আমার মায়ের জা এবং খুব কাছের বান্ধবী আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় চাচি বেগম খুরশিদ জাহান গত বছর ২৯ আগষ্ট ২০২১ সকালে মহান আল্লাহের মেহমান হিসেবে পৃথিবীর সকল মায়া ছেড়ে চলে গিয়েছেন।ইন্না-লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় চাচা জয়নুল আবেদীন ছিদ্দিকীর সহধর্মিনী।চাচি আম্মার বাপের বাড়ি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সমৃদ্ধ পর্যটন নগরী কক্সবাজার। আর আমার মা মরহুম মরিয়ম বেগম ছিদ্দিকার বাপের বাড়ির বালুকাময় সমুদ্র সৈকত কালুশাহ নগর ফৌজদারহাট, সলিমপুর, সীতাকুন্ড উপজেলায়।দুজনেই একটা ভীষন রকম মিল।বিশাল সমুদ্র পাড়ে শৈশব কৈশোরের সময় পাড়ি দিয়েছেন।বিবাহ বন্ধনে দুজন ঐতিহ্যবাহী বড় মৌলানা বাড়ির বউ হয়ে এসেছেন।চুনতীর একটি প্রচলিত চলন বলা যায় চুনতীর ছেলে চুনতীরই কোন পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাই হয়ে আসছে আজ অবধি। সেই ক্ষেত্রে আমার মা ও চাচি দুজনেই চুনতীর বাইরের মেয়ে। তাই তাদের দুজনের মাঝে ভীষন মিল ছিলো। একে অপরের সুখে দুঃখে কাছে থাকতেন। একজন আরেক জনকে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতেন। আমার পরম শ্রদ্ধেয় মা মহান আল্লাহের মেহমান হয়েছেন সেই ২০০৩ সালে আর আজ ফছর হলো চাচি চলে গেলেন। গত বছর একই দিনে আমার মায়ের চিকিৎসক স্বনামধন্য নিউরিসার্জারি ডাক্তার এল এ কাদেরীও ভাইও মহান আল্লাহের ডাকে সাড়া দিয়েছেন।ওনার শ্বশুর বাড়িও চুনতী। মায়ের দুজন আপন কাছের মানুষকে হারালাম। আমাদের সমাজে প্রচার বিমুখ কিছু কল্যাণকামী মানুষ থাকে। চাচি এমন একজন যাকে দেখেছি ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে এসে অন্যের কল্যাণে নিবেদিত থাকতে।মানবিকতা ও মনুষ্যত্ব গুণাবলীর অনন্য দৃষ্টান্ত চাচি আম্মা বেগম খুরশিদ জাহান। ওনার মায়া ভরা ডাক, অতিথিসেবা ও মহত্ত্ববোধ অনুকরণীয়। ওনাকে যারা চেনেন বা দেখেছেন আমি নিশ্চিত সবাই আমার সাথে একমত হবেন,উনি সমুদ্রের মতোন বিশাল ও উদার মনের একজন মায়া ছড়ানো মানবিক মানুষ।বিশেষ করে চাচি আম্মার হাসিমুখ খানি সব সময় মনে পড়ে।পরের জন্য ভালো কিছু করতে পারলে চাচি আম্মা খুব খুশী হতেন।সবার খোঁজ খবর রাখতেন।হে মহান আল্লাহ আমাদের সকল মুরব্বী যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের সকল কে জান্নাত বাসী করে রাখুন।