একই পরিবারের তিনজন বাংলাদেশের অন্যতম ব্যান্ড শিল্পীর জন্ম এই প্রিয় লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নে। চুনতি ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড শিল্পী নকিব খান, পিলু খান এবং একসময়ের সঙ্গীত জগতের খুব চেনা মানুষ সুরকার ও গীতিকার জালাল উদ্দিন খান জিল্লুর জন্ম। বাবা মরহুম আইয়ুব খান এবং মা মরহুমা আক্তার জাহান খান। যাদেরকে নিয়ে শুধু লোহাগাড়া বা চট্টগ্রাম নয় পুরো বাংলাদেশ গর্বিত। তারা সঙ্গীত জগতে নিজেদের পুরো জীবনকেই বিলিয়ে দিচ্ছেন।বড় ভাই জিল্লু খান এক সময় সঙ্গীত জগতে ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের হাল ধরতে নিজে সঙ্গীত জগৎ থেকে ফিরে আসেন। যিনি জনপ্রিয় ব্যান্ড "ব্যালাড" এর একজন সদস্য ছিলেন। নকিব খান জন্মগ্রহন করেন ১৮ মার্চ ১৯৫৩ সালে। চট্টগ্রামের কাজেম আলী স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাউন্টিং বিষয়ে স্নাতক পাশ করেন। ১৯৯৩ সালে নুসরাত খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি ১ কন্যা ও পুত্র সন্তানের জনক। মেয়ে ফাবিহা খান(২২) এবং ছেলে জারিফ খান(২০)। ড্রামার, ভোকালিষ্ট ও গীতিকার শাহবাজ খান পিলু জন্মগ্রহণ করেন ১৫ ডিসেম্বর ১৯৫৮ সালে। তিনিও ২ সন্তান-সন্ততির জনক। ছেলে দামার খান নবম শ্রণিতে পড়েন। সেও একটি ব্যন্ডে গান করেন। কন্যা জয়া খান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়েন।রেনেসাঁ বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড যা ১৯৮৫ সালে গঠিত হয়। নকিব খান রেঁনেসা ব্যান্ড এর একজন সদস্য। তিনি জনপ্রিয় ব্যান্ড রেঁনেসা‘র কিবোর্ড বাদক ও লিড ভোকালিস্ট। নকিব খান তখনো ছোট এবং পিলু খান তো আরো ছোট। কৈশোরেই ব্যান্ড সংগীতের সাথে জড়িয়ে পড়েন নকিব। `বালার্ক` নামের একটি ব্যান্ডে গায়ক ও পিয়ানিস্ট হিসেবে তার প্রথম আত্নপ্রকাশ। কিছু দিন গাওয়ার পর বালার্ক ছেড়ে যোগ দেন সোলস্-এ। ১৯৭১ বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ভালবেসে যুদ্ধে যাওয়ার এক রক্তাক্ত ইতিহাস বাঙালি রচনা করেছিলো একাত্তরে। ১৯৭২ সালে নতুন নতুন স্বপ্নে বিভোর কিছু তরুণ শুরু করেছিলো “সুরেলা” নামে একটি অর্কেস্ট্রা দল সেই সময় এর নেতৃত্ব ছিলো সাহেদ-উল-আলম। ১৯৭৪ সালে “সুরেলা” নাম পরিবর্তিত হয়ে “সোলস” রাখা হয়। সাজেদ, লুলু ও রনি তখন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে “সোলস” এ যোগ দেন আজকের প্রখ্যাত শিল্পী তপন চৌধুরী ও আহমেদ নেওয়াজ। এরপর যোগ দেন নকীব খান। নকীব খান “সোলস” এ যোগ দেওয়ার পর নিজেদের সুর ও কথায় গান কম্পোজ শুরু হয়। সোলস-এর সাথে কাটিয়েছেন প্রায় ১০ বছর। এরপর ব্যাক্তিগত কারণে বাবা মারা যাওয়ার পর চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন এবং গড়ে তোলেন নিজের ব্যান্ড "রেঁনেসা"। ১৯৮৫ সালে নকীব খান সোলস ছেড়ে ঢাকায় আসার পর এই ব্যান্ড গঠন করেন। তখন রেঁনেসা শুরু করে জ্যাজ-রেগে ফিউশন ধারার গান। রেঁনেসা‘র গানের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গাওয়া অনেকগুলো বিখ্যাত গানের রূপান্তর। তারা দুই ভাই সোলস ব্যান্ডের সদস্য। বর্তমানে নকিব খান রেনেসাঁ এর সাথে আছেন এবং নেস্টল Nestle Bangladesh Limited এর Corporate Affairs Director এর গুরুদায়িত্ব পালন করছেন।
Make sure you enter the(*)required information