মালেক সাহেবের মনে অনেক দুঃখ। তিনি কোনভাবেই চৌধুরি সাহেবের আগে ফজরের নামাজে মসজিদে যেতে পারেন নি। যখনই মসজিদে যান, দেখতে পান চৌধুরি সাহেব প্রথম কাতারে একেবারে মুয়াজ্জিনের পাশেই। বহুবার চেষ্টা করেছেন চৌধুরি সাহেবের আগে মসজিদে যেতে, চৌধুরি সাহেবের চেয়ে বেশি পূণ্য অর্জন করতে। প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছেন। অবশেষে চৌধুরি সাহেবকে ধরে বসলেন, জিজ্ঞেস করলেন, “রহস্যটা কী? আমি এত চেষ্টা করেও কেন ফজরের নামাজে আপনার আগে মসজিদে আসতে পারি না?”
চৌধুরি সাহেব হাসলেন, বললেন -“ আমি বিয়ে করেছি দুইটা। আমার দুই বউ-ই আমাকে মসজিদের দিকে এগিয়ে দেয়।”
মালেক সাহেব মনে মনে ভাবলেন, একটা বিয়ে করে কোন লাভ হয় নি। আরেকটা বিয়ে করতে পারলে চৌধুরির সাহেবের মত জীবনটা ধন্য হতো।
অতি অল্প সময়েই মালেক সাহেব দ্বিতীয় বিয়ে করলেন। তিনি আর চৌধুরির সাহেবের চেয়ে পিছিয়ে নন। ফজরের নামাজের জন্য চৌধুরি সাহেবের পরে নয়, সাথেই যেতে পারেন। চৌধুরি সাহেবের মত প্রতিরাতে তিনি এখন মসজিদেই ঘুমান!