ওয়ান্টেড - >>>>>WANTED (DEAD or, ALIVE)৷ ৫ম পর্ব। একে ধরিয়ে দিন। ( জীবিত কিনবা মৃত) ||||||||||||||||||||||||| (পশ্চিমা কাহিনীর ধরনে) ||||||||||||||||||||||| পড়ন্ত বিকেলে জেড র্যাঞ্চে এসে পৌঁছলাম। এতো ভয়াবহ অগ্নিকান্ড চিন্তাও করা যায় না, কেবিন, র্যাঞ্চ হাউস, কিচেন হাউস এখন শুধু পোড়া কাঠ কয়লার স্তুপ। লুনা এগিয়ে আসছে, হাতে মেয়ারের লাগাম। মনে হয় ডাবল ডায়মন্ডে ফিরে যাচ্ছে। ঃ হ্যালো হেনরী, তোমার কথাই ভাবছিলাম। আমি দুঃখিত কথা দিয়ে রাখতে পারিনি। ঃ না, না, কি যে বলো! মানুষের বিপদ আপদ আছে না, তুমি একজন বিপদগ্রস্তের পাশে এসে দাঁড়িয়েছো তাও কম কিসে! ঃ;এসো তোমাকে এলিচার সাথে পরিচয় করিয়ে দিই। বেচারী খুব মন খারাপ করে আছে। ঃ সে এখন কোথায়? ঃ এলিনা এখন সদ্য পোড়া র্যাঞ্চহাউসের পিছনে প্রহরী চৌকিতে। ঃ তাকে সাথে করে নিয়ে যাচ্ছো না কেন? ঃ অনেক বলেছি। কিন্তু কিছুতেই সে তার কাউহ্যান্ডদের ছেড়ে যেতে রাজি হচ্ছে না। তাছাড়া, আগামীকালের মধ্যে সে আপাতত থাকার মতো একটা কেবিন দাঁড় করাতে চায়। মনে হয় এলিচা এখন র্যাঞ্জ হাউসটার ড্রয়িং করছে। চলো গিয়ে দেখি- আরে এ যে দেখছি নিতান্ত একজন বালিকা! অথচ সৌন্দর্য্য তার উপচে উপচে পড়ছে। কি প্রাণবন্ত উচ্ছ্বল। ঃ তুমি নিশ্চয়ই লুনার সেই? ঃ মানে ? ঃ তুমি তো পুরুষ মানুষ, বোকা। তুমি কি বুঝবে! ঃ আমি তো অবাক। লুনা নিশ্চয়ই আমার সম্পর্কে এলিনাকে কিছু বলেছে। ঃ আচ্ছা ম্যাম, তোমার ফোরম্যান কি বেঁচে আছে? মুহুর্তে তাঁর সুন্দর মুখটা বেদনায় ছেয়ে গেলো। ঃ না, আক্কেল পল বেঁচে থাকলে তো কথা ছিলো না,আমি নিশ্চিন্তে থাকতাম। দীর্ঘক্ষণ আলাপের পর ঠিক হলো আপাতত তিনদিন মেরামতের কাজ চলবে। কেবিন,বি.হাউস এবং কিচেন তৈরির পরে একটা বড় গরুর চালান দোহাজারী রেললাইন পর্যন্ত ড্রাইভ করা হবে। যার নেতৃত্ত্বে থাকছি স্বয়ং আমি। ঃ সত্যি মি: হেনরি, তোমার কাছে আমি কৃতজ্ঞ হয়ে গেলাম। ঃ কৃতজ্ঞতার প্রশ্নই আসে না। এ আমার দায়িত্ব। তৃতীয় দিনের দিন কাউবয়দের সহযোগীতায় একটা কেবিন, বি. হাউস এবং কিচেন দাঁড় করিয়ে ফেললাম। অবশ্য এই হাউসগুলির আকৃতি এতো ছোট যে, মনে হয় অন্যান্য র্যাঞ্জারদের কাছে তা কৌতুকের বিষয় হবে যা হোক চর্তুথ দিন ভোর হতে না হতেই কয়েকজন কাউবয়কে নিয়ে নলবনিয়ার খামারে গেলাম। তারপর দিনভর তিন হাজার গরু একত্র করে শুয়োরমারায় নিয়ে এলাম। এখানে ইতিমধ্যে কস্টা কয়েকজনের সহায়তায় দুই হাজারের মতো গরু চালানের জন্য একত্র করেছে। পঞ্চম দিনের দিন ভোর রাত্রে শুয়োরমারা থেকে ক্যাটেল ড্রাইভ শুরু করলাম। পাঁচ হাজার গরু, নয়জন কাউবয় এবং নেতৃত্বে আমি – ট্রেইল বস। এরপর কোন ঝামেলা ছাড়াই ষষ্ঠ দিনের দিন বিকেলে পদুয়া তেয়ারি হাট এসে ক্যাম্প করলাম। প্রাণ খুলে কাউবয় সঙ্গীত গেয়ে সবার হৃদয় জয় করে নিলো কস্টা আর অন্যান্য কাউবয়রা আসন্ন সাফল্যের আনন্দে কয়েকবার ব্লাঙ্ক ফায়ার দিলো। কয়েকজন আকন্ঠ মদ গিলে অশ্রাব্য খিস্তি আওড়ালো। ক্যাম্পের আলোতে উঠে এলো কাল্পনিক সব কিংবদন্তী কথা। এবং সেদিন মধ্য রাতেই আমরা আক্রান্ত হলাম। মধ্যরাতে গোলাগুলির শব্দে যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন ক্যাম্পের আলো নিভে গেছে। প্রচুর চেঁচামেচি’ আহতদের চিৎকার খিস্তিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। মুহুর্তের মধ্যে পায়ে বুট লাগিয়ে গানবেল্ট পড়ে হাতে বাফেলো গানটি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। সামান্য এগুতেই একটা মৃত ঘোড়ার গায়ে পা লেগে হোঁচট খেয়ে পড়লাম। তাতেই প্রাণে বেঁচে গেলাম।একটু আগে আমি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখান দিয়ে একটি বুলেট অতিক্রম করে গেল। তবে আলোর ঝিলিক লক্ষ্য করে ইতিমধ্যে আমিও একটি বুলেট পাঠিয়ে দিয়েছি। আর সাথে সাথেই অনেকগুলি বুলেট আমার ডানে বামে এসে বৃষ্টির মত পড়তে লাগলো। অন্ধকারে অনেক কষ্টে অনেকটা আন্দাজের উপরে ভর করে ক্রল করে এগুলাম। রাইফেলের নলে নিচু ডালের ছোঁয়া লাগাতেই বুঝতে পারলাম আমি কাঁটা বনের কাছে এসে গেছি। এবঙ ঐখানে কস্টার দেখা পেলাম। তবে মৃত। প্রাণবন্ত সজীব এই কাউবয়ের মৃত্যু কোনমতেই মেনে নেয়া যাবে না। আমিই বেচারাকে নিশি প্রহরী নিয়োগ করেছিলাম।পিছনের দিকে মৃদু শব্দ হতেই রাইফেল নিয়ে তৈরি হয়ে গেলাম। পরক্ষনেই বিষ্ময়ের সাথে দেখলাম ওরা সবাই ডাবল ডায়মন্ডের ক্রু।তাদের কাছে জানতে পারলাম আসল ঘটনা। রাসলাররা প্রথমে চুরির চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায় ষ্ট্যাপিড করার চেষ্টা করে কিন্তু গরুগুলো নিচের জমিতে থাকাতে তাদের সে চেষ্টাও বিফলে যায়। এদিকে কস্টার ছোড়াগুলিতে তাদের একজনের পেট এফোড়-ওফোড় হয়ে যায়। অপরজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে অ্যাপাচী সংকেত দিলে বাকি রাসলাররা আমাদের ঘুমন্ত ক্রুদের উপর অর্তকিতে আক্রমণ করে বসে। তবে তারা অস্ত্রে দক্ষ না হওয়াতে ডাবল ডায়মন্ড কাউহ্যান্ডের সাথে কুলিয়ে উঠতে না পেরে রণভঙ্গ দেয়। কস্টা আর রাস্টি প্রাণ দিয়ে আমাদের সবাইকে রক্ষা করলো।এক অদ্ভুদ বেদনায় ছেঁয়ে গেছে সবার মন। এদিকে আবার পেটে গুলি খাওয়া রাসলার বাঁচার আকুল বাসনায় মুখে খই তুলছে। ঃ বয়েস, আমি কথা দিচ্ছি বাঁচার বিনিময়ে তোমাদেরকে গোপন তথ্য দেবো। তোমরা আমার জন্য এক্ষুনি চিকিৎসার ব্যবস্থা করো। ঃ একজন ঘৃণিত চোরকে বাঁচিয়ে আমাদের কি লাভ? তবুও মুভারকে ডেকে তার চিকিৎসার ভার দিলাম,রাসলার বাঁভার আশায় অর্নগল কথা বলে যাচ্ছে- ঃ -সার্কেল ওয়াই, আমাদেরকে নিয়োগ করেছিলো ষ্ট্যাম্পিড করার জন্য। আমাদের উপর নির্দেশ ছিলো কোন মতেই যাতে তোমরা গরুর পাল নিয়ে দোহাজারী রেললাইন পর্যন্ত যেতে না পারো। ঃ তারপর ? হঠাৎ করে তস্কর জ্ঞান হারিয়ে ঢলে পড়লো। এদিকে টনি পায়ে গুলি খাওয়া রাসলারটাকেও ধরে নিয়ে এসেছে। সেও আমাদেরকে একই তথ্য দিলো।পরমুহুর্তে হঠাৎ করে কাউবয়রা পেটেগুলি খাওয়া রাসলারের কপালে লাল টিপ পড়িয়ে দিলো। আর অপর রাসলারকে ল্যাসের দড়ি দিয়ে পিছমোড়া করে গাছের সাথে বেঁধে সমানে লাথিঘুষি মারা শুরু করলো। আমি শত চেষ্টা করেও উত্তেজিত কাউবয়দের থামাতে পারলাম না। তবে তাদেরকে অনুরোধ করলাম, দয়া করে তোমরা তাকে বাঁচিয়ে রেখো। কস্টা রাস্টির মৃত্যুর জন্য সার্কেল ওয়াই’এর বিরুদ্ধে আমরা এর স্বাক্ষী উপস্থাপন করবো। অবশেষে রাসলারকে আধমরা করে তবে কাউবয়রা শান্ত হলো। চলবে-
Make sure you enter the(*)required information