আমার জানামতে বাংলাদেশের বা পৃথিবীর অন্য কোন এলাকায় এদুটো বিষয় নেই। থাকলেও অন্য নামে থাকতে পারে । কিংবা সামাজিক ভাবে তেমন পালন হয়না। হয়তো আরো বেশি হয় ,আমার জানা নেই। যাইহোক চুনতীর প্রতিটি সমাজে ছেলে বা মেয়ের বিয়ে হোক এ দুটো অনুষ্ঠান অবশ্যই থাকবে। বিয়ের কয়েকদিন আগে পান চল্লার আয়োজন হয়। এই অনুষ্ঠান এর মুল উদ্দেশ্য হলো সমাজের সবাইকে নিয়ে আলাপ আলোচনা করে বা সবাইকে নিয়ে বিয়ের আয়োজন করা। পান সুপারি জরদা তো থাকবেই। নামে পানচল্লা হলেও পরিবারের আয়ের উপর নির্ভর করে অনেক খাওয়ার আয়োজন থাকে। সমাজের ধনী দানবীর সুবিধাবঞ্চিত সবাই এই অনুষ্ঠানের অংশগ্রহনকারী বা দাওয়াতি। অনেকে হালকা চা নাস্তা , আবার অনেকে মেজবানী কিংবা মুরগীর বিরানি করে সমাজের সদস্যদের খাবার আয়োজন করে। পান চল্লা রাতে আয়োজন হয়। সমাজের নেতারা এবং কর্মবীর কর্মীরা সবাই মতামত দেয় বিয়ের আয়োজন নিয়ে। সর্বোপরি পরিবারের প্রধান ওনার বক্তব্য রাগেন। উনি কতজন বর যাত্রী নিয়ে যেতে পারবেন কিংবা কতজন খাওয়ার আয়োজন থাকবে। বর যাত্রা কিভাবে হবে ? গাড়ি থাকবে কিনা ? মেয়ের বিয়ে হলে কতজন বর যাত্রী আসবে ? সমাজের কতজন খাবে ? ইত্যাদি বিয়ের আয়োজন সংক্রান্ত নানান বিষয়ের উপর সবাই মিলে আলাপ আলোচনা করে সব ঠিক করেন। আর ঐতিহ্য সমৃদ্ধ শের এ খানি হলো বাদ্যযন্ত্র বিহীন সমবেত গান পরিবেশন। বিয়ের আগের দিন রাতে চুনতীর নবীন প্রবীন সবাই মিলে এই গানের আসরের আয়োজন করেন। এই আয়োজনেও নানান ধরনের পিঠা, খাবার দাবার আর চা বিস্কিট সারারাত ব্যাপী চলে। গানগুলোর গীতিকার ও সুরকার চুনতীর। শের এ খানি চুনতীর বিয়ের একটা অনন্য অলংকরণ। অসাধারণ সুন্দর এক অনুপম অনুষ্ঠান। চলবে ।
Make sure you enter the(*)required information