বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এখানেও বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনাভাইরাস সংকটের উত্তরণে আমাদের প্রিয় চুনতির বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও চুনতিবাসী সবাই মিলে নানান সামাজিক কাজ হাতে নিয়েছি। ইতিমধ্যে কয়েক দফায় সুবিধা বঞ্চিতদের খাবার, ওষুধ, চুনতির একদল নিবেদিত ডাক্তার এর মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা এবং করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর একটি বিশেষ আয়োজন চলছে ‘চুনতিডটকম ওয়েবিনার- ২০২০’ এর মাধ্যমে করোনায় করণীয় বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান। যার মধ্যে প্রথমটির বিষয় ছিলো ‘কোভিট-১৯ সংকট উত্তরণে করণীয় নির্ধারণ’ আর দ্বিতীয়টি ছিলো চুনতির ডাক্তারদের নিয়ে ‘করোনায় করণীয়’ স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ। আলোচকগণ সবাই চুনতির কৃতি সন্তান এই সময়ের গুরুত্ববহ ও করণীয় কাজগুলোর বিষয়ে সাবলীল ও যথাযত আলোকপাত করেছেন। ‘করোনায় করণীয়’ স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ এই অনুষ্ঠানে করোনা প্রতিরোধে সবাইকে যথাযথ সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। আজ আমি এই বিষয়ে করোনা প্রতিরোধে ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রী তথা বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করার আহবান ও অনুরোধ করছি।
মহামারি করোনার সংক্রমণের এই সময়ে বাংলাদেশে সকল দোকান ও বাজার, ব্যাংক, রপ্তানিমুখী কারখানা সহ সকল ধরনের উৎপাদনমুখী এবং প্রায় প্রতিষ্ঠান ও অফিসের কার্যক্রম চলছে। আমরা প্রতিদিন অফিসে বা যে কোন কাজে বাইরে যাওয়ার সময় করোনা প্রতিরোধে অপরিহার্য মাস্ক, গ্লাভস, পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই), ফেসশিল্ড, স্যানিটাইজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবহার করছি। যার বেশির ভাগ ব্যবহৃত সুরক্ষা সামগ্রী যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ঘরের সাধারণ ময়লার সাথে এই সকল সুরক্ষা সামগ্রী আমাদের সচেতনতার অভাবে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ডিপোতে মিশছে। বিশেষ করে পলিথিন ও রাবারের তৈরি গ্লাভস পচনশীল নয় যা সড়কে, নালায় বা খালে আটকে গিয়ে পানির প্রবাহে বাধা দেয়। আর একটু বৃষ্টি হলেই শহরের সড়কে ভরে উঠে পানি। নিয়ম হলো হাসপাতালের বর্জ্য বা এই ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী নির্দিষ্ট বর্জ্য থলেতে রেখে মুখ বন্ধ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে বা মাটি চাপা দিতে হবে। এই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় করোনা বর্জ্যের ফলে দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশ দূষণ বাড়বে এবং বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে এই সুরক্ষা সামগ্রী ও হাসপাতাল বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। আমাদের সবাইকে আরো সচেতন ও সঠিকভাবে পরিবেশ রক্ষায় ব্যক্তি পর্যায় ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কার্যকর ভূমিকা ও পদক্ষেপ নিতে হবে।
Make sure you enter the(*)required information