মুসলিম খান দুলাভাই আমার খুব প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ ছিলেন। আমার শ্রদ্ধেয় জেঠা হাজী মৌলানা সামশুল হুদা ছিদ্দিকীর ৩য় কন্যা আমার শ্রদ্ধেয় বড় বোন রায়হা বেগম রাকু আপার জীবন সঙ্গী আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় দুলাভাই বিশিষ্ট সমাজ সেবক কর্মবীর মরহুম মুসলিম খান ভাইয়ের নানান গুন ও জ্ঞানের কথা লিখতে গেলে অনেক কিছু লিখতে হবে । আজ আমি উনার একটা বিষয় এখানে বলছি। সেটি হলো উনি বাংলা ও উর্দু ভাষায় শের বলতেন অনবরত। উনার চুনতি বাড়িতে এবং মাঝে মাঝে আন্দরকিল্লা বাসায় আমি নিয়মিত যেতাম এবং উনার বলা বাংলা ও উর্দু শের শুনতাম।
দুশমনি জমকর্ করো, এ গুঞ্জাইশ রহেযব্ কভি হাম্ দোস্ত হো যায়েঁ তো শরমিন্দা না হো।–অজ্ঞাত–শত্রুতা করবার সময় হে বন্ধু, একটু ভেবেচিন্তে করো। দেখো, এত নিষ্ঠুর ভয়ংকর শত্রুতা করো না যে পরে যদি আমরা আবার বন্ধু হয়ে যাই তখন লজ্জিত হতে হয়। তোমার শত্রুতার মধ্যে একটু ছেদ রেখো, সুযোগ রেখো বন্ধু। যতির পর পুরনো বন্ধুত্ব ফিরে পেলে লজ্জা নেই, কিন্তু শত্রুতার চরমে যদি আজ বন্ধুত্ব ছিন্ন করে ফেল, পুনর্মিলনের সময় লজ্জায় মুখ তোলা যাবে কি করে? সুতরাং হে বন্ধু, শত্রুতা করবার সময় সম্পর্কে ছেদ রেখো, ছিন্ন করে ফেলো না। লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রামের এই কীর্তিমান পুরুষ, অনুসরণীয় সমাজ সেবক, অপরিসীম জ্ঞান ও মেধাসম্পন্ন, বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী আলেমেদ্বীন মৌলানা মুসলিম খাঁন চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার তৎকালীন সাতকানিয়া থানার ঐতিহ্যবাহী চুনতি গ্রামে ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দাদা ছিলেন সাতকানিয়া থানার অন্যতম জমিদার কমর আলী দারোগা। এই করম আলী দারোগার দ্বিতীয় পুত্র আবদুস সোবহান সাহেবের কনিষ্ঠ পুত্র মৌলানা মুসলিম খাঁন। মুসলিম খাঁনের পিতা মরহুম আবদুস সোবহান সাহেব একজন আলেম ছিলেন।আশেকে রাসুল (সাঃ) আশিকুল শিরোমণি মুজাদ্দিদে মাহফিলে সীরতুন্নবী (সাঃ) প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন শাহ মাওঃ হাফেজ আহমদ রাহঃ কতৃক প্রবর্তিত ১৯ দিনব্যাপী ঐতিহাসিক মাহফিলে সীরতুন্নবী (সাঃ) এর একজন নিবেদিত কর্মী এবং সবকিছু আয়োজনে উনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। জীবনের শেষ সময় অবধি উনি চুনতি সমাজের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন ।উনি চুনতির অতীত সোনালী ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একজন ধারক ও বাহক । মহান হৃদয়ের অধিকারী একজন সাদা মনের মানুষ ।মাহফিলে সীরতুন্নবী সঃ এর কোন বড় ধরনের সমস্যা , উনার জ্ঞানের আলো ও প্রতিভার মাধ্যমে যথাসময়ে সমাধান ও সম্পাদন করার জন্য উনি একজন বাতিঘরের ভূমিকা পালন করতেন।
আচ্ছা হ্যায় দিলকে পাস রহে পাসবানে-অকল্লেকিন কভি কভি ইসে তনহা ভী ছোড়িয়ে।–ইকবাল–হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস সেটা ভালো কথা। কিন্তু মাঝে মাঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সবসময়ে বু্দ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।
(অসমাপ্ত)
Make sure you enter the(*)required information