একজন সাধারণ সবজি/ফলমুল ব্যবসায়ী (ব্যতিক্রম ব্যতিত) কিভাবে অসদুপায়ে ফল, শশা, মরিচ, লেবু, শাক, গাজর বিক্রির মাধ্যমে অধিকতর মুনাফা করতে হবে তা নিয়ে ব্যাতিব্যস্ত আছে। এদিকে সেও রোজা রাখছে আর তারাবির নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে উপস্থিত হচ্ছে।একজন মুদি দোকানি (ব্যতিক্রম ব্যতিত) রমজানের হরেক রকম নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য সামগ্রী কিভাবে অবৈধ উপায়ে বিক্রি মারফৎ অধিক মুনাফা অর্জন করবে তা নিয়ে মাথা চুলকাচ্ছে। সেও রোজা রাখছে ও তারাবির নামাজে উপস্থিত হচ্ছে।সচরাচর রমজান মাসে হোটেল-রেস্টুরেন্টে প্রকাশ্যে কেনাবেচা দিনের বেলায় কমে যায়। এই কারনে কমে যাওয়া মুনাফাকে কিভাবে ভেজাল, বাসি, নোংরা, নিম্নমানের খাবার বিক্রির মাধ্যমে বাড়িয়ে তোলা যায়, সে চিন্তায় ব্যকুল থেকে রোজা রাখছে, তারাবি পড়ছে (ব্যতিক্রম ব্যতিত)। পোশাক -জুতা ব্যবসায়িরা (ব্যতিক্রম ব্যতিত) কম দামের কাপড়, জুতা বেশি দামে বিক্রি করত: আজকেই জীবনের পুরা মুনাফা অর্জনের চিন্তা করছে। সাথে যথারীতি নামাজ-রোজা বাদ নেই।ঠিক একইভাবে পরিবহনসহ অপরাপর ব্যবসায়ীরাও (ব্যতিক্রম ব্যতীত) রোজাকে পুঁজি করত: নিজ নিজ ভাবে নীতি-নৈতিকতা না ভেবে মুনাফা অর্জন করেই যাচ্ছি। এদিকে রোজায় ধর্ম-কর্ম পালনে তারাও পিছিয়ে নেই।একজন চাকুরিজীবী (ব্যতিক্রম ব্যতিত) [এমনকি আমিও হতে পারি], রোজার বাহানায় অর্পিত দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে অনিয়মে নিমজ্জিত হচ্ছে আর সোস্যাল মিডিয়া/পাবলিক প্লেসে ধর্মীয় বয়ান দিয়ে যাচ্ছে।এই হলো অবস্থা, এক একজন পেশাদার hypocrite আমরা। নিজ নিজ ব্যবসায়, চাকুরীস্থলে যে কোন প্রকারের অনিয়ম ধর্মীয় আর মানবিক যে কোন দৃষ্টিকোণ বিচারে অপরাধ, তা আমরা গ্ৰাহ্যই করছি না, শুধু সুযোগ-সুবিধা/মুনাফাটুকু দেখছি আর রোজা-তারাবি'র বিষয়ে জোর গলায় চিল্লায়ে যাচ্ছি। কিন্তু রোজা-নামাজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি, নিজকে এগুলোর আলোকে পরিশুদ্ধ করতে পারছি কি না, তা নিয়ে কোন ভাবনা বা উদ্বেগ নেই।এমতাবস্থায় আমি সহ সবার জন্য হেদায়েত কামনায়। সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা।
Make sure you enter the(*)required information