ওয়ান্টেড - >>>>>WANTED (DEAD or, ALIVE)৷ ষষ্ঠ পর্ব। একে ধরিয়ে দিন। ( জীবিত কিনবা মৃত) |||||||||||||||||||||||||| (পশ্চিমা কাহিনীর ধরনে) ||||||||||||||||||||||||| পরদিন দুপুর পর্যন্ত ক্যাটেল ড্রাইভ করার পর ঠাকুর দিঘী এসে পৌছলাম। সিদ্ধান্ত হলো এখানকার শেরিফের হাতে রাসলারটাকে তুলে দেবো। কিন্তু আমাদের জানা ছিলো না ঠাকুর দিঘীতে কোন শেরিফ অফিস নেই। লোহাগাড়া সাতকানিয়ার শেরিফ অফিসটা রূপকানিয়ায়। তবে লোক মুখে শুনলাম শেরিফ রুশ অত্যন্ত নোংরা এবং নীচু লোক। টেকনাফ সাবরাং এ তার পিতৃনিবাস হলেও সে নাকি বেড়ে উঠেছে বার্মার আকিয়াবে, এরপর সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে ২১ বছর বয়সে সাতকানিয়ায় এসে ভলেন্টিয়ার হিসাবে কাজে যোগ দেয়। তখন জনকল্যাণ সমিতির প্রধান ছিলেন বর্তমান মেয়র রডি। তিনিই পরবর্তীতে রুশকে এই এলাকায় শেরিফ নির্বাচনে দাঁড়াতে সহায়তা করেন। কি আর করা, আবার ক্যাটল ড্রাইভ শুরু করলাম। একটানা চলার পর রাত আটটা নাগাদ সাতকানিয়া এসে পৌছলাম। চুনতি থেকে পদুয়া পর্যন্ত পৌছার জন্য আমাদের ২ দিন সময় লাগলেও পদুয়া থেকে সাতকানিয়া মাত্র ৪ ঘন্টায় পেরিয়ে আসলাম। অবশ্য পদুয়ার পর থেকে সাতকানিয় পর্যন্ত তেমন কোন দূর্গম পাহাড় পর্বত নাই তাও একটা বড় কারণ। যাক, ক্যাম্পে ক্লান্ত কাউবয়রা সবাই শুয়ে পড়লো কিন্তু একঘন্টা পর আঙ্কেল জনির ডাকাডাকিতে সবাই আবার উঠে পড়লো। ক্যাম্পের বাতাসে তখন গরুর মাংস পোড়ানোর খুশবু। মুহুর্তে কাবাবের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো ক্ষুর্ধাতের দল। পরদিন ভোরে বন্দী রাসলারটাকে নিয়ে আঙ্কেল জনিসহ রূপকানিয়া এসে পৌছলাম। সবে শেরিফ অফিসের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি তখনি শটগান বেরিয়ে এলেন একজন খর্বকায় ব্যক্তি। ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে ব্যাটা স্বয়ং ইউ,এস, মার্শাল- আমেরিকা থেকে এসেছে। ঃ হ্যালো বয়েজ, তোমরা কিন্তু এখানে থামছো না; ক্লিয়ার? ঃ আমি হেনরী টমাস। চুনতীর সজারুমারার ডাবল ডায়মন্ডের প্রতিনিধিত্ব করছি আর আমার সাথের জন আঙ্কেল জনি। আমাদের অভিভাবক বলতে পারো। আমরা এসেছি রাসলারটাকে সোপর্দ করতে। ঃ শেরিফঅফিসে নেই, কখন আসবেন তারও ঠিক নেই। আমি কোন উটকো ঝামেলায় পড়তে চাই না। তোমরা অন্য পথ দেখো। ঃ তুমি কি ডেপুটি? তবে শোন, আমরা শেরিফের সাথে দেখা না করে যাচ্ছি না। এখন আমাদের ভিতরে নিয়ে চলো। ঠিক তক্ষুনি ডাকাত দর্শন কালো কুঁচকুঁচে মোটা জুলফির একজন বার্মিজ চেহারার আর্বিভাব হলো। তার হোলস্টারে ডবল গান শোভা পাচ্ছে। ঃ হ্যালো আমিই শেরিফ রুশ। বলো তোমাদের জন্য কি করতে পারি? রুশের অফিসটা বেশ গোছানো তবে খুব ছোট। লাগোয়া জেলটা তিনরুমের, পাশেই টয়লেট। বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলতে রুশের চেহারায় ভীতি ফুটে উঠলো। সন্দেহের দৃষ্টিতে আমাদের জরিপ করতে লাগলো। ঃ অসম্ভব সার্কেল ওয়াইয়ের বিরুদ্ধে আমি কিছু করতে পারবো না। প্রথমত: র্যাঞ্চটা আমার এলাকায় নয়। দ্বিতীয়ত: যাকে রাসলার বলে আহত করে ধরে এনেছো সে যদি সব অস্বীকার করে, তোমরা কিভাবে তার অপরাধটা প্রমাণ করবে? এবার আমি আমার শেষ অস্ত্র প্রয়োগ করলাম। ঃ আমি এলাকার জনগণকে একত্রিত করে গণ আদালত করবো। তখন দেখবে ক্ষ্যাপা জনতা ব্যাটাকে ফাঁসিতে ঝুলাবে। তখন তুমি কি করবে, মব* ঠেকাবে নাকি সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দেবে? তবে এক্ষুনি তা করছো না কেন? ঃ ঠিক আছে,তোমাদের কথামতো অভিযুক্তকে গরাদে ঢুকাচ্ছি। বন্দী সর্মপন করে রশিদ বুঝে নিলাম। নিচে মুক্তার মতো অক্ষরে শেরিফের সহি- রুশ মামশাই। ঃ আচ্ছা শেরিফ,তুমি কি বন্দিকে আজই কোর্টে তুলবে,নাকি আমরা ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে? ঃ তুমি হলে কি করতে ? ঃ আমি ঝামেলায় যেতাম না, আজই বন্দিকে জর্জের সামনে হাজির করতাম। ঃ ঠিক কথাটাই বলেছো। তাছাড়া বিনা বিচারে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাউকে আটকিয়ে রাখার ক্ষমতা বা মানসিকতা কোনটাই আমার নেই। তাই আজ সকাল ন’টার মধ্যেই তাকে কোর্টে তুলছি। তোমাদের স্বাক্ষী সাবুদও রেখো কিন্তু। ঃ ওকে। তাহলে আমরা ব্রেক ফাষ্টটা সেরে আসি? ঃ শিওর। পাশেই কামএগেইন,তবে সাবধান- আঙ্গুল কেটে ফেলো না যেন। মিনা প্রু মারমা শুধু দেখতেই সুন্দরী নন, বারটেন্ডার কিন্তু যাদুও জানেন। -ঃ থ্যাঙ্ক ইউ শেরিফ। কামএগেইনে ঢুকতেই হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের ছ্যাকা খেলাম। মানুষ এতো সুন্দর হয় কি করে? অষ্টাদর্শীর রূপ যেন চাঁদকেও হার মানাবে এবং এর চেয়ে সরস কোন উপমা, এই মুহুর্তে অন্তত আমার মাথায় আসছে না। ঃ গুড মর্নিং ম্যাম, আমরা কিন্তু খুব ক্ষুধার্ত। ঃ মনিং। ঝটপট বসে পড়ো, এক্ষুনি গরুর ভুনা মাংস,বেকন, সীম এনে দিচ্ছি। চলবে তো? ঃ -ম্যাম, শুধু চলবে না রীতিমত কৃতজ্ঞবোধ করছি। চলবে -
Make sure you enter the(*)required information