টিকেট
লেখক: ছাইফুল হুদা সিদ্দিকী
ট্রেন কিংবা বাস আর জাহাজে কোথাও লাইনে দাঁড়াইনি। কারণ আমার টিকেটের কোন তাড়া নেই। উড়োজাহাজে না তাও না এ শহর ছেড়ে কোথাও যাবোনা। এ শহর আমার প্রাণের শহর। এ শহর আমার মায়ায় জড়িয়ে রাখা মায়ের শহর। ১৯৯৯ সালে কোরিয়া থেকে আসার পর আমাকে চায়নাতে বদলি করা হলো। মনটা কেন জানি খুব খারাপ হয়ে গেল । সকাল থেকে ঠিক মতোন অফিস করা হলোনা। চায়না যাওয়ার জন্য অনেকে আগ্রহী ছিলো।কিন্তু কতৃপক্ষ কেন আমাকে পেলো বুঝলাম না। কিছুটা আনন্দ আর দোটানায় বাসায় পৌছে প্রথমে আমার মায়ের কাছে বিষয়টি খুলে বললাম। আমাকে আবার চায়না বদলি করা হয়েছে ।মা বললো তুমি না বলে দাও। মায়ের কথায় বলা যায় আদেশে সকাল অফিসে পৌছে চায়না বদলির আদেশ বাতিলের আবেদন করলাম। এডমিন ম্যানেজার আমাকে বোঝালেন এটা আপনার ভবিষ্যত এর জন্য খুব ভালো পোস্ট ।আপনি না করে দিলেন? আপনি কি বুঝে কাজটি করছেন। আমি উনাকে বললাম আমার কোন উপায় নেই। উনি বললেন চেয়ারম্যান মহোদয় এটা ভালভাবে নেবেননা। আমি বললাম ঠিক আছে বিষয়টি আমি ভেবে দেখি। রুমে এসে মায়ের কথা ভেবে দ্রুত একটা পদত্যাগ পত্র তেরি করে এডমিন ম্যানেজার কে দিয়ে কোন কথা না বলে বেরিয়ে আসলাম। ঘন্টা খানেকের মধ্যে মিস মারেফির রুমে ডাক পড়লো। ঐ খানে গিয়ে দেখলাম মিঃ জেরেমিও বসা। মিস মারেফি সরাসরি ইংরেজিতে বললো ।মিঃ ছাইফুল কোম্পানির বিশেষ প্রয়োজনে আপনাকে চায়না বদলি করা হয়েছে । আর ঐ কাজের জন্য আপনিই একমাত্র উপযুক্ত । ওরা দুজনে অনেক কথা বললো এটা আপনার জন্য ভবিষ্যতে চাকরি এমনকি নিজে ব্যবসার জন্য অনেক দরজা খুলে দেবে। আমি কারও কথা মন দিয়ে শুনলাম না। ইতিমধ্যে রুম এর টেলিফোন রিং বাজলো। মিস মারেফি টেলিফোন ধরে বললো। ইয়েস বস মিঃ ছাইফুল ইজ হিয়ার উইথ আস। আমার বুঝতে দেরী হলো না এটা কোরিয়া অফিস থেকে ফোন এসেছে। মিঃ জেরেমি ফিস ফিস করে বললো ইটস ফরম চেয়ারম্যান ।
চলবে। ।
Make sure you enter the(*)required information