চুনতীর আত্মীয়তার স্বরুপ

এ ডি এম আব্দুল বাসেত (দুলাল)



এ ডি এম আব্দুল বাসেত (দুলাল):

★চুনতীর আত্মীয়তার স্বরুপ ★
চুনতীর নক্ষত্রখচিত আধ্যাত্মিক আকাশের আরেক নক্ষত্র মুফতি হাজী মৌলানা মোহাম্মদ ইউসুফ চুনতীর  জাগতিক ও ধর্মীয় জগতের অধিকাংশ তারকা এবং আলোকিত চুনতীর সিংহভাগ তাঁর সাথে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ।চুনতীর অভিভাবক আধ্যাত্মিক পুরুষ হযরত মৌলানা আব্দুল হাকিম তার ফুফা জজ ওয়াজিউল্লাহ খাঁন সানী তাঁর ফুফাতো ভাই এবং একমাত্র ভগ্নীপতি। পূর্বেই বলা হয়েছে জনাব সানী তাঁর মামাতো বোন ফরহাতউন্নিসাকে বিয়ে করেন।চুনতীর আধ্যাত্মিক সাধনার আরেক দিকপাল হযরত শুকুর আলী মুন্সেফ তাঁর পিতার চাচাতো ভাই শাহামত আলীর বড় পুত্র।
মৌলানা হাজী ইউসুফ আলী চার পুত্র ও চার কন্যা  সন্তানের জনক। তাঁর প্রথম কন্যা মোছাম্মাৎ ফাতেমা খাতুনকে হযরত আজমগড়ীর চুনতীস্থ প্রধান খলিফা মৌলানা ফজলুল হকের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছিল পরবর্তীকালে তিঁনি শাহ মৌলানা নজির আহমদ সাহেবের পিতা মৌলানা আব্দুল করিম সাহেবের সাথে পরিনয় সুত্রে আবদ্ধ হন।

তাঁর দ্বিতীয় কন্যা মোছাম্মাৎ নুর জাহান খাতুনের স্বামী হযরত বড় মৌলনা সাহেবের নাতি শাহ মৌলানা আব্দুল গনি ছিদ্দিকী তিনি হযরত আব্দুল হামীদ বোগদাদীর খলিফা ছিলেন। তাঁর দাদার ( বড় মৌলানা সাহেবের) কেরামতের উপর ভিত্তি করে কেরামতনামা রচনা করেন।চুনতী হাকিমিয়া মাদ্রাসার প্রথম সেক্রেটারী আব্দুল গনি সিদ্দিকী মৌলানা গোলাম মোস্তফা সিদ্দিকী ও হাজী শামশুল হুদা ছিদ্দিকীর পিতা।

 রিদুওয়ানুল হক:

সংশোধন : হযরত কাজী ইউসুফের রহ প্রথম কন্যা মোছাম্মাৎ ফাতেমার রহ প্রথম স্বামী হলেন হযরত শাহ মাওলানা নজির আহমদ রহ এর পিতা মাওলানা আব্দুল করিম রহ। মাওলানা আব্দুল করিমের ইন্তেকালের পরে হযরত শাহ মাওলানা ফজলুল হকের রহ সাথে মোছাম্মাৎ ফাতেমার রহ দ্বিতীয় বিবাহ হয়। এটা হযরত মাওলানা ফজলুল হকেরও রহ ( আমার প্রপিতামহ) ২য় বিবাহ ছিলো। তাদের দুজনের এই সংসারে আশরাফ খাতুন নামে একটা কন্যা সন্তান ২-৩ বছর বয়সে পানিতে ডুবে ইন্তেকাল করেন।

আসসালামুআলাইকুম শ্রদ্ধেয় দুলাল মামা। আপনার লেখায় সঠিক তথ্য সংযোজন এর জন্য।


ছাইফুল হুদা ছিদ্দিকী:
 
চুনতী হাকিমিয়া মাদ্রাসার প্রথম সেক্রেটারী আব্দুল গনি সিদ্দিকী মৌলানা গোলাম মোস্তফা সিদ্দিকী,  হাজী শামশুল হুদা ছিদ্দিকী ও বদরুল হুদা  ছিদ্দিকীর পিতা। উনি আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসজিদের খতিব ছিলেন।

 রিদুওয়ানুল হক:

সংশোধন : হযরত শাহ মাওলানা সসিয়্যিদ আব্দুল হামিদ বাগদাদী রহ সেই সময়ে আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের খতিব ছিলেন, তাছাড়া মসজিদটির প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই মসজিদটির খতিবগণ পর্যায়ক্রমে আউলাদে রাসুলগণ ছিলেন। হযরত সাইয়্যিদ আব্দুল হামিদ বাগদাদীর রহ ৩ জন খলিফা ছিলেন চুনতিতে:
১. হযরত শাহ মাওলানা আব্দুল গনি ছিদ্দীকী রহ, পিতা হযরত শাহ মাওলানা ওবাইদুল্লাহ ছিদ্দীকী রহ। হযরত ওবাইদুল্লাহ ছিদ্দীকী রহ নিজ পিতা হযরত শাহ মাওলানা আব্দুল হাকিম ছিদ্দীকী রহ এর খলিফা ছিলেন।
২. হযরত শাহ মাওলানা সাইফুল্লাহ খান ছিদ্দীকী রহ,  পিতা হযরত শাহ আজিজ উল্লাহ খান ছিদ্দীকী রহ (সাবেক স্টেট মিনিস্টার শাহরামপুর), হযরত আজিজ উল্লাহ খান একটানা ১২ বছর রোজা (বছরে ৪ টি হারাম রোজা বাদে) রেখেছিলেন, তার মাযার দেওবন্দ মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানে। দরবেশ আজিজ উল্লাহ খান ছিদ্দীকীর রহ পিতা খান বাহাদুর হযরত নাসির উদ্দীন ছিদ্দীকী রহ যার নামে চুনতি ডিপুটি পাড়ার নামকরণ করা হয়।
৩. হযরত শাহ মাওলানা ফাজেল গোফরালা রহ, তার বড় ভাই আজমগড়ী হুজুরের প্রথম খলিফা হযরত শাহ মাওলানা ফজলুল হক রহ, তাদের দুজনেরই পিতা হযরত মুন্সী খায়রুল্লাহ রহ, পটিয়া আদালতের আইনজীবী ছিলেন, তার পিতা মুন্সী হায়দার আলী রহ ছিলেন কলকাতা হাই কোটের আইনজীবী। তিনি যেদিন মুন্সেফ পদে পদোন্নতি পান সেদিনই অতি অল্প বয়য়ে ইন্তেকাল করেন। মুন্সী হায়দার আলীর রহ নামানুসারে চুনতি মুন্সী পাড়ার নামকরণ করা হয়।

হযরত শাহ মাওলানা সাইফুল্লাহ খান ছিদ্দীকী রহ হলেন হযরত শাহ মাওলানা আব্দুল গনি ছিদ্দীকীর রহ চাচাতো ভাই, এবং হযরত শাহ মাওলানা আব্দুল গনি ছিদ্দীকীর রহ ফুফাতো ভাই হযরত শাহ মাওলানা ফাজেল গোফরালা রহ, যিনি কাচের গ্লাসে ফুৎকার দিতেন না, কারণ এতে কাচের গ্লাসটি ফেটে যেতো। হযরত সাইয়্যিদ আব্দুল হামিদ বাগদাদীর রহ চুনতিস্থ এই ৩ জন খলিফাগণই কাদেরিয়া সিলসিলার ছিলো।




Comments

Leave a Replay

Make sure you enter the(*)required information