একটা সময় আমাদের ও সোনালী অতীত ছিলো ।জন্ম শৈশব কৈশোর যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্য এসে ভর করলো।।আহা!এই বুঝি জীবনের সময় ফুরিয়ে এলো।প্রকৃতির মাঝে অক্সিজেন সরবরাহে কোন বিঘ্ন না হতো।।হায়!হায়! আজ নিজেরাই অক্সিজেন শূণ্য অথচ।হে মানবজাতি ও প্রাণীকুল!রইলো আবেদন তোমাদের প্রতি আকুল।মাড়িয়ে যেওনা আমাদের কখনো।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে ও প্রয়োজনে একেবারে ফেলনা নয় মোরা এখনো।।রুক্ষ প্রকৃতির মাঝে অপূর্ব সুর সৃষ্টির শব্দের ঝংকার ওঠে যখন মোরা পাতা শুকনো।শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনিতে আবার প্রকম্পিত হয়ে ওঠে কষ্ট ও।।শুনতে কি পাও?জেনে রেখো!আমরাই আবার প্রকৃতির মধ্যে অন্য গাছের সার।গলে পচে মাটির সাথে মিশে গিয়ে মাটিকে করি উর্বর।।সবুজ শ্যামল ফুলে ফলে ভর করে অন্য গাছপালা শক্তি সঞ্চয় করে তার।কষ্ট খুব মনে, তবু কেন জানি পাত্র মোরা এতো অবহেলার?উপকারে আসি আবার কারো বা সময় রান্নার!মাটির চুলায় জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে শিকার নিঃশব্দ কান্নার।।সেই ছাই আবার ব্যবহার হয় চকচকে করতে গৃহস্থালি থালা বাসন মাজার।পোকা মাকড় দমনে কার্যকর ভূমিকা পালনে রয়েছে অনস্বীকার্য অবদান সবুজ বাংলার সোনার কৃষকদের ক্ষেত খামার।।বাজার কিংবা গৃহে জলজ্যান্ত আধমরা অথবা মৃত তাদের সঙ্গী হিসেবে সামুদ্রিক ও মিঠা পানির মাছেদের কৌশলে কাটার। এভাবে ধরনীর বুকে সবুজ প্রকৃতির মাঝে অবদান রাখি মোরা বার বার।।প্রকৃতিতে এভাবে অবদান আরো কতো, বিলিয়ে দিয়েছি নিজেদের অথচ যখন যেমন দরকার।রুক্ষ প্রকৃতি শেষে ফাগুনের আগমনী বার্তা নিয়ে গাছে গাছে নতুন ডালপালা গজায় আবার।। প্রকৃতির মাঝে সুশোভিত করি সবুজের সমাহার পাতার বাহার।।খাতুন রওনক আফযা ( রুনা)১৫/৩/২০২২
Make sure you enter the(*)required information