যাচ্ছি তবে প্রিয় ঋতু বর্ষা শরতকে কহে,আসবো আবার ভ্যাপসা গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত ও প্রকৃতি যখন রুক্ষ হয়ে যাবে।না এসে কি আছে উপায়? সবুজ প্রকৃতি গাছপালা রুক্ষ হয়ে যায় নালা- নর্দমা মানব সৃষ্ট কারণে যায় ভরে।আমি না এলে পরে।।কৃষক শ্রমিক ক্লান্ত হয়ে পড়ে রৌদ্রের খরতাপে পুড়ে।কি করে ফলবে সোনালী ফসল মাঠে? শরতের শেষে হেমন্তের শুরুতে নবান্নের পিঠা পায়েস উৎসবে মেতে ,যদি না আসতাম বিদায় লগ্নে গ্ৰীস্মের ডাকে?আসি তো প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে।বেজায় খুশি তারা ও আমার আসাতে। নিজের ও বেশ আনন্দ লাগে পেরে হাসি ফুটাতে।তবে কষ্ট ও নয় কম তাদের জন্য, নদী ভাঙ্গনে ঘর বাড়ি ভেসে যায় , রাত যাপন ফুটপাতে।নিজের ও তো তখন খুব মন কাঁদে।।দেখে রেখো তুমি তাদের।ফিরে না আসা পর্যন্ত প্রকৃতির চিরাচরিত নিয়মে আবার।ন্যস্ত করে গেলাম ততোদিন তোমার উপর দেখভাল।বিদায় হে বন্ধু! প্রিয় শুভ্রতার শরত আমার। রোজ রোজ প্রকৃতিকে দিও তুমি শিশির ভেজা মিষ্টি রৌদ্রজ্জ্বল সকাল উপহার।।দেখা যায় যতদূর অপরূপ সবুজের সমাহার,মাঠে মাঠে কৃষকের হাসি মুখ ও শস্য ভান্ডার।তুমি ও হেমন্ত উৎসবে মেতে থেকো কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে ফসল নবান্নের। বিদায় প্রিয় ঋতু বর্ষাকে শরত কহে,এসো তবে প্রকৃতির মাঝে আবার ফিরে, অঝোর ধারায় এক আকাশ বৃষ্টি নিয়ে।রুক্ষ প্রকৃতি যে সতেজতা ফিরে পায়না তুমি না এলে।।মাছেদের জলকেলি দেখা মিলেনা জলে খালে বিলে।ছয় ঋতু মোরা এভাবে মিলে মিশে অপরূপ সুন্দর প্রকৃতির চিরাচরিত নিয়মে আসি একেক রূপে।।শরতের আকাশে মেঘের আনাগোনা থামবে না ,হেমন্ত না আসে যদি না।। বর্ষা শরতকে কহে, হেমন্ত যে তোমার ডাকের অপেক্ষায় আছে।খুব ভালো থেকো দুই ঋতু একসাথে মিলে মিশে।খাতুন রওনক আফযা২১/৯/২১
Make sure you enter the(*)required information