দুঃসংবাদটি পেলাম সন্ধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (বীর বিক্রম) আর নেই। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে বন্ধু আবেদীন আমাদের ছেড়ে চলে গেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। খবরটি শোনা মাত্রই বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠলো। মুহূর্তে মানসপটে ভেসে উঠল অসংখ্য স্মৃতি। আবেদীনের সঙ্গে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে একসঙ্গে পড়েছি। ১৮তম ব্যাচের ছাত্র ছিলাম আমরা। কলেজে আমার ভাল বন্ধু বললে তাকেই বলতে হবে। তাঁকে নিয়ে আমার স্মৃতিও কম নয়। অত্যন্ত মেধাবী ও স্বল্পভাষী ছিল মিয়া আবেদীন। কিন্তু বন্ধুদের সাথে খুনসুটি করতো বেশি। ক্যাডেট কলেজ থেকে পাস করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। কর্মজীবনে বিভিন্ন পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে। সবশেষে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব। অত্যন্ত বিশ্বস্ত ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী বেশ পছন্দও করতো। তার সাথে আমার শেষ দেখা হয় বছরখানেক আগে চট্টগ্রামে। হঠাৎ খবর পেলাম, আবেদীন চট্টগ্রামে এসেছে। ফোন দিতেই বলল, রেডিসন বে-ভিউ ব্লু’তে আছি, চলে আয়। গেলাম। কফি খেতে খেতে অনেক কথা হয়। এক ফাঁকে জানতে চাই, অবসরে যাওয়ার পর কি করবি? এক মুহূর্ত চিন্তা না করেই জানাল, অবসরে যাওয়ার পর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতিতে ফিরে আসব। এগ্রোবেইজ (কৃষিভিত্তিক) খাতে কাজ করার ইচ্ছা আছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিতে কীভাবে উন্নতি করা যায়, সেই চেষ্টা করব।Ki কিন্তু, সেই স্বপ্ন আর পূরণ হল না আবেদীনের। অবসরে যাওয়ার আগেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করল সে। তার মৃত্যুতে একজন ভাল বন্ধু হারালাম। জাতি হারাল একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। ডা. ম. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী হ সম্পাদক, দৈনিক পূর্বকোণ ( Source: Dainik Purbokon)
Make sure you enter the(*)required information