থাকে মনের আশে পাশে "প্রিয় চুনতি" ।আমার রক্তে আছে মিশে যেখানে শিকড় আমার সেই শৈশব ও কৈশোরের সময়। সবুজে ভরা প্রিয় চুনতি গ্রামে চুনতিতে আমাদের বাড়িটি ছিল মাঠির তৈরি দেয়াল দোতলা গুদাম ঘর। যেখানে কাঠের তৈরি সিঁড়ি দিয়ে উপরো যেতে হতো। আর বাড়ির সামনে বিশাল উঠানে আমরা সব চাচাত ভাই বোনেরা মিলে একসাথে ব্যাডমিন্টন, হা ডুডু ও ফুটবল খেলতাম । উঠোনে আমাদের সাথে খেলতো সেই সময়ের দক্ষিণ চট্টগ্রামের সেরা খেলোয়াড় আমাদের ভাইপো মরহুম ইকবাল হোসাইন ছিদ্দিকী ও বাবর হোসাইন ছিদ্দিকী । মাঝে মাঝে চুপি চুপি মুন্সেফ বাজার পাড়ি দিয়ে। চুনতি আঞ্জুমান মাঠের পূর্ব পাশে নিসারমার্থলির মাঠে চুনতির সব কিশোরদের সাথে ফুটবল খেলায় মেতে উঠতাম। সারা বিকাল গড়িয়ে, সুলতান ভাইদের আমলকি গাছ থেকে আমলকি খেয়ে অনবরত পড়া টিউব ওয়েলের পানি পান করার ঠিক পরের বিশেষ অনুভূতি টুকু । আমলকি খাবার পর পানি পান করলে অন্যরকম এক অনুভূতি হতো ঠিক যেমনটি হয় শান্তি শীতল ধারার মিষ্টি যুক্ত শরবত খেলে । এরপর যথারীতি রাতের লেখাপড়া ও আমরা রাত গভীর হওয়ার আগেই দ্রুত ঘুমিয়ে যেতাম । পল্লী গ্রামের ছায়া সুনিবিড় শান্তির ছায়ায় একটু একটু করে বেড়ে উঠেছি সবুজ শ্যামলা পাহাড় বেষ্টিত চুনতি গ্রামে ।চুনতি উচ্চ বিদ্যালয়ের অতীতের কথা স্মৃতিতে অম্লান বিশেষ করে দশম শ্রেণীতে উঠার পর সহপাঠী সেলিনা ও জিনার সাথে যৌথ ভাবে এসেমব্লি তথা সমাবেশে এ শপথ পাঠ এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা। মনে পরে পরম শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক জনাব এইচ এম ফজলুল কাদের স্যারের অনুপ্রেরণা আর লেখা পড়ার সাথে সাথে বিতর্ক চর্চা ও বত্তৃতা শিক্ষা । একদিন থানা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগীতা করতে যাওয়ার সময় পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক বাবু দিলীপ দত্ত স্যার হঠাৎ বললো একটু দাড়া আমি আসছি,দ্রুত উনার রুম থেকে সদ্য কেনা চকচকে কালো বেল্টটি আমাকে পরম স্নেহ পরিয়ে দিলো আর বললো আজ জিতলে এটা তোর। শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আব্দুল খালেক স্যারের দারুন সব যুক্তি ও দারুন সাবলীল ভাষায় ছিলো উনার প্রতিটি লেখনী। স্মৃতির পাতায় ভিড় করে সেই সব সুবর্ণ সময়।
Make sure you enter the(*)required information