চুনতীর আদি পুরুষদের অন্যতম হযরত ইব্রাহীম খন্দকারের একমাত্র পুত্র আব্দুর রশিদ শিকদারের তৎকালীন মোঘল সম্রাট কর্তৃক বিশাল জায়গীর প্রাপ্ত হন। শিকদারগণ মোঘল সম্রাট কর্তৃক একটা সুনির্দিষ্ট জায়গার শাসনভার প্রাপ্ত হন। সংগত কারনে জনাব আব্দুর রশিদ বিশাল জমিদারী এবং এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার কারনে তাঁর বংশধারা খন্দকার থেকে শিকদারে রুপান্তরিত হয় । চুনতীর প্রেক্ষাপটে এটা একটা যুগান্তকারী ঘটনা কেননা চুনতীর জনসংখ্যার সিংহভাগই এই নাম এবং বংশধারা থেকে উদ্ভুত। খন্দকার থেকে শিকদার এই রুপান্তর বিদ্যমান ধর্মীয় আবহকে খুব একটা অবনমন না করলেও চুনতীর প্রেক্ষাপট সামন্ততন্ত্রের দিকে অগ্রসরমান হয়। আব্দুর রশিদ শিকদারের চার পুত্র ও এক কন্যা। তাঁর একমাত্র মেয়েকে আধুনগরে পাত্রস্থ করা হয়। চার ছেলের নাম যথাক্রমে১- আবদুল গনি শিকদার২- আবদুস সামাদ শিকদার৩- আহমদ কবির শিকদার৪- মোহাম্মদ তকি শিকদারআবদুল গনি শিকদার অত্যন্ত প্রভাবশালী ভূস্বামী ছিলেন। তাঁর চার পুত্র১- মোহাম্মদ মুকিম২- শাহামত আলী৩- ওমেদ আলী৪- আবদুল আজিজ ওরফে কালু শিকদারকালু শিকদারের পরিচিত ও প্রভাব তাঁর পিতার মতই সর্বস্তরে পরিব্যপ্ত ছিল।অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে বা উনবিংশ শতকের প্রথমভাগে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ সমধিক খ্যাতিসম্পন্ন ছিলেন। এঁদের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে সম্যকরূপে অবহিত হওয়া না গেলেও তাদের পরবর্তী প্রজন্ম চুনতীর ইতিহাসে শিক্ষা, আধ্যাত্মিকতা এবং মর্যাদাপূর্ণ সরকারি চাকুরী প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা করেন।
Make sure you enter the(*)required information