেরানো প্রায় অসম্ভব। ঘন সবুজের আবরণে আবৃত পাহাড়ের সবুজ আর লেক এর স্বচ্ছ পানি যে কাউকেই মুহূর্তেই বানিয়ে দেবে প্রকৃতি প্রেমী। লেকের দুপাশের প্রকৃতির অপরুপ রুপ আর পাহাড়ী সবুজ ও হ্রদে ভ্রমন সব মিলে ভ্রমনপ্রিয় মানষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় স্থান রাংগামাটি এর এই লেকে ভ্রমন।আজ আবারও নতুন করে জানলাম উপলদ্ধি হল ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে রাংগামাটি কেন এতো প্রিয় একটি স্হান। ভ্রমনকে ফ্রেম বন্দী করার জন্য কিছু ছবি তুললাম। পাহাড়ী কলা, তরমুজ, পেপে ও আনারস নিয়ে সারি সারি নৌকা আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল।নৌকার যাত্রীদের মাঝে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন জনগোষ্টী ও বাঙ্গালীসহ বাইরের অনেক পর্যটক ও ব্যাবসায়ী রয়েছে।রাংগামাটির পাহাড়ী অঞ্চলে ইদানিং পেপে, আনারস, কলা, তরমুজ আরও নানা ধরনের ফলের চাষ হচ্ছে।শুভলং এর পথে আমরা যাত্রা বিরতি করলাম পেডা টিং টিং এ। এই জায়গার নাম শুনেছি অনেকবার,আগে কখনো আসা হয় নাই। চারিদিকে পানি আর চোট্ট টিলার মতোন জায়গায় বাশেঁর বেড়া দিয়ে তৈরী সাজানো ছিমছাম পরিস্কার পরিছন্ন খাওয়ার হোটেল। আমাদের দুপুরের খাবার এর মেনু ঠিক করে দিয়ে শুভলংএর পখে রওনা হলাম।শুভলং বাজারে গিয়ে সবাই কেনাকাটা করলো। বিখ্যাত নানার রসালো স্বাধের রস টসটসে মিষ্টি খেল। নানা রংয়ের কারুকাজ কর চাকমা মেয়েদের হাতে তৈরী কাপড় কিনলাম। দোকানী ক্রেতা একসাথে ছবি তোলা হল।ভীষন ক্ষিদে পেয়েছে, এবার ফেরার পালা আসার পথে আবার পেডা টিং টিং আমাদের বোট ভীড়ল। ব্যস্ততাহীন সময় কাটানোর একটি আদর্শ জায়গা হতে পারে পেডা টিং টিং নামক জায়গাটি। আমাদের খাওয়ার তৈরী, হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে সবাই খেতে বসলাম।মেনু গুলোর মধ্যে দুটো খাবার অসাধারন ছিলো তার একটা হল "বেম্বু চিকেন" আর একটি হল তাজা কুচো কুচো পিয়াজ মিশ্রিত ছোট ছোট পাহাড়ি কাচঁকি মাছের ফ্রাই। "বেম্বু চিকেন” ভোজন রসিকদের রসনাবিলাসের জন্য অনন্য একটা রান্না। পিয়াজ কাটাঁ ও মসলা সমৃদ্ধ ছোট ছোট করে কাটা মুরগীর মাংস জোড়া বাশেঁর ফালিতে করে টেবিলে পরিবেশন করাহলো। আমরা তূপ্তি করে খেলাম। বলতে হয় ভোজন রসিকরা এখানে খাবার গ্রহণের পর তৃপ্তি নিয়েই ফিরবে।সময় ফুরিয়ে আসছে। ফিরতে হল আবার রাঙ্গামাটিতে। ইচ্ছে হলো আরো কয়েকদিন থাকতে।কেন ফিরে যাব সেই ইট সুড়কির যান্ত্রিক শহরে ? রোদেলা দুপুর। সময় ৪টার ও কিছু পরে। সুর্য দক্ষিন থেকে আলো ছড়াচ্ছিল।আমাদের বাস রওনা হল চট্রগ্রামের পথে। রুপের রাণী, অপরুপা, লাবণ্যময়ী, ফেসবুক সুন্দরী, মনোমুগ্ধকর, মধুময়, চোখ জুড়ানো ও ঐশ্বর্য্যময়ী এমন অনেক বিশেষণে ডাকা যায় সবুজ পাহাড় ও লেক বেষ্টিত পর্যটন এলাকা অরণ্য সুন্দরী রাঙ্গামাটিকে।




Post Date : 13 Jul 2020
Share

Comments

Leave a Replay

Make sure you enter the(*)required information

Chunati.com~Posting Comments

Writers
  • আছমা উল্লাহ8
  • আছিম উল্লাহ নাবিল1
  • আজম মিনহাজ1
  • আদনান সাকিব21
  • আনোয়ারুল হক9
  • আবু উমর ফারূক আহমদ, পি এইচ ডি 5
  • আমিন আহমদ খান1
  • আহমদুল ইসলাম চৌধুরী16
  • উমেদ উল্লাহ খান12
  • এ ডি এম আব্দুল বাসেত (দুলাল)10
  • এম. তামজীদ হোসাইন29
  • এরশাদ উল্লা খান1
  • ওয়াহিদ আজাদ17
  • কশশাফুল হক শেহজাদ1
  • খাতুন রওনক আফযা (রুনা)57
  • চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য1
  • চুনতির ইতিহাস-সংগৃহিত3
  • ছাইফুল হুদা ছিদ্দিকী64
  • জওশন আরা রহমান2
  • ড. নাসের খান2
  • ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী2
  • ড. শব্বির আহমদ2
  • ডঃ মুঈনুদ্দীন আহমদ খান1
  • ডাঃ মাহমুদুর রহমান1
  • নায়েমা খানম শিমু1
  • প্রফেসর ড. আবু বকর রফীক2
  • প্রিন্সিপাল দীন মুহম্মদ মানিক12
  • ফরচুন শামীম5
  • মুহাম্মদ এশফাক হোছাইন1
  • মুহাম্মদ লুৎফুর রহমান তুষার5
  • মাইমুনা1
  • মাওলানা আজিজ আহমদ (আনু) 1
  • মাওলানা খালেদ জামিল2
  • মাসুদ খান5
  • মিজান উদ্দীন খান (বাবু)27
  • মিনহাজুন্নিছা 4
  • মোঃ নুরুল কিবরিয়া সাকিব (দিলকাশ চাটগামী)18
  • মোহাম্মদ আনোয়ার উল্লাহ (সুজাত)1
  • মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দিন1
  • মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন2
  • যাহেদুর রহমান1
  • রবিউল হাসান আশিক10
  • রুহু রু‌হেল4
  • রিদুওয়ানুল হক1
  • লায়লা মমতাজ রুপা3
  • শাহেদ হোছাইন2
  • সংগৃহীত21
  • সুজাত হোসেন1
  • সানজিদা রহমান নন্দন5
  • হাবিব খান22
  • হেলাল আলমগীর4

Categories
  • Article272
  • Poetry162

Important Link

  • Chunati At a Glance
  • Forum
  • Priyo Chunati
  • Condolences
  • Career Corner

Important Link

  • Educational Institutions
  • Clubs
  • Chunati High School Ex-Students Association
  • Terms of Use
  • Terms of Use~Priyo Chunati

Other Links

  • Founder
  • Admin Panel Members
  • Volunteer Panel Members
  • Social Works
  • Feedback

Contact Center

 Contact No: +8801313412646, +8801819383870,+6590252498(S'pore)
 Email: chunati.com@gmail.com

Copyright © 2006 www.chunati.com .All rights reserved.