জুয়াড়ি জোড়া খেল ধরে খেল পাবি নাপাবি আগে খেল ফাঁকা বেল ঘুর ঘুর দান দে টান দে ফুঁ দিয়ে চুম দে দেরে দে ছক্কা টেক্কা সাব্বাস! তুই এবার জুয়াড়ি পাক্কা। নবাব কহিল এ জমি আমার ---'জমি কই শুধু জল',? তাই একদিন ফুলে ঢিবি হবে মাটি হবে ঘর দোর খাট রবে জলে চাষ আশার আজন্ম ভালোবাসার হতাহত দিন ফেলে সব ভুলে যাবার রাত হবে দিন হবে সংসার বাসর থালা বাটি খুনসুটি অঙ্গে তসর ---'এখনওতো অনাবাদি তবে কবে'? সব হবে জয় হবে দানে দান তুলবে। যথাক্রম সম্পর্ক হবে সংঘর্ষ করে টিকে রবে ঔরস এসে দিন ছড়াবে দিনান্তে ভুল ঝুল কান্না কষ্ট কিছু বেশরম ছাড়াছাড়ি বেসাতির প্রেম মিথ্যের হরবোলা অদিকের পথে ছুটে ছুটে চলা কুন্ডল ঝুমকায় ঝুলে আছে যে ভালোবাসা গন্ডকীশিলা আছে যে কন্ঠের অভ্যন্তরে দিন যাবে বৃষ্টিও নামবে তার সাথে ভালোবাসাও টুপ করে ঝরে পড়ে রবে হবে কান্না আর অস্থিরতা শৈশব হারানো তীব্র যাতনা কাতর কামনা, এখনও হাত ছুঁয়ে ফিরে ফিরে দেখা শেষ দেখায় জীবনের দান খেলা পর্বে সোনালীকে প্রতিবেশী হয়ে কাছে পাশে কখনো পাড়া ডিঙ্গিয়ে অন্য কলোনী তখনো স্বপ্নতারার লুটোপুটি সাগর শহর রেখা কূলের কাছে দেয়াল ডিঙ্গিয়ে দেখা কখনো কোন সোনালীর ভেজা চুল বুকের শব্দের গুনতি কতো নির্ভূল যত অক্ষম দূরে আসা সম্পর্কের তারো বেশী পিপাসা একদিন হবে পরে মেট্রো হাহাকারে বাঁচার যাতনায় কাছে যাওয়ার অধিকারে নৈবদ্য যাবে জলে হবে তাই এরপর দেখা, কাছে কেউ নাই! ---'তবে আর কি রবে'? বেঁচে থাকা আর সাধ রবে আশার বেঘোর সংক্রান্তি হবে তাও হবে বেঁচে থাকা ঠিক হবে দারুচিনি পারে, মালয় দেশে পাবে সোনালীর অপ্রস্তুত হাসি পাশাপাশি গল্প, একদিন হয়ে ওঠে বেশ পরিচিত মুখ তারপর দূর গহীনে ভেসে যাওয়া এরপর সোনালীর দেশে আবার যেদিন পুরনো সেই তারাদের হামাগুড়ি সাগর কূলে একদিন সম্পর্ক অনেকবেশী বুড়ো হয়ে বালিতে মুখ বুজে ঘুমিয়ে রবে বেঁচে রবে তবে অন্য এক দৃষ্টিপাত বেপরোয়া প্রেমিকের দূর্বার সংঘাত এখানে সোনালী অনেকবেশী দূরন্ত আশার ফানুসে প্রদীপ্ত দীপশিখা বীভৎস ভুলদানে দূরে চলে যাবে অকালে সাধ, হবে ক্রোধের সম্পাত দানে দানে ফুরাবে প্রতিঘাত শেষদান নয় একটুও- আবার মধুভরা জ্যোৎস্নার কোন রাতে ঘরোয়া বাগানের মাঝে কাঠের বেঞ্চিতে সোনালী বসে থাকে উদাসীন চোখ দূরদেশে কালো বাবরি চুলের প্রেমিক দাঁড়িয়ে সুবেশে মাউন্ট লিবন্ এর জ্যোৎস্নাকাশ বড় টানে সোনারং পরীটাকে বলে যায় কানে কানে তোমার বেহটেগ্রিন মাউন্ট হাউসের বাগানটাকি রুপালিয়ানায় জুড়ানো চাঁদটার খুব কাছে নাকি মাঝে মাঝে চাঁদের ছোঁয়া লাগা পরীদের মর্ত্যে এলে মানায় বাগানে সুবাসিত গোলাপের সোনালী, ধীরে বেয়ে তুমি স্বর্গে উঠে যেও এখানে জুয়াড়ির টেবিলে দানে ব্যস্ত অন্য কেও ভূমধ্যসাগরের পাহাড়ি তীর ধরে যেতে যেতে ফিরে এসে এখানে অন্য এক এশিরীয় হতে মাটি ঘাট সাধ ফেলে এসে মহানগর দেশের অচিনে পাবে সে সোনালী এখানটায় শহুরে ধুলোর অস্পষ্ট আলোর বিকেলে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে, আরো সময় গড়ালে শুধু অদৃশ্য দুটি ছায়া সে সন্ধ্যার পরে অদেখায় ডিঙ্গাবে এরপরও হবে বেঁচে থাকা হবে রাত-ভোর পথে নিজেদের বাঁচাতে সোনালীরা এভাবেই রয়ে যাবে দূরে দূরে সরে রবে ভুলে নাহয় মনে পড়ার মতো কিছুতে। নারী কোথায়? সে কই? নারী কোথাও নেই, জুয়াড়ির কাছে সবাই প্রেমিকা। জোড়া দানে বাঁচা খেলা সব দানে জিতে বেঁচে, জীবন তারণি আরো বেগে ছুটে চলে সংকুল মহা ইরাবান্ ছাড়িয়ে- এই বলে সোনালীরা অনেক আগেই শুধু কূলে কূলে গাংচিল হয়ে উড়ে উড়ে... তাকিয়ে দূর মাস্তুলে ---------------- নীলিম আকাশ 2014
Make sure you enter the(*)required information