রিমঝিম বৃষ্টি ,মন চায় মায়ের কোমল হাতের ছোঁয়ায় শাড়ি আধ পুরনো বুননের কাঁথা গায়ে মোড়িয়ে দিই দুপুর বেলা ঘুম একটা মিষ্টি। সেই ছোটবেলায় দিতাম ঠিক যেমনটি।এখন চাইলে ও তা আর পারি কি? দুরন্তপনা সময়টা যে কখন জীবন থেকে হারিয়েছি , ভাবতেই জলে ভরে যায় আঁখি।আষাঢ় -শ্রাবণ বৃষ্টি নামলেই আয়োজন ,খই নাড়ু ভাজা শুকনো শিম ও কাঁঠালের বিচি আরো কতো কি। পাড়ার প্রায় বড় ছোট সকলেই বাড়ির পাশের বিলে পুকুরের উজান থেকে উঠে আসা মাছ ধরার আয়োজন ,বলে বুঝানো যাবে না আনন্দ সেকি।গুরুজনদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পাড়ার ভাই বোনে মাছ ধরার ভান করে খেলেছি কতো জলকেলি।ভয়ে ভয়ে ভেজা কাপড়ে ঘরে ঢুকতাম চুপি চুপি ।পাছে শুনতে হয় যদি কথা ,বৃষ্টির পানিতে ভিজে ঠান্ডা লেগে গায়ে সর্দি ,কাশি ,জ্বর আসে এই বুঝি !বেশ তো পারবো দিতে তার সুবাদে পড়ালেখা ফাঁকি ।অনেক সময় জ্বর আসতো ঠিকিই।আহা মনে কি আনন্দ! ক্লাসে যাওয়া কদিন থাকতো বন্ধ।স্বস্তি অনেক শারীরিক অসুস্থতা যদিও। বড়দের জাল ফেলে মাছ ধরা ,বাড়ির পাশের বিলে সবাই মিলে বৃষ্টির হাঁটু পরিমান পানিতে কারনে অকারণে নেমে পড়া। সব যে রয়ে যাবে অদেখা, তাই জরুরি ছিল গায়ে জ্বর আসা। শ্মৃতির মনিকোঠায় আজ শুধু ভাসছে ছোটবেলার রিমঝিম বৃষ্টির পানিতে ভিজে সাথীদের সাথে খেলা করার সেই সব কথা। বর্ষার জলে বাড়ির পাশের বিলে মাছ ধরা ,খেলেছি কতো জলকেলি, ছোটবেলার সাথী সবাই মিলি ।চাইলেই কি আর সেদিন পাবো ফিরি ? দুরন্তপনা সোনালী শৈশব কতো দ্রুতই জীবন থেকে গিয়েছে হারি। এখন বদ্ধ ঘরে থেকে দুচোখ ভরে রিমঝিম বৃষ্টির শব্দ শুধু অনুভব করি জানালার পাশে আনমনে দাঁড়ি। সোনালী অতীত কখনো আসবেন না আর জানি। তবু কেন জানি কানে বাজলে রিমঝিম বৃষ্টির শব্দ আনন্দের ডাক দেয় যেন হাতছানি। মনে পড়ে যায় শৈশবের স্মৃতি খানি।।প্রিয় চুনতি শৈশব স্মৃতি৬/৬/২০২১
Make sure you enter the(*)required information