হযরত ওয়াউিল্লাহ খান সামী প্রতিষ্ঠিত সামীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার বৎসরই ইন্তেকাল করেন৷ ১৮৯৭ সালে প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝড়ে সামীয়া মাদ্রাসা বিধ্বস্ত হয়। এরপর চুনতীর বিভিন্ন পরিবারের দহলিজে দায়সারা গোছের পাঠদানে অব্যাহত থাকেন। ১৯০১-১৯০৫ সনে বড় মৌলানা সাহেবের পুকুরের পুর্বপাড়ে জনাব ফৌজুল কবির খান ও জনাব মুন্সী আয়েরল্লার উদ্যোগে মাধ্যমিক মানের একটি মাদ্রাসা স্থাপিত হয়। মুন্সী খায়েরুল্লাহ ওয়াজিউল্লাহ খান সামীর ভগ্নিপতি মোহতারেমা কলিমুন্নিসার (হযরত মৌলানা আবদুল হাকীমের কন্যা) স্বামী। চুনতীর আত্মীয়তার শিকড় বহুমুখীতায় পরিব্যপ্ত। মুফতী মৌলানা ইউসুফ সাহেবের একমাত্র অনুজ মুন্সী আবদুল ওয়াহেদ জনাব ফৌজুল কবির খানের ছোট মামা মুন্সী খায়েরউল্লাহর ভগ্নিপতি খান বাহাদুর মৌলানা মোহাম্মদ হাসান মুন্সী খায়রুল্লাহর ভাগিনা। এখানে একটি বিষয় প্রনিধানযোগ্য মুফতী খায়েরউল্লাহর পিতা উকিল হায়দার আলী পটিয়া মুন্সেফ কোর্টের সিনিয়র আইজীবী ছিলেন বিংশ শতকের প্রথমভাগে কোন আদালতে শিক্ষিত আইনজীবী হিসেবে আইন চর্চা করা চুনতীর শিক্ষাব্যবস্থার তুলনামূলক উৎকর্ষকে তুলে ধরে। এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য জনাব হায়দার আলী সিনিয়র আইনজীবী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর পরিবার চুনতিতে উকিল পরিবার নয়। তাঁর ছেলে মুন্সী খায়েরুল্লাহর নামানুযায়ী মুন্সী পরিবার হিসেবে পরিচিত। চুনতীর আত্মীয়তার সংযোগসুত্রে এটা ও একটা অনন্য বৈশিষ্ট্য।
Make sure you enter the(*)required information