হেলাল আলমগীর*************২০০৫ সালে 'চুনতি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য' সহ ব্যবস্হাপনা কমিটি গঠিত হয়। শ্রদ্ধেয় জনাব আমিন আহমদ খান (জুনু মিয়া) একনাগাড়ে ১০ (দশ) বছর কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সভাপতি থাকাকালিন উনার নেতৃত্বে কমিটির কার্যক্রমের সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ কমিটি ২০১২ সালে ইউএনডিপি কর্তৃক জাতিসংঘ ইকুয়েটর পুরস্কার অর্জন করে। পুরস্কার গ্রহণের জন্য উনার ব্রাজিল যাওয়ার কথা ছিল। স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে তিনি ব্রাজিল যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। উনার পরিবর্তে কমিটির একজন সদস্যকে পুরস্কার গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছিল। জনাব আমিন আহমদ খান এর প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা। উনার সুস্বাস্হ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।শাহাদাত খান সিদ্দিকী******************আসসালামু আলাইকুম সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।ফয়েজ খান*************চুনতি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য' সহ ব্যবস্হাপনা কমিটি কর্তৃক জাতিসংঘ ইকুয়েটর পুরস্কার অর্জন এবং গ্রহণ সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত অতচ সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।রাশেদুল হক*************২০০৫ সালে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন শ্রদ্ধেয় মরহুম সফদর আহমদ খান (কালু মিয়া)আবদুল হালিম*************উনি সদস্য ছিলেন না, সহ-সভাপতি হিসেবে ছিলেন। জনাব শ্রদ্ধেয় আমিন আহমেদ খান অসুস্থতা ছিলেন বিধায়, সহ-সভাপতি জনাব আনোয়ার কামালকে পাঠিয়ে ছিলেন।এই অর্জন আমাদের চুনতিকে সারা বিশ্বের কাছে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।মাহমুদ জামান খান****************কিন্তু চুনতি বন্য প্রাণীর জন্য অভয়ারণ্যের প্রতিষ্ঠাতা লুৎফর রহমান নানা।উনার একক প্রচেষ্টা ছিল অভয়ারণ্যের প্রতিষ্ঠায়। আমার এখনো মনে আছে বি এন পির নোমান সাহেব বন মন্ত্রী থাকা কালে উনি নোমান সাহেব কে চুনতিতে নিয়ে গিয়ে এই অভয়ারণ্যের উদ্ভোদন করেছিলেন।ফরেস্ট অফিসের ঐ খানে।পরে জুনু নানা সহ চুনতির অনেকে হয়তো এইটাকে আরো সমৃদ্ধ করে।কিন্তু এই অভয়ারণ্যে প্রতিষ্ঠাতায় লুৎফর রহমান নানাই একক কৃতিত্বের অধিকারী।আবদুল হালিম*************মাহমুদ ভাই ঠিক বলেছেন।জনাব লুৎফর রহমান এর অবদান কখনো অস্বীকার করা যাবে না।মাহমুদ জামান খান*****************আমরা তখন অনেক ছোট।চুনতি গ্রামের বাড়িতে বেরাতে গিয়েছিলাম।মন্ত্রীকে সব সময় বি টি ভি তে দেখতাম।মন্ত্রী সামনাসামনি দেখতে কেমন হয় তা দেখার জন্য ফরেস্ট অফিসের ঐ প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম।রাশেদুল হক*************আসসালামু আলাইকুম। চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এর পথিকৃৎ ছিলেন শ্রদ্ধেয় মরহুম লুৎফর রহমান (এটা সম্ভবত ১৯৮৬ সালে)। পরে বিএনপি সরকারের শুরুর দিকে তৎকালীন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী জনাব আব্দুল্লাহ আল নোমান উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে বনবিভাগ ও আইআরজি যৌথ উদ্যোগে 'নিসর্গ সহায়তা প্রকল্প' নামে কাজ শুরু করে।বিভিন্ন জরিপ ইত্যাদি শেষ করে ২০০৫ সালে নিসর্গ পুরোদমে কাজ শুরু করে।২০০৫ সালে গঠিত হয়- চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি।চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন জনাব মরহুম সফদর আহমদ খান। জনাব আমিন আহমদ খান, জনাব আলহাজ্ব আনোয়ার কামাল সহ চুনতি, বড়হাতিয়া, রশিদের ঘোনা, আজিজ নগর ও হারবাং এলাকার অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উক্ত কমিটির সদস্য ছিলেন।প্রকল্পের নিয়ম ছিল একজন ব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদে ৪ বছর সভাপতি থাকতে পারবেন। জনাব সফদর আহমদ খান দুই মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর জনাব আমিন আহমদ খান সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইকুয়েটর পুরষ্কার অর্জন এর সময়ে জনাব আমিন আহমদ খান দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তখন সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন জনাব আলহাজ্ব আনোয়ার কামাল। চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি ইকুয়েটর পুরষ্কারের জন্য মনোনিত হলে জাতিসংঘ পুরষ্কার গ্রহণের জন্য কমিটির সভাপতি অথবা সহ-সভাপতি যে কোন একজনকে আমন্ত্রণ জানায়। সভাপতি ওনার ব্যক্তিগত কারণে ব্রাজিল যেতে অপারগতা প্রকাশ করায় সহ-সভাপতি জনাব আলহাজ্ব আনোয়ার কামাল (বর্তমান সভাপতি) ব্রাজিলে গিয়ে উক্ত পুরষ্কার গ্রহণ করেন।চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির ইকুয়েটর পুরষ্কার অর্জন চুনতি বাসী তথা সমগ্র বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। এ গৌরবের অংশীদার আমরা সবাই তাই এখানে কারো অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নাই।এই ফোরামের সকল আলোচনা 'চুনতি ডট কম' এ রেকর্ড হয় যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনেককিছু শেখার সুযোগ করে দেবে। তাই এখানে অসম্পূর্ণ বা ভুল ইতিহাস লেখার সুযোগ নাই। সুতরাং চুনতির ইতিহাস লেখার সময় সকলের সাবধান থাকা উচিত। আমি ঐ সময়ে 'নিসর্গ সহায়তা প্রকল্প' এর একজন নগন্য কর্মী ছিলাম। তাই এই বিষয়ে কিছু লেখার সাহস করেছি। ভুল হলে বা কারো মনে আঘাত দিলে সকলের কাছে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। শ্রদ্ধা ও সালাম।তৈয়বুল হক বেদার*************তথ্য সঠিক।আমির মোহাম্মদ খান******************প্রিয় রাশেদ ভাই, সালাম এবং দোয়া নিবেন. আপনার তথ্যবহুল এবং শক্তিশালী লেখনী থেকে আমি অনেককিছু শিখতে পারলাম. বিশেষ করে এলাকা যখন চুনতি হয় (যেখানে দক্ষিণ জেলার সর্বপ্রথম পিএইচডি ১৯৩৭ সালে তাও চুনতি'র একজন কৃতিসন্তান সম্পন্ন করেছিলেন বলে জানতে পারি). এহেন উচ্চশিক্ষিত এলাকা নিয়ে আমি অল্প বিদ্যার মানুষ কথা বলতে সবসময় শীর্ণ ছিলাম, তটস্থ ছিলাম. প্রিয় রাশেদ ভাই, একটু আমি আপনার অগাধ ভান্ডার থেকে জানতে চাইবো, চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ৬০ এর দশক থেকে প্রফেসর হাবিবুর রহমান সাহেব এবং উনার পরিবার যত্ন করে সমৃদ্ধ করেছেন তা আমাদের চুনতির সকল মৌরিশি মানুষের জানা. রাশেদ ভাইয়ের কাছে আমার প্রশ্ন: কেন চুনতি সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি জাতিসংঘ Equator পুরস্কার শুধুমাত্র ২০১২ সালে পেল? এর আগেও কখনো পায়নি, ২০১২ সালের পর থেকে প্রায় ১ যুগ অতিবাহিত হয়ে গেল তাও আর কোন বছর পেল না? অথচ, UN-Equator পুরস্কার প্রতিবছর কোন না কোন প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয় (ব্যক্তিকে নয়), তা আমরা সবাই জানি. রাশেদ ভাই;মাহমুদ জামান খান*****************পরে নিসর্গ হইছে এইটা আমি জানতাম না।ধন্যবাদ অনেক তথ্য জানানোর জন্য।এই লিখাটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। প্লিজ।আবদুল হালিম************ধন্যবাদ রাশেদ। অনেক কিছুই জানতে পারলাম।রাশেদুল হক *************স্পেসিফিক প্রশ্নের স্পেসিফিক উত্তর দিতে হবে। ঘটনা প্রবাহ স্মরণ করে বর্ণনা করাটা সহজ কিন্তু কেন, কিভাবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর যথেষ্ট পড়াশোনা করে দেয়া উচিত।সুতরাং একটু জেনে, বুঝে উত্তর দেয়ার জন্য সময় প্রার্থনা করছি।মাহমুদ জামান খান*****************কেন,কিভাবে৷ এইসব প্রশ্ন না করে সবাইর কিছু ইতিহাস জানা থাকলে ঐটা লিখলে ভালো হবে।আজকে আলমগীর ভাই কিছু লিখল বলে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে অনেক কিছু জানতে পারলাম।ধন্যবাদ আলমগীর ভাই।অন্তত আপনার উছিলায় আমার ছেলে মেয়েদের এই সব ইতিহাস গুলো বলতে পারব।আমির মোহাম্মদ খান ******************আংকেল, কিছু মনে করবেননা. আপনার এই ফোরাম এর সবাই কি কোন প্রশ্ন উত্থাপন ছাড়াই গৎবাঁধা (রেফারেন্সবিহীন) ইতিহাস লিখতে থাকবে কিনা?মাহমুদ জামান খান*****************তুমি যেটা জান আমাদের জানার সুবিধার্তে লিখে দাও।তুমি তো এইসব বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি কর রেগুলার।তুমি অরজিনাল টা লিখলে উনিও হয়তো আমার মত কারেকশন করে নিবে নিজেকে এবং আমরা আরও বিস্তারিত জানলাম।সুলতান হাফিজ রহমান********************Thank you for your courage in speaking your mind and for pointing history of the Chunati WLS in the right direction. I will share its history with you shortly.রাশেদুল হক *************আসসালামু আলাইকুম। চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য আমাদের চুনতিবাসীর গর্ব এটার সঠিক ইতিহাস জানা এবং সংরক্ষণ করা উচিত। এই অভয়ারণ্যের ইতিহাস আপনিই সবচেয়ে ভাল জানবেন। আমি তখন নিসর্গ প্রকল্পের সামান্য চাকুরীজীবি ছিলাম। একজন চাকুরীজীবি হিসেবে যা জানি তা-ই শেয়ার করেছি।চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এর ইতিহাস, পুরষ্কার প্রাপ্তির কারণ এবং আমিরের প্রশ্নের উত্তর এই ফোরামে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।আমির মোহাম্মদ খান ******************আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: লুৎফর রহমান সাহেব একজন আলোকিত চুনতির মানুষ. উনার সম্বন্ধে জানতে আমি বেশ কয়েকবার একান্ত সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেছিলাম (রুমঘাটার নিজ বাসভবনে). ব্যক্তিগতজীবনে উনি একজন কবি-সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার, দার্শনিক এবং সমাজকর্মী ছিলেন. আমি একান্ত আলাপ এ জানতে পারি উনি ১৯৪১ সালের দিকে কলিকাতাতে থাকা অবস্থায় সমাজ সংস্কার নিয়ে প্রথম ভাবেন. উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের একজন অ্যালুমনাই. আমার সাথে উনি শেলি, কিটস, টি এস এলিয়ট, রোমান্টিসিজম এবং মডার্নিজম নিয়ে আলাপ করতে পছন্দ করতেন, সাথে সবসময় বই রাখতেন এবং রেফারেন্সছাড়া কোনো কথা বলতেননা. উনার মধ্যে শ্রেণী-বিভাজন একদম ছিলনা (কৃষক পরিবারের একজন হওয়া সত্ত্বেও উনি আমাকে কথা বলার সুযোগ দিতেন তাও পড়াশুনা নিয়ে).আরেকটা বিষয় দেখলাম, উনি ভারিক্কি আলাপ ছাড়া কোনো প্রহসন ও করতে পছন্দ করতেননা. ১৯৮৬ সালে সরকার উনাকে চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এর 'অনারারি ওয়ার্ডেন' নিয়োগ করেন বলেও জানতে পারি. ধন্যবাদ.আমির মোহাম্মদ খান ******************My dear reverend brother, greetings to you. I am aged 38 now and I won't take load of mentioning your age that may bring catastrophe on myself from Nipa Vabi's end. The serious talk is, whatever you write, discuss or establish, it's been already late. You started off like a missile for the beloved soil long ago and it's dusk for all of us here.May you remain happy and safe as you are. Ameen...রাশেদুল হক *************২০০৩ সালে নিসর্গ যখন কাজ শুরু করে তখন চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এর অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বনপুকুরে কিছু গর্জন গাছ ছাড়া পুরো অভয়ারণ্যে তেমন কোন গাছ-পালা বা জঙ্গল ছিলনা। কয়েকটা হাতি ছাড়া কোন বন্যপ্রাণীও ছিলনা।২০০৫ সালের জানুয়ারিতে আমরা (নাজমুল আবেদীন ফয়সাল, আব্দুল গনি (চকরিয়া), নাজেম উদ্দিন সিদ্দিকী, কামাল উদ্দিন, ছহিমা আক্তার কচি এবং আমি রাশেদুল হক) নিসর্গ প্রকল্পে যোগদান করার পর উত্তর হারবাং থেকে বড়হাতিয়া পর্যন্ত এলাকায় বেইস লাইন সার্ভে করি।সার্ভে এর মাধ্যমে আমরা চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ধ্বংসের কিছু কারণ চিহ্নিত করিঃ১। অভয়ারণ্য সম্পর্কে এলাকার মানুষের ভুল ধারণা;২। গাছকাটা ছাড়া অন্য কোন কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা না থাকা;৩। বিকল্প জ্বালানির সুযোগ না থাকা ইত্যাদি। উপরোক্ত সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে আমরা কিছু সংগঠন সৃষ্টি করি। যেমন পাড়ায় পাড়ায় ভিলেজ গ্রুপ, বন পাহারা দল ইত্যাদি। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান এর জন্য গবাদী পশু পালন, সব্জিচাষ ইত্যাদির ব্যবস্থা করি।জ্বালানি কাঠ কম ব্যবহার করা এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য বিনামূল্যে উন্নত চুলা স্থাপনের ব্যবস্থা করি।সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রত্যেক সংগঠন এ সাপ্তাহিক সভা করা হতো।সংগঠন গুলোর প্রতিনিধি ও এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ফরেস্ট অফিসারদের সমন্বয়ে গঠন করা হয় চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সহ-ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল। এই কাউন্সিল সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয় সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি।অভয়ারণ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনের নেতৃত্বে ছিল এই সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি।একটি সম্মৃদ্ধ অভয়ারণ্য এর জন্য কিছু নির্দেশক থাকে। আমাদের জন্য নির্দেশক ছিল আট প্রকারের পাখি। অর্থাৎ এই আট প্রকারের পাখির সব প্রকার যদি বনে পাওয়া যায় তাহলে ঐ বন সত্যিকারের সম্মৃদ্ধ বন।সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃত্বে দীর্ঘ ৭ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে ঐ আট প্রকারের পাখি চুনতি অভয়ারণ্যে ফিরে আসে। অর্থাৎ চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সত্যিকারের সম্মৃদ্ধ অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যকে রক্ষা করার জন্য জনাব মরহুম সফদর আহমদ খান, জনাব আমিন আহমদ খান, জনাব মরহুম শফিক আহমদ রফিক, জনাব আলহাজ্ব আনোয়ার কামাল সহ সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের পরিশ্রম ছিল অবিস্মরণীয়। এই অক্লান্ত পরিশ্রমের যথাযথ পুরষ্কার হলো জাতিসংঘ ইকুয়েটর পুরষ্কার। ২০১২ সালে যেহেতু সকল ক্রাইটেরিয়া পূরণ হয় তাই এই ২০১২ সালেই পুরষ্কার লাভ করে। ইকুয়েটর পুরষ্কার প্রতি দুই বছর পর পর দেয়া হয়। তবে একই প্রতিষ্ঠানকে একবারের বেশি দেয়া হয়েছে কিনা আমার জানা নাই।আমির মোহাম্মদ খান *******************প্রিয় রাশেদ ভাই, আপনারা ২০০৩ সালে অভয়ারণ্য গোছানোর পর ই একটা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়ে গেলেন সেটা বুঝলাম. ওই বন এবং সচেতনতা সব ই এখনও আপনারা গোছানো রাখলেন মাশাল্লাহ! আপনি ইতিহাস দিয়ে উল্লেখ করলেন, এর আগেও এই বন গোছানোর ব্যবস্থা হয়েছে. এখন ভাই, আমার প্রশ্ন হলো, বন গোছানোর সাথে সাথেইতো UN-EQUATOR পুরস্কার এর মতো আরো হাজারো আন্তর্জাতিক পুরস্কার অটোমেটিক আসার কথা. এক ই পুরস্কার একাধিকবার পাইসে এমন বনাঞ্চল ও বাংলাদেশ এ আছে. আপনাদের গোছানো বনটাতে এমন হলো কেন যে, 2012 সাল ছাড়া কোনসময় অটোমেটিক আন্তর্জাতিক কোনো পুরস্কার পেয়ে আমরা আর গর্বিত হতে পারলামনা-সেটাই আমি সবিনয়ে জানতে চাইলাম ভাই. ধন্যবাদ.
দারুণ একটি আলোচনা। চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য নিয়ে আমার আগ্রহের কমতি নাই। তবো সরেজমিনে কখনো এই বনে আমি কাজ করতে পারিনি৷ তবে জানার আগ্রহ থেকে আমি বেশ কিছু গবেষণামূলক লেখা হাতে পেয়েছি। এসব পড়ে যা জানতে পারলাম তার সাথে আপনাদের সকলের আলোচনার মিল পেয়েছি। তবে আমার মূল লক্ষ্য ছিলো এই বনের সম্বন্ধে ঐ লেখাগুলো থেকে বেশি কিছু জানার। লেখাগুলো অধিকাংশ ইংরেজিতে। এগুলোর বাংলা অনুবাদ করে এখান থেকে তথ্য নিয়েছি অনেক। আমার নিজ উদ্যোগে এসব লেখাকে আরো সমৃদ্ধ করার ইচ্ছে আছে। এই ব্যাপারে আপনাদের আলোচনা থেকে আমি আরো কিছু তথ্য পাওয়ার আশায় রইলাম৷ চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে যারা নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন সবাইকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
Make sure you enter the(*)required information