একটি দল, সমাজ তথা জাতির সফলতা, নেতার নেতৃত্বের গুণগত মানের উপর নির্ভরশীল। সততা, নিষ্ঠা, শিক্ষা, মেধা, একাগ্রতা ও বাস্তববাদীতা একজন নেতার নেতৃত্বের উপর পূর্ণ আস্থাশীল হতে সাহায্য করে। আর আস্থাবান নেতার পেছনে যেকোনো জাতি জীবনের সর্বস্ব বাজি রাখতে দ্বিধা করেনা। তেমনি চুনতির আপামর জনসাধারণের আস্থালাভ করেছিলেন আমার শ্রদ্ধেয় মামা জান্নাতবাসি হযরত মৌলানা মরহুম মুসলিম খাঁন সাহেব। উনার সফল নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখেছিলেন চুনতির আপামর জনসাধারণসহ চুনতির শাহ সাহেব কেবলা (রাহঃ)’র প্রবর্তিত ১৯ দিন ব্যাপী মাহফিলে সীরাতুন্নবী (সঃ) এর সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ।আমি চুনতির ও শাহ মনজিলের সন্তান হিসেবে জন্মগতভাবে সিরাত মাহফিলের সকল কর্মকাণ্ডের সাথে আমার ব্যাধতামূলক সম্পৃক্ততা। যদিও আমার জন্মের ৮ বছর আগে ১৯৭২ সালে সিরাত মাহফিলের সূচনা হয়। আমার জীবন যাপনের প্রতি মূহুর্ত সিরাত মাহফিলের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের সাথে বেড়ে উঠা। উক্ত ব্যক্তিদের থেকে জেনেছি মাহফিলের সূচনালগ্নে জিয়াফত বিভাগের সিংহভাগ দায়িত্ব পালন করতেন শাহ সাহেব কেবলা (রাহঃ) এর একনিষ্ঠ ভক্ত বৃন্দসহ সাতকানিয়া গ্রামবাসিরা। উনারা জিয়াফতের গরু ছাগল, রন্ধন সামগ্রীসহ সুদূর সাতকানিয়া হতে নিয়ে এসে রন্ধন বিভাগের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। ৩-৪ বছর না যেতেই মাহফিলের লোকসমাগম ও আরো ভক্তবৃন্দের সম্পৃক্ততা বেড়েই চললো এবং কাজের পরিধির সাথে সাথে আর্থিক লেনদেনও। উনাদের সাথে সাথে চুনতির আপামর জনসাধারণের সম্পৃক্ততা ও বিশেষ করে চুনতির বৃহত্তর সমাজসমূহ সেচ্ছাসেবী শ্রম কল্পে মাহফিলের জিয়াফত বিভাগসহ যাবতীয় কার্যক্রম আন্তরিকতার সাথে আনজাম দিতে লাগলেন। কিন্তু সেই বিশাল কর্মযজ্ঞ ও কর্মী বাহিনীর পরিচালনায় দক্ষ নেতৃত্বের ও পরিকল্পনার নিমিত্তে কিছু নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উক্ত কাজ সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সুদৃঢ় ভাবে তাদের সুনিপুণ কর্ম শৈলী বাস্তবায়ন করেছেন। মামার জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে নিয়ে সনাতন পদ্ধতির জিয়াফত পরিচালনাকে আধুনিক বাস্তব সম্মত পদ্ধতিকে ঢেলে সাজান । স্থায়ী রন্ধনখানা, খাবার পরিবেশন হল, পাড়া ওয়ারী কর্ম পরিকল্পনা, হিসাব সংরক্ষণ, মাহফিল পূর্ববর্তী বাজেট প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থার আনজামে অগ্রণী ভুমিকা রাখেন। মামার জীবন যাপনের ও বাস্তববাদী কর্মপন্থার স্বচ্ছতা উনার নেতৃত্বের অন্যতম গুণ। শাহ সাহেব কেবলা (রাহঃ)'র ভক্তবৃন্দরা প্রতি বছর মাহফিলের মেহমানদারীর বিশাল খরচের আনজামের আর্থিক লেনদেন ও সঠিক ব্যবহার কল্পে মামার উক্ত গুণের উপর আস্থা রাখতে পেরেছিলেন। যদিওবা মাহফিলের শুরু থেকে আপামর জনসাধারণের সম্মিলিত আর্থিক, শারীরিক-মানসিক অংশগ্রহনের ভিত্তির উপর মাহফিল পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু শাহ সাহেব কেবলা (রাহঃ)'র একনিষ্ঠ ভক্ত জান্নাতবাসি মরহুম ইউসুফ মিয়া চৌধুরী সাহেব হুজুরের ভক্ত হিসেবে ব্যবসায়িক সাফল্য প্রাপ্তি ও উনার বিশাল অন্তরের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ ওয়াদা করলেন উনিই পুরো মাহফিলের যাবতীয় আর্থিক খরচের আনজাম দিবেন। উনি যাবতীয় বিশাল আর্থিক লেনদেনের দায়িত্বের জন্য মামার উপর আস্থা রাখতে পেরেছিলেন। যা মামাকে যোগ্য নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে অনেক খানি অগ্রসর করেছিল। যুগের পরিক্রমায় মাহফিলের বিশাল লোকসমাগমের মেহমানদারিতে আর্থিক আনজাম একক উৎস থেকে সম্ভব নয়। তাই পরবর্তীতে আবারও সর্ব মহলের আর্থিকভাবে সম্পৃক্ত করতে উৎসাহ যুগিয়েছিলেন। উনি জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত মুজাদ্দিদে বানিয়ে সীরতুন্নবী (সঃ) হজরত শাহ হাফেজ আহমদ (রাহঃ)'র প্রবর্তিত বিশাল মাহফিলের সফল নেতৃত্বের মহান ইতিহাস রচনা করে গেছেন। আল্লাহ আপনার পেয়ারা হাবিব (সঃ)'র মাহফিলে আগত মেহমানদের খেদমতের উসিলায় আমার মামা মরহুম মৌলানা মুসলিম খাঁন সাহেব ও উনার সকল সন্তান তথা সকল আত্মীয় স্বজনকে কবুল করুন। প্রফ রিড়ারঃ ফারিয়া মরিয়াম
Make sure you enter the(*)required information