জন্ম ও পারিবারিক পরিচয়ঃ
প্রফেসর ড. মুঈন উদ-দীন আহমদ খান ১৯২৬ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ঐতিহ্যমন্ডিত একটি প্রাচীন শিক্ষিত ও মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবার ডিপুটি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ডিপুটি পরিবার ধারাবাহিকভাবে মুঘল, ব্রিটিশ, পাকিস্তান পরবর্তী বাংলাদেশ আমলের অন্যতম উচ্চশিক্ষিত পরিবার। এখনো শতভাগ শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে এ পরিবারের খ্যাতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে। ডিপুটি বাড়ির কীর্তিমান মনিষী খান বাহাদুর নাসিরুদ্দীন। এই পরিবারের গর্বিত সন্তানেরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য এর দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিহাস পন্ডিত ড. মুঈন-উদ-দীন আহমদ খান, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম ভাষা সৈনিক ফরমান উল্লাহ খান, ড. শফিক আহমেদ খান এই ডেপুটি বাড়ির ইতিহাসকে আরো উজ্জ্বল করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান ড. নিয়াজ আহমেদ খান এই পরিবারের সন্তান। বিখ্যাত সাহিত্যিক ও কবি সুফিয়া কামালের স্বামী লেখক ও অনুবাদক মরহুম কামাল উদ্দিন খানও এই পরিবারের সন্তান। ডক্টর মুঈন-উদ-দীন আহমদ খানের পিতা তাহের আহমদ খানও(কীর্তিমান মনীষী খান বাহাদুর নাসিরুদ্দিনের দৌহিত্র) একজন উচ্চশিক্ষিত এবং ধর্মপরায়ন মানুষ ছিলেন। তাহের আহমদ খান ঐতিহাসিক ইসলামিক সুফি মহাজ্ঞানী কাদিরিয়া তরিকা ভাবাদর্শের ছিলেন। পিতার এ সুফি তরিকা ড. মুঈন-উদ-দীন আহমদ খানও ধারণ করেন। মুঘল আমলে মুঘল সুবেদার শাহ সুজার শাসনামলে বাংলার প্রধান বিচারপতি হাফেজ খান মজলিশ-তাঁর পূর্বপুরুষ দাদাদের একজন; যাকে "খান" উপাধি দেওয়া হয়েছিল। মূলত খান উপাধি এসেছিল সিদ্দিকী পরিবার থেকে, যেটা দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য প্রাচ্যে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর অনুচর এবং ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রঃ) এর বংশধরদের প্রতিনিধিত্বের সময় পারিবারিক নাম বা উপাধি ছিলো বলে ইতিহাস থেকে জানা যায়।
শিক্ষা জীবন ও গবেষণাঃ
প্রফেসর খান তাঁর পড়াশোনা শুরু করেন ২০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চুনতি হাকিমিয়া কামিল(এম.এ) মাদ্রাসায়। পরবর্তীতে তিনি ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী স্টাডিজ নিয়ে স্নাতক ও ১৯৫১ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় ফলাফল করায় তৎকালিন একজন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে শামসুল উলামা মাওলানা বেলায়েত হোসাইন(রহ.) এর তত্বাবধানে কুরআন ও হাদিসের উপর ব্যাপক পড়াশোনা করেন। তিনি ঐ সময় ভাষায় একটি জটিল তুলনামূলক শব্দতত্ত্ব সংক্রান্ত পদ্ধতির বিকাশ ঘটান।
এরপর তিনি কানাডার মন্ট্রিয়লের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফুল-ব্রাইট স্কলারশিপ লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে ম্যাকগিল থেকে গবেষণাপত্রসহ তিনি আর্টিবাস ইসলামী ইতিহাসে ম্যাজিস্ট্রেটস সম্পন্ন করেন। এই গবেষণাপত্র ১৯৫৯ সালে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশ করে এবং একই সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের এশিয়াটিক সোসাইটি অব পাকিস্তান(ঢাকা) ভারত ও পাকিস্তানের আধুনিক ইসলামিক বিকাশের একটি গ্রন্থাগারিক পরিচিতি, ১৭০০-১৯৫৫ প্রকাশ করেন। ম্যাকগিলে, প্রফেসর খান গবেষক হিসেবে অধ্যয়নকালে তুলনামূলক ধর্মের এক উল্লেখযোগ্য পণ্ডিত অধ্যাপক ডব্লিউ.সি স্মিথ এবং বিংশ শতাব্দীর আধুনিকতাবাদী ইসলামী বুদ্ধিজীবী ঐতিহ্যর অঙ্গনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাবিদ প্রফেসর ফজলুর রহমান এর তত্বাবধানে থেকে যুক্তিসঙ্গত এবং ইসলামী দর্শনের গভীর পণ্ডিতের সাথে জড়িত থাকার প্রসঙ্গে আত্মবাচক পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন।
তারপর, প্রফেসর খান যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে শহরের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে যাওয়ার জন্য মনস্থ করেন এবং ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল(দক্ষিণ এশিয়া স্টাডিজ) এ রিসার্চ ফেলো হিসেবে নিয়োগ পান। সেখানে তিনি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি পশ্চিমা ঐতিহ্যের সামাজিক বিজ্ঞান বিশেষত রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অন্তর্দৃষ্টি দেন।
১৯৫৬ সালে তিনি এশিয়া ফাউন্ডেশন, সান-ফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভ্রমণ গবেষণা ফেলোশিপের প্রস্তাব পান। ফেলোশিপের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে তিনি এক বছরের জন্য বৃহত্তর মালয়ে দ্বীপপুঞ্জ (ইন্দোনেশিয়া) বিশেষত জাভা, সুমাত্রা এবং বালি পরিদর্শন করেছিলেন। এসময় তিনি ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাস, রাজনীতি এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন। তিনি সুলতানদের মুদ্রার অধ্যয়নের উপর ভিত্তি করে পালেমবাংয়ের সুলতানদের কালানুক্রমিক সমালোচনা করেছিলেন। এই বিশ্লেষণ তাঁর দুটি গবেষণাপত্রে খুঁজে পাওয়া যাবে। গবেষণাপত্রগুলোর একটি দ্যা সুলতানস অব পালেমবাঙ এবং অপরটি দ্যা সুলতানেট অব পালেমবাঙ। তিনি ইন্দোনেশিয়ার সংবিধানিক উন্নয়নের সক্রিয় পর্যবেক্ষক ছিলেন যেটা তাঁর দু'টি গবেষণাপত্রে প্রকাশ পায়। গবেষণাপত্র দু'টির একটি কনস্টিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট ইন ইন্দোনেশিয়া-ইন্ট্রোডাকশন এবং অপরটি কনস্টিটিশনাল ডেভেলপমেন্ট ইন ইন্দোনেশিয়া ফার্স্ট কনস্টিটিউশন।
এই সময় তিনি ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি এবং সমাজ নিয়ে কিছু জনপ্রিয় প্রবন্ধও লিখেন।
১৯৫৯ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে ফিরে তিনি পিএইচডি গবেষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব জেনারেল হিস্ট্রি-তে ভর্তি হন। সেখানে খানের গবেষণায় তাঁর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ছিলেন বুদ্ধিজীবী, প্রত্নতাত্ত্বিক, ইতিহাসবিদ, ভাষাবিদ অধ্যাপক আহমেদ হাসান দানী; যিনি মধ্য এশীয় এবং দক্ষিণ এশীয় প্রত্নতত্ত্ব ও ইতিহাসের শীর্ষস্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ড. দানীর পরামর্শক্রমে তিনি বাংলার ফরায়েজি আন্দোলনকে (১৮১৮-১৯০৬) ইতিহাস অধ্যয়নের মূল বিষয়বস্তু হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রফেসর খান এই বিষয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান হিস্টরিকাল সোসাইটি, করাচি কর্তৃক বাংলার ফরায়েজি আন্দোলনের ইতিহাস(১৮১৮-১৯০৬) নামে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধটি মূলত বই আকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৮৪ সালে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত হয়। ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি, ঢাকা কর্তৃক বইটির বাংলা অনুবাদ "বাংলায় ফরায়েজি আন্দোলনের ইতিহাস" নামে প্রকাশিত হয়। বইটির বাংলা অনুবাদ করেন তাঁরই একজন সাবেক ছাত্র ড. গোলাম কিবরিয়া।
কর্মজীবন ও সমাজকর্মঃ
প্রফেসর ড. মুঈন উদ-দীন আহমদ খান ১৯৫৯ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা সচিবালয়ে জাতীয় পুনর্গঠন ব্যুরোতে একজন গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর মহান কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত তিনি একটি মৌলিক গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করেন, পরে তাঁর অনুসন্ধানগুলো বাংলায় মুসলিম স্বাধীনতা সংগ্রাম নামে একটি মনোগ্রাফ আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। যেটি ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ বাংলার ইতিহাস বা ইসলামিক পুনর্জাগরনের মুসলিম আল্ট্রা-অর্থোডক্স প্রতিক্রিয়া মুসলিম বিদ্রূপ হিসেবে পরিচিত; ভবিষ্যতে তাঁর অনুসন্ধানের ক্ষেত্র এবং জটিল প্রচলিত প্রথার মাধ্যমে ব্রিটিশ আমলে বাংলার ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে আগামী প্রজন্মের গবেষকদের, কর্মীদের এবং নীতি নির্ধারকদের নতুন কল্পনার দ্বার উন্মোচন করবে।
প্রফেসর ডক্টর মুঈন উদ-দীন আহমদ খান (১৯২৬-চলমান) একজন অবসরপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক এবং বর্তমানে তিনি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এ একজন পণ্ডিত গবেষক হিসেবে যুক্ত আছেন। তিনি বাংলার মুসলিম ইতিহাসে বর্তমান সময়ের একজন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ও পণ্ডিত। তিনি একাধারে ইসলামি দর্শন, ইসলামী অর্থনীতি চিন্তাবিদ এবং তিনি ইসলাম ধর্মের ব্যাপারে আধুনিকতাবাদী এবং পুনর্জাগরণবাদী। এ পর্যন্ত তাঁর ১৮টির বেশি বই এবং ১০০টির মতো গবেষণাপত্র ও নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। প্রফেসর খান ওয়েস্টার্ন একাডেমিয়া এবং ইসলামী বিশ্ব উভয় দিকে অত্যন্ত সম্মানিত বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন শিক্ষক এবং পন্ডিত ব্যক্তি হিসাবে বিগত পাঁচ দশক ধরে চিত্তাকর্ষক একাডেমিক এবং বৌদ্ধিক রেকর্ডের সাথে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন।
গত ১৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে তাঁর বয়স চুরানব্বই বছর পূর্ণ হয়ে ডক্টর খান পঁচানব্বই বছরে উপনীত হয়েছেন। অথচ এই প্রবীণ ইতিহাস গবেষক ও চিন্তাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়সহ, Bangladesh Institute of Islamic Thought ( BIIT) এ গবেষণায় সম্পৃক্ত থেকে অাজও জাতির সেবা করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ২২শে মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। ডক্টর মুঈন উদ-দীন আহমদ খান স্বাধীন বাংলাদেশে নবগঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন এবং সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম এর প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। এখনো তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাকাল্টি ডীন এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অধ্যাপনা করছেন। একজন ইসলামী স্কলার হিসেবে তাঁর সুপরিচিতি রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শতশত (Tribal) ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বা উপজাতিদের অর্থলোভ দেখিয়ে খ্রিস্টান মিশনারী বিশেষ করে বেশ কিছু খ্রিস্টান এনজিও প্রতিষ্ঠান ধর্মান্তরিত করে যাচ্ছিলো। তখন তাদের মধ্যে অনেকেই ড. খানের নিকট ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অাসত। তাদের তিনি অার্থিক সাহায্য করতেন। পাশাপাশি তিনি তাদেরকে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, ইউনিভার্সিটি তে স্কলারশিপেরও ব্যবস্থা করতেন। তাছাড়া তিনি সেসব মুসলিম উপজাতিদের নিজে এবং শিল্পপতি সালাহ উদ্দিন কাসেম খান এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে গৃহনির্মাণ ও জমির বন্দোবস্ত করে দিতেন।
ডক্টর মুঈন উদ-দীন আহমদ খান ১৬ টির অধিক দেশে সরকারি আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। সৌদি সরকারের বিভিন্ন কনফারেন্সে তিনি রাজকীয় অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হন। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ এর এক কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন এবং সেখানে তাঁর লেখা আর্টিকেল শ্রেষ্ঠ হিসেবে নির্বাচিত হয়। সেটি International Islamic conference এ গৃহীত হয় এবং তা প্রকাশও হয়েছিল। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ এর খুবই পরিচিত ও কাছের লোক ছিলেন। তিনি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী পাকিস্তানের পদার্থবিজ্ঞানী প্রফেসর আবদুস সালাম এর বন্ধু।বঙ্গবন্ধু যাকে নিজের রুমে ডেকে একান্তভাবে কথা বলতেন তাঁদের মধ্যে ডক্টর মুঈন উদ-দীন আহমদ খান অন্যতম। তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি বায়তুশ শরফ ইসলামী গবষণা কেন্দ্র এর প্রধান গবেষক ছিলেন। আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতিস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ সুফি মওলানা মােহাম্মদ আবদুল জব্বার (রহ.) সাহেবের সভাপতিত্বে ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্রে এক সেমিনারের আয়ােজন করা হয়। সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল করিম, ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাবেক সভাপতি মওলানা শামসুদ্দিন, অধ্যক্ষ এ. এ. রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মুঈন উদ-দীন আহমদ খান প্রমুখ বরেণ্য শিক্ষাবিদগণ অংশগ্রহণ করেন। তিনি সুফিবাদ তরিকার অন্যতম সহচর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালিন অন্যতম একজন শিক্ষক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ডিপার্টমেন্ট এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বহু ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। এমনকি তিনি উপজাতিদের মধ্যে ত্রিপুরা ভাষাভাষীদের জন্য ( কাও ব্রুং) নামাজ শিক্ষার বই লিখেছেন। তিনি অনেক বড় বড় জ্ঞানীদের সাথে গবেষণা ও লেখালেখি করতেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন- বিজ্ঞানী প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম, রাষ্ট্রদূত অাহমদ ফরিদ (নওয়াব মিয়া) প্রমুখ।
লিখেছেনঃ মোহাম্মদ তামজীদ হোসাইন
Make sure you enter the(*)required information