আশেকে রাসুলুল্লাহ (স:) মুজাদ্দেদ এ সীরত হযরত শাহ হাফেজ আহমদ (রহঃ) প্রকাশ শাহ সাহেব কেবলা চুনতী কর্তৃক প্রবর্তিত ঐতিহাসিক সীরতুন্নবী সঃ মাহফিল আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নানাভাবে সমাদৃত ও বিবেচিত। তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বদৌলতে মাহফিল এর প্রচার ও প্রসার বিশ্বজনীন । ১৯৭২ সাল হতে অধ্যবধি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ৫১তম বৎসর অতিবাহিত হচ্ছে চলতি ২০২১ সালে । হিজরি সনের বিধি মোতাবেক ১১ ই রবিউল আউয়াল শুরু হয়ে ২৯ রবিউল আউয়াল শাহ সাহেব কেবলার জীবদ্দশায় পর্যায়ক্রমে একদিন, দুই দিন, তিন দিন, পাঁচ দিন, সাত দিন, দশদিন, বারো দিন, পনের দিন সর্বশেষ উনিশ দিন চালু আছে। উনিশ শব্দটি নানাভাবে বিশেষায়িত- বিছমিল্লাহ এর হরফ উনিশ টি , শাহ সাহেব (রাহ )এর ওফাত ২৩ সফর ( সীরত শুরু র উনিশ দিন পূর্বে) । সবকিছু মিলিয়ে ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯ দিন ব্যাপী সীরতুন্নবী সঃ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই মাহফিল দুটি মূল ধারা- মুক্ত মঞ্চে রাসুল (সঃ) এর জীবনদর্শন নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত বিষয়ের আলোকে প্রাসঙ্গিক আলোচনা এবং সার্বজনীন তবারুক বিতরণ । প্রাথমিক অবস্থায় মাহফিল এর আলোচনা সভা শাহ মনজিল এর উঠানে ও সন্নিকটে খালী জমিতে অনুষ্ঠিত হতো এবং তবারুক বিতরণ হতো চুনতি হাকিমিয়া আলীয়া মাদ্রাসা ভবন ও সন্নিহিত মাঠে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে। হযরত শাহ সাহেব কেবলার জীবদ্দশায় জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই তবারুক প্রস্তুতে গৃহপালিত পশু পক্ষী , পাহাড়ি হরিণ, গয়াল ও ছাগল ইত্যাদি আনজাম দিতেন। শুরুতে শাহ সাহেব কেবলার ভক্তদের মধ্যে বিশেষ করে সাতকানিয়া বাসী , হাফেজ হারুন, আল্লামা ফজলুল্লাহ (রহঃ) ও চট্টগ্রাম শহরের ইউসুফ মিয়া, সালেহ আহমদ চৌধুরী, আশরাফ আলী চৌধুরী, ডা গোলাম কিবরিয়া, গোলাম কবির, সাহাব মিয়া, রফিকুল ইসলাম, আবু তাহের প্রমুখ মাহফিল এর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। ১৯৭৭-৭৮ সালে তৎকালীন সেনাপ্রশাসক পরবর্তিতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর সম্পৃক্ততা মাহফিল এর বর্তমান সুবিশাল (১৩ একর) মাঠ ও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। হযরত শাহ সাহেব কেবলার জীবদ্দশায় বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনি দিয়ে মাঠের পশ্চিম দিকে মসজিদ এ বায়তুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করা হয় যা পাঁচ হাজার মুসল্লি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একতলা দালান নির্মাণ করা হয় নব্বই দশকে । ১৯৮৩ সালে শাহ সাহেব কেবলার ওফাতের পর কিছু ভক্তদের প্রবল আগ্ৰহে তাঁকে মসজিদে বায়তুল্লাহ এর পাশেই সমাহিত করা হয় । বর্তমানে মসজিদ ও মাজার দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা যদিও মসজিদ কিছুটা জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় পুননির্মাণ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। এছাড়া মাহফিলে শুক্রবার ও সমাপনী কয়েকদিন লক্ষাধিক মুসল্লি সমাগম বহুমুখী সুবিধা সম্বলিত ওযু খানা, পর্যাপ্ত টয়লেট ও শৌচাগার নির্মাণ সময়ের দাবি।
মাহফিল এর অনুমতি ও বিশেষজ্ঞ বক্তা আমন্ত্রণ মাননীয় সংসদ সদস্য নদভী'র অনন্য অসাধারণ সহযোগিতা :ওয়ান ইলেভেন খ্যাত সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ মাহফিল আয়োজন বিধিনিষেধ আরোপ হলেও কখনো ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটাতে পারেনি । পরবর্তী সময়ে মাহফিল এর অনুমতি ও ব্যাপক অর্থ যোগানে সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ডঃ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন। তাঁর পিতা চুনতী হাকিমিয়া আলীয়া মাদ্রাসার নাজেমে আলা আল্লামা ফজলুল্লাহ (রহঃ) শাহ্ সাহেব কেবলার অন্যতম সহযোগী হিসেবে এই মাহফিল এর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন করেন । বিগত বছরগুলোতে মাননীয় সংসদ সদস্য কর্তৃক ইস্যুকৃত ডিও লেটার জেলা প্রশাসক বরাবর উপস্থাপন করা হলে তিনি এসপি অফিসের অনুকূল প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে মাহফিল অনুষ্ঠানে অনুমতি বা ছাড়পত্র দিয়ে থাকেন। এই কার্যক্রমের দীর্ঘ সূত্র ও সংশ্লিষ্ট দফতরে যাবতীয় সমন্বয় করেন মাওলানা অলিউদ্দিন মোহাম্মদ। এছাড়া তিনি সকল বক্তা দের সাথে যোগাযোগ ও তাঁদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিবেদিত প্রাণ সচেষ্ট থাকেন।আধুনিক সাজসজ্জায় মঞ্চ ও প্যান্ডেল :বিগত কয়েক বছর যাবৎ এই মাহফিল এর প্যান্ডেল তৈরির জন্য স্বল্প সময়ের জন্য কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে টিন দিয়ে ছাউনি দেওয়া হয়। পুরো এলাকা পর্যাপ্ত লাইট জ্বালিয়ে আলোকিত করা হয় এবং মঞ্চে ডিজিটাল ডিস্পেলে বোর্ড স্থাপন ও রঙিন শোভায় শোভিত করে মাহফিল স্থলের রুপ লাবণ্য প্রভা আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন রমজু মিয়া সওদাগর এর উত্তরসূরী মাহবুবুল হক তাঁকে সহায়তা করেন সাইফুদ্দিন মোঃ তারেক। মাহফিল এর বয়ান শ্রুতিমধুর ও দুই তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে শতাধিক মাইক ব্যবহার করা হয় । এমনকি পুরো চুনতি এলাকায় প্রতিটি প্রবেশপথ ও অলিগলিতে লাইটিং করে পথচারী দের চলাচল নির্বিঘ্ন করার চেষ্টা করা হয়। পুরো মাঠ জুড়ে স্থায়ী ফ্লাড লাইটের আলোর ব্যবস্থা করেছেন জয়নুল আবেদীন শবাব এবং কিছু সংখ্যক আধুনিক টয়লেট নির্মাণ ও অজুখানা সংস্কার করেছেন hazi শওকত । জাতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক জেনারেটরের মাধ্যমে পুরো মাহফিল এলাকা আলোর বিচ্ছুরণ থাকে ।আধুনিক রন্ধন শালা, শ্লটার হাউস ও বিস্ময়কর তবারুক পরিবেশন পদ্ধতি :এই মাহফিল এর তবারুক প্রস্তুত ও পরিবেশন যেমনি সুশৃংখল তেমনি বিস্ময়কর । অগুনিত স্বেচ্ছাসেবক উনিশ দিন ব্যাপী সীরতুন্নবী সঃ মাহফিল এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় নিজেদের সম্পৃক্ত করার অভিপ্রায়ে ফি বছর অপেক্ষার প্রহর গুনেন । মহল্লা ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক গণ পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত, রন্ধন রসদ পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করেন । মছিহুল আজিম খান এর নেতৃত্বে একদল স্বেচ্ছাসেবক প্রায় পঞ্চাশ টি লাকড়ির চুলা দিয়ে সাদা ভাত ও মেজবানি ডাল মাংস রান্না করেন নিরলসভাবে। নির্দিষ্ট সময়ে জসিম উদ্দিন খান ও নজরুল হুদার তত্ত্বাবধানে এবং শওকত আলী র সহায়তা য় একদল কিশোর, তরুণ যুবক কেউ বা হাতে জগ গ্লাস পানি, কেউবা তবারুক পরিবেশন অত্যন্ত নান্দনিক ও দক্ষতার সাথে প্রতি পঁচিশ মিনিটে পাঁচ হাজার লোকের জন্য এভাবে সর্বশেষ প্রচেষ্টা চালিয়ে যান মেহমানদারি করতে। মেহমান দের খাবার শেষে খালি বাসন টেবিল থেকে তৎক্ষণাৎ তুলে এনে ধোয়ামোছার কাজ করেন হাফেজ বজলুর রহমান এর একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবক। প্রতিটি স্তরে সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করতে নিবেদিত থাকেন অসংখ্য মানুষ যার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে থাকেন আনোয়ার কামাল , ফজলে এলাহি আরজূসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।সাপ্লাই চেইন এর অপূর্ব সমন্বয় মাহফিল এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা :প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে ১৯ দিন ব্যাপি মাহফিল অনুষ্ঠিত হলেও এর কার্যক্রম সারা বছর জুড়েই অব্যাহত থাকে । শুণ্য উদ্বৃত্ত কিংবা তহবিলের ঘাটতি (যৎ সামান্য) থাকলেও আল্লাহর রহমত ও বরকত মাহফিল শেষে প্রকৃত ব্যয়ের পরিমাণ দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা । বিপুল টাকা পুরোটাই বিশ্বব্যাপি অবস্থান করা আশেকানে ভক্তবৃন্দ যোগান দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে আহমদ সাঈদ প্রকাশ আহমদু তিনি সারাদেশে সফর করে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করে দেন যার ফলশ্রুতিতে প্রত্যাশিত নগদ টাকা ও অসংখ্য গরু মহিষ এর সংস্থান হয় পাড়া মহল্লা ও এলাকাভিত্তিক। বর্তমানে এই গুরুদায়িত্ব সমন্বয় করছেন আবদুল মালেক ইবনে দিনার নাজাত। সারাবছর প্রচুর পরিমাণে লাকড়ির মজুদ স্তুপ করা হয় । মাহফিল এর স্টোর তথা ভান্ডারখানা বিভিন্ন ক্লাব সমিতির সহায়তায় রন্ধন ও পরিবেশন সরঞ্জামাদি মণি ডেকচি, থালা-বাসন , জগ-গ্লাস, বালতি-চামুচ ও নানা সাইজের টব সরবরাহের পাশাপাশি মাহফিল শুরুর মাসাধিক আগেই মসলা পাতি ও চাল, চনার ডাল, লবন, তেল, পিঁয়াজ, রসুন আদা ইত্যাদিতে ভরে যায়। চাক্তাই খাতুনগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজি আহমদ কোং এর বদান্যতায় প্রায়শই বাকীতে ই এই রসদ সরবরাহ নিশ্চিত করেন যা মাহফিল চলাকালীন ও শেষে সমন্বয় করা হয় । তাঁদের বিশ্বাস এর ভিত্তি চুনতি র প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী কাজী আরিফুল ইসলাম তাঁর সহযোগী হিসেবে থাকেন মোহাম্মদ নাঈম নিমু, সাদুর রহমান এবং ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী সালাহউদ্দিন সহ আরো অনেকে।মাহফিল এর প্রচার ও প্রসারে মিডিয়া কমিটির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা :যদিও ১৯ দিন ধরে মাহফিল এ লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজ নিজ সুবিধাজনক সময়ে সীরত ময়দানে উপস্থিত হতে সচেষ্ট থাকেন কিন্তু এর গন্ডি স্থানীয়, জাতীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিস্তৃত হয়েছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আশেকানে ভক্তবৃন্দের ব্যক্তিগত ও গ্ৰুপ পোস্ট, লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের সদস্যদের আন্তরিক সহযোগিতা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বদৌলতে মাহফিল এর সংবাদ প্রতিদিন নানা কলেবরে প্রকাশিত হয় । মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক তৈয়বুল হক বেদার, সমন্বয়কারী কশশাফুল হক শেহজাদ ও সদস্য সচিব যাহেদুর রহমান সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার মাধ্যমে মাহফিল এর মতোয়াল্লী ও নির্বাহী কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা আয়োজন করে থাকেন। এছাড়া সমগ্ৰ দক্ষিণ চট্টগ্রামের কেবল অপারেটরের সহযোগিতায় মাহফিল এর বয়ান বিভিন্ন ডিশ চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। মাহফিল এর আর্কাইভ হিসেবে চুনতি ডট কম বিশেষায়িত পেইজ এবং ফেসবুক ও ইউটিউব এ লাইভ সম্প্রচার বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে দেখা ও শোনা যায়। মিডিয়া কমিটির তদারকিতে মাহফিল এর প্রচারণার জন্য পোস্টার, স্টীকার, হ্যান্ডবিল , ব্যানার, ফেস্টুন , অনুদান সংগ্রহের রসিদ বই এবং ১৯ দিনের প্রোগ্রাম সিডিউল পুস্তিকা আকারে প্রস্তুতি নিরলস পরিশ্রম করেন মোহাম্মদ আলী ও রফিকুল ইসলাম।চট্টগ্রাম শহর কেন্দ্রিক প্রস্তুতি সভা :চট্টগ্রাম শহরের রীমা কনভেনশন হলে প্রস্তুতি সভা মাহফিল এর প্রচার ও তহবিল গঠনের জন্য বিরাট জংশন হিসেবে কাজ করে। প্রতি বছর এই প্রস্তুতি সভার মাধ্যমে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মাহফিল এর ভাবগাম্ভীর্য ও উপকারিতা নিয়ে ওলামায়ে কেরাম এবং চুনতি ও সন্নিহিত এলাকার ত্রিশ অধিক ক্লাব সদস্যদের মতামত গ্ৰহন ও সহমর্মিতা প্রকাশ করার মাধ্যমে সীরত মাহফিল এর প্রকাশনা সমূহ বিলি বন্টন করা হয়। সাতকানিয়া লোহাগাড়া সহ চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন মার্কেটে কর্মরত ব্যবসায়ী ভাইদের সাড়ম্বর উপস্থিতি ও অনুদান সংগ্রহের স্পৃহা সকলকে শিহরিত করে তুলে । রিয়াজুদ্দিন বাজার তামাকুমুন্ডি লেইন বণিক সমিতি ও সাতকানিয়া লোহাগাড়া ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে পৃথক একটি প্রস্তুতি সভা মাহফিল এর চাঁদা আদায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।মাহফিল এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে চুনতি ( www.chunati.com ) বাসীর সার্বজনীন উদ্যোগ ও নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন :উপরোক্ত লিখায় প্রসঙ্গক্রমে কতিপয় স্বেচ্ছাসেবক এর নাম উদ্ধৃত হলেও প্রকৃতপক্ষে সীরত মাহফিল এর পুরো আনজাম ও ব্যবস্থাপনায় কয়েক হাজার নিবেদিত প্রাণ মানুষ সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন যার যার অবস্থান থেকে । মতোওয়াল্লী কমিটি, নির্বাহি কমিটি, মোবিলাইজেশন ফান্ড পরিচালনা কমিটি ও উপকমিটির সদস্যরা অলংকারিক মাত্র । আইডি কার্ড ছাড়া মাহফিল চলাকালীন অবাধে প্রবেশ ও বহির্গমনে কিংবা দিকবিদিক ঘুরা ফেরা শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ থাকলেও এই মাহফিল এর সকল স্তরে আল্লাহর অনুগ্রহ ও অন্যকোন সৃষ্টির প্রচ্ছন্ন সহযোগিতা অনেকেই টের পান । অর্থাৎ মানুষ এবং মানুষের ছদ্মবেশে আরো অনেকেই এখানে থাকতে পারেন । এরপরও চুনতি বাসীর সার্বজনীন এই মাহফিল এর প্রতিটি রন্ধ্রে প্রত্যেকের অবদান অনস্বীকার্য। আমাদের সৌভাগ্য বংশপরম্পরায় মুরব্বিদের উপর অবিচল আস্থা ও নির্দেশনা মানার ঐতিহ্য বাংলাদেশের অন্য কোনো এলাকার তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা। বিগত বছরগুলোতে মুসলিম খান, মোজহের আহমদ, এরশাদ হোসাইন, কাজী বশির আহমদ , মঈনুল ইসলাম চৌধুরী হিরণ, মোহাম্মদ হাসান মদনু যেভাবে সামাল দিয়েছেন বর্তমান সময়ে ইসমাঈল মানিক, আমিন আহমদ খান জুনু মিয়া, হাফিজুল হক খোকন, ওবাইদুল মান্নান রোকন, ওয়াহিদুল হক, এডিএম আবদুল বাসেত দুলাল, জহির উদ্দিন, কফিল উদ্দিন প্রমুখ মাহফিল এর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও মতোয়াল্লী সভাপতি হাফিজুল ইসলাম আবুল কালাম আজাদ এর পাশে রয়েছেন ।যাহেদুর রহমান পিতা- আলহাজ্ব মাওলানা ওবাইদুর রহমান আবেদ (রহঃ)মাতা- ইফফাত আরা বেগম বুলুপুনশ্চ : লিখাটি সীরাত মাহফিল এ আমার সংশ্লিষ্টতার নিরিখে নিজস্ব অনুরণন । ভুল ভ্রান্তি সাদরে গ্রহন করে পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করার প্রত্যয় । প্রয়োজনে - ০১৮১৯৩৮৩৮৭০
Make sure you enter the(*)required information