আল্লাহ তায়ালা তাঁর অসীম রহমতের সাহায্যে বাংলাদেশকে একটি অত্যন্ত উর্বর, সবুজ, সুজলা-সুফলা, শস্য শ্যামলা, প্রচুর সম্ভাবনাময় ও বিনিয়োগ-বান্ধব দেশ হিসেবেই আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আল্লাহ এ দেশকে সমৃদ্ধ করেছেন প্রচুর দক্ষ ও অদক্ষ জনবল ও কর্মের হাত দিয়ে। বলা বাহুল্য, বেকারত্ব আমাদের নিজেদেরই সৃষ্ট। একটি ভিডিওতে ঘুরে ফিরে বার বার দেখছিলাম এক ব্যক্তি তার দুটি পা-ই একটি দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন। কিন্তু তিনি মোটেই দমবার পাত্র নন। অদম্য মনোবল, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার প্রচন্ড ইচ্ছে ও দৃঢ় সংকল্প দিয়ে এবং তার অক্ষত হাত দুটিকে কর্মে নিয়োজিত রেখে তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন পাহাড়সম প্রতিকুলতাকে উতরিয়ে বিশ্বকে কিভাবে জয় করে নেয়া যায়।


'পাছে লোকে কিছু বলে' ধরনের বিকৃত মানসিকতা, হীনমন্যতা, প্রেসটিজ ইস্যু, নির্মল আলো-বাতাসের গ্রাম ছেড়ে চাকচিক্যের শহরে বাস করার খায়েশ, অন্যের অধীনে চাকরি করতে হলেও মাসের শেষে গুনে গুনে বেতনের টাকা হাতে পাওয়ার লোভ ইত্যাদি অনেকাংশে বেকারত্ব জিইয়ে রাখার এক সহায়ক শক্তি। কোটি কোটি বেকার লোকের কর্মসংস্থান কোন সরকারের পক্ষেই একাকী সম্ভব নয়। এর পরেও কি সেই সোনার হরিণ একটি চাকরি পাওয়ার আশায় হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হবে?


"নবীর শিক্ষা করনা ভিক্ষা মেহনত কর সবে"। মেহনত করতে হলে যে কোন হালাল পন্থা আমাকে বেছে নিতে হবে। যেমন ক্ষুদ্র ব্যবসা, চাষাবাদ, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালন, মৎস্য চাষ, কুটির শিল্প, ইত্যাদি। আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, আল্লাহর ইচ্ছেয় আমরা এমন এক দেশে জন্ম নিয়েছি যেখানে কোটি কোটি জনসংখ্যার প্রত্যেকেই এক একজন ভোক্তা (consumer)। এজন্য আমাদের কষ্টার্জিত উৎপাদিত পন্যের বাজারজাতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।


সবশেষে, স্বঘোষিত বেকার ভাই বোনদের বলছি, আল্লাহর দেয়া কর্মের হাতকে শক্তিতে রূপান্তরিত করুন; এতে নিজের সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন তো পূরণ হবেই, আমাদের প্রিয় দেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিনত  হবে।