জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলাম সেই আশির দশকে চুনতি উচ্চ বিদ্যালয়ের হয়ে কুমিল্লা বোর্ডে। আমাকে এই পর্যায়ে যেতে,যাদের আন্তরিক সহযোগিতা ছিলো আমার বাবা মায়ের সাথে সাথে আমাদের বিদ্যালয়ের সেই সময়ের চৌকষ প্রধান শিক্ষক জনাব অধ্যক্ষ এইচএম ফজলুল কাদের স্যার ,আব্দুল খালেক স্যার, বাবু দিলীপ দত্ত স্যার , রোকন উদ্দিন খান স্যার এবং বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকগণ এবং আমার পরম শ্রদ্ধেয় মরহুম আখতার কামাল দাদা ও মরহুম ওসমান গনি দাদা। । আজ পুরনো কাগজের ভেতর এই সার্টিফিকেট হাতে পেলাম। আমাদের বড় মৌলভী পাড়ার সবার ছোট চাচা মরহুম মহিউদ্দিন ছিদ্দিকী ,যিনি সেই সময়ে আমাকে বিতর্ক ও বক্তৃতা এই দুটো বিষয়ে অনুপ্রেরণা যোগাতেন। আর একজনের নাম না বললেই নয় তৎকালীন আধুনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং পরবর্তিতে চুনতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব বাবু জয়দত্ত বড়ুয়া। আশির দশকে প্রিয় চুনতি উচ্চ বিদ্যালয়ের মধুর স্মৃতি ও আমার পরম শ্রদ্বেয় প্রধান শিক্ষক জনাব এইচ এম ফজলুল কাদের স্যার..... কুমিল্লা বোড কতৃক আয়োজিত বিতর্ক ও উপস্থিত বত্তৃতা প্রতিযোগীতায় পটিয়া মহকুমা পর্যায়ে ২য় স্থান অধিকার করে জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহন করার জন্য এসেছিলাম চট্রগ্রাম মিউনিসিপাল মডেল হাইস্কুলে।গ্রামের স্কুল থেকে এসেছি অনেক ভয়ে ভয়ে ছিলাম কি বলতে কি বলি? আমাদের চুনতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই সময়ের সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক পরম শ্রদ্ধেয় জনাব এইচ এম ফজলুল কাদের স্যার আমাকে সারাক্ষন অভয় দিচ্ছিলেন ছাইফুল তুমি পারবে শুধু মনে সাহস রেখো বাকী আল্লাহ ভরসা। যা হোক উপস্থিত বত্তৃতা পর্ব শুরু হল শহরের নামকরা বিদ্যালয় চট্রগ্রাম কলেজিয়েট হাই স্কুল, মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল আরও কয়েকটি স্কুলের নামের পরে আমার নাম যখন ঘোষনা করা হলো আমি ভয়ে ভয়ে আল্লাহের নাম নিয়ে লটারি তুললাম। আমার উপস্থিত বত্তৃতার বিষয় পেলাম “ আমি যদি বাংলাদেশের প্রেসিডেণ্ট হই“ এক সেকেন্ড চিন্তা করলাম কি বলা যায়? এর কয়েকদিন আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর ছয়দফার ঘোষনা ও বাস্তবায়নের আন্দোলন এই নিয়ে একটা প্রতিবেদন পড়েছিলাম আর সেটা মনে করেই আর দেরী না করেই আমার বত্তৃতা শুরু করে দিলাম এবং পাচঁ মিনিটের জন্য আমি বাংলাদেশের প্রেসিডেণ্ট হলাম। আমি বাংলাদেশের প্রেসিডেণ্ট ছাইফুল হুদা ছিদ্দিকী বলছি ....... আমি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা বাস্তবায়ন করব ।................ছয় দফা নিয়ে বিস্তারিত বললাম। এ ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা বাঙালির বিপুল বিজয় এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বের স্বাধীন মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। ৬ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধুতে রূপান্তরিত হন। যথারিতী বত্তৃতা পর্ব শেষ হল। আমরা সবাই ফলাফল ঘোষনার অপেক্ষায়। প্রতিযোগীতায় রেজাল্ট যখন ঘোষনা করা হলো এবং সেদিন আমি জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলাম।এখনো ভুলতে পারিনি সেদিনের বাধনহারা আনন্দ আর উচ্ছাস।আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আমাকে ঊনার কাধেঁ তুলে নিয়ে লাফালাফি শুরু করল। উনি বলল তোমার বলা অসাধারন ছিলো। আমি ভাবতে পারিনি তোমার বত্তব্য এতো ভালো এবং নিখুত হবে।
Make sure you enter the(*)required information