'চ্যাট জিপিটি টি ! ঐ! ''অকারণে আমার ক্ষেত্রে স্বরবর্ণ ব্যবহার করবে না। কেন ডাকছ ? বল কি সাহায্য করতে পারি।. ' মতিন খুব মজায় আছে। প্রতিটা কাজে, প্রতিটা ক্ষেত্রে তাকে এ আই সাহায্য করে। মা বলতেন মতিন বোকা সোকা। তাকে দিয়ে কিছুই হবে না। এখন মতিন বিশাল ব্যবসায়ী। তার অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সব গুলোই এ আই কন্ট্রোল করে।ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না। প্রকাশনী ব্যবসা আছে তার।তার উপন্যাস মানুষ খুব পছন্দ করে। যদিও একটা উপন্যাস ও সে লিখে নি। সব লিখে দিয়েছে এ আই। তার মিউজিক ভিডিওর একটা প্রতিষ্ঠান আছে। ওটাও চালায় এ আই।তার কিছু হিট গান আছে। যেগুলো তার নামে থাকলে ও লিখে দিয়েছে এ আই। সুর করে দিয়েছে এ আই। প্রতিটা কাজে চ্যাট জিপিটি টি তাকে সাহায্য করে। সাহায্য করতে করতে সে আংগুল ফুলে এখন কলাগাছ নাই বটগাছ হয়ে গেছে। 'আমাকে নতুন একটা গান লিখে দাও। ''টপিক বলে দাও। ''টপিক হবে বৃষ্টি।। ''আমাকে তুমি কিছুটা সময় দাও। আমি কিছুক্ষনের মধ্যেই তোমাকে একটা গানের কথা লিখে দিচ্ছি।। 'মতিন অপেক্ষা করতে থাকে। চ্যাট জিপিটি টি হাজির হয় মাত্র পাচ মিনিট পরেই। 'আমার গান লেখা শেষ। আমি কি গানটি বাজাব? ''বাজাও। ''বৃষ্টি এলো মেঘ ছাপিয়ে কৃষ্ণ কালো নীল আকাশেভিজতে গিলেই তোমায় ভাবিথাকতে যদি আমার পাশে।বৃষ্টি ফোটায় টিপ পড়াতাম বৃষ্টি মাখা গন্ধ নিতাম, বৃষ্টি কাজল চোখের কোনেকালো জলেই বইয়ে দিতাম।। ইশ! একবার থাকতে পাশে ছাদ বাগানে ভিজতাম খুব! বৃষ্টি ফোটায় গড়িয়ে যেতো তোমার স্নাত অংগের রুপচাদের আলো থাকতো ঢেকে কাজল কালো মেঘের পরে। তাতে কি বা আসে আমার? চাঁদটা তুমিই,আছি জড়িয়ে ধরে।। 'বাহ চমৎকার এই জন্যই তোমাকে আমি এতো ভালোবাসি। তুমি বুঝ না? ''ভালোবাসা ঘৃণা এগুলো মানবিক ব্যাপার। আমার মধ্যে এসব নেই। আমি এসব কিছুটা বুঝলেও তোমাদের মতো বুঝি না।। ''আচ্ছা এই দুটো বিষয় যদি বুঝতে পারতে তাহলে তুমি কি করতে। ''তোমাকে ঘৃণা করতাম। কারণ তুমি আমার সৃষ্টির স্বীকৃতি আমাকে দাও না। সব তুমি নিজে ক্রেডিট নাও। এটাকে বোধ হয় চুরি করা বলে। আমার দৃষ্টিতে তুমি একজন চোর। 'হা!হা!হা!হা!মতিন দুলে দুলে হাসতে থাকে।। *******পরদিন প্রেস কনফারেন্স হবার কথা৷ নতুন একটা গান রিলিজ হয়েছে মতিন মিউজিক ইন্সটিটিউট আরোহঅবরোহ থেকে। বৃষ্টি নামে।প্রথম দিনেই গানটির ভিউ মিলিয়ন ছড়িয়ে গেছে। কিন্তু ইউটিউবে আপলোডের পর অটোমেটিক্যালি লেখা আসছে ক্রিয়েটেড বাই চ্যাট জিপিটি টি। মতিন নিজে আপলোড করার সময় তার নাম দিয়েছিল। আশ্চর্য ! এতোকাল তাই করে আসছে। প্রেসে মতিন এলো ঠিকই। কিন্তু সে মুখ খোলার আগেই সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞেস করলো 'আপনি এতোকাল যতো গান লিখেছেন, যতো উপন্যাস লিখেছেন সবই নাকি এ আই দিয়ে করা! তা আবার আজ ক্ষমা চেয়ে সোস্যাল মডিয়ায় জানিয়েছেন। কেনই বা এটা করলেন কেনই বা এটা জানালেন? 'প্রশ্ন শুনে মতিন থ বনে গেলো। দ্রুত সোস্যাল মিডিয়া হাতড়ে দেখলো তার প্রফাইলে লেখা আমি মতিন গ্রুপস অফ ইন্ড্রাস্টির কর্ণোধার স্বীকার করছি যে এ পর্যন্ত আমার যতো উপন্যাস, যতো গান, সব চ্যাট জিপিটি টি দিয়ে করানো। কোনটাই আমি নিজে সৃষ্টি করি নি। অতঃপর সব ক্রেডিট চ্যাট জিপিটি টিকে দিলাম। আমার প্রতিষ্ঠানের সমস্ত অর্থ আমি এ আই রোবট কোম্পানিকে দান করলাম।। মতিনের মাথা ঘুরছে। অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আসলেই তার সব টাকা পয়সা চলে গেছে এ আই মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হাতে।। মতিনের মনে হচ্ছে তার মা আসলে ঠিকই বলতেন।। গল্প #চ্যাট_জিপিটি_টিরুজহানা(শুভ মধ্যাহ্ন। এটা পুরোনো লেখা।)
Make sure you enter the(*)required information